বহুদিন ধরেই বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন গায়িকা প✅লক মুচ্ছল। এবার প্রায় ৩০০০ জন শিশুর জীবন বাঁচাতে বড় পদক্ষেপ নিলেন পলক। টাকা তুলে অর্থ সঞ্চয় করে এই শিশুদের🅘 হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেন পলক। যার মধ্যে রয়েছে ইন্দোরের বাসিন্দা, ৮ বছর বয়সী আলোক সাহু।
এই উদ্যোগের বিষয়ে পলক বলেন, ‘আমি যখন এই মিশনটি শুরু করি তখন এটা একটা ছোট উদ্যোগ ছিল, যে উদ্যোগ সাত বছরের এক শিশুর জীবন বাঁ🐠চিয়েছিল। এখন এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মিশন হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে এমন ৪১৩জন শিশু রয়েছে। আমার প্রতিটি কনসার্ট শিশুদের হার্ট সার্জারির জন্যই নিবেদিত। যাঁদের বাবা-মা এর খরচ বহন করতে পারেন না, তাঁদের জন্য। এটা একটা দায়িত্ব মনে হয়. আমি যতই এগিয়েছি, আমি এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টা বুঝতে পেরেছি। আমি সত্যি🐎ই খুশি যে ঈশ্বর আমাকে এই কাজের জন্য একটা মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন'।
১১ জুন নিজের এক শিশুর অস্ত্রোপচারের আগে একটা পোস্টে পলক বলেন, প্রার্থনা করুন যাতে সবকিܫছু ঠিকঠাক হয়। পলকের এই পোস্টে কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়, নেটপাড়ায় অনেকেই তাঁকে ‘আরও একজন সোনু সুদ’ বলে উল্🐷লেখ করেন।
নিজের এই যাত্রাপথের কথা বলতে গিয়ে পলক বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট, তখনই আমি এই উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি। আমি গান শুরু করার অন্যতম কারণই ছিল এটা। শীতকালে ফুটপাথের নিচে বসে থাকা বাচ্চাদের জন্য আমার সবসময় অপরাধবোধ হত। যাঁদের নিজেদের শরীর ঢেকে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়টুকুও নেই, তারাই হয় আমি যে ট্রেনে যা𒈔তায়াত করি, সেখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে। তাঁদের সুস্থ জীবন দিতে দায়িত্ব অনুভব করি। 🌜তহবিল সংগ্রহের যে প্রথম যে মিশন আমার ছিল, সেটা হল কার্গিল সৈন্যদের জন্য। আমি কেনাকাটা করতে গিয়ে গেয়েছিলাম অ্যা মেরে ওয়াতান কে লোগ। দোকানদারদের কারগিল সৈন্যদের জন্য কিছু দান করতে বলেছিলাম। আমার ভাই, পলাশ এবং আমি প্রথমবার গেয়েছিলাম, যখন রাস্তায় বসবাসকারী এক শিশু আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য এসেছিল। তারপর থেকে আমার করা প্রতি কনসার্ট হার্ট সার্জারির সুবিধার্থে নিবেদিত ছিল।’
'উড় জা কালে কাভা' গায়িকা পলক মুচ্ছল সমাজসেবামূলক কাজ ও গানের কেরিয়ার একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পলক সবশেষে বলেন, ‘যখন আমার কাছে সিনেমায় প্লেব্যাকের কোনও কাজ ছিল না, তখনও আমি তিন ঘণ্টা গান গেয়েছি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে। আমার গান যত জনপ্রিয় হতে থাকে ততই আমার পারিশ্রমিক বাড়তে থাকে। আমি এখন কনসার্ট থেকে যꦕে অর্থ উপ🗹ার্জন করি, তা থেকেই ১৩-১৪টি শিশুর অস্ত্রোপচার সম্ভব। আমি সবসময় গানকে সমাজে পরিবর্তন আনার মাধ্যম হিসেবে দেখেছি।’