শুধুমাত্র তাঁর অভিনয় নয়, ফ্যাশন সেন্সের জন্যও সোনম কাপুর থাকেন লাইমলাইটে। তাছাড়াও অন্যান্য অভিনেতাদের সম্পর্কে নানা খোলামেলা মন্তব্যের জন্যও তিনি বিতর্কিতকে জড়ান। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারের সময় মন্তব্যের জন্য অনীল কন্যা উঠে এসেছিলেন সংবাদের শিরোনামে। করণ জোহরের চ্যাট শো 'কফি উইথ করণ'-এ, সোনম তাঁর সমবয়সী সহ কর্মীদের ফ্যাশন সেন্স এবং অভিনয় ক্ষমতা সম্পর্কে ন☂িজের মতামত খোলাখুলিভাবে জানিয়েছিলেন, আর তার থেকে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক।
তবে বর্তমানে নায়িকা যথেষ্ট আত্ম-সচেতনতা অর্জন করেছেন বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ অতীতে নিজের করা মন্তব্যগুলি যে ভুল তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সোনাম বলেন, 'আমি আগে সবসময় ভাবতাম আমি জাজমেন্টাল নই, কিন্তু পরে আমি অনুভব করি যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে জাজমেন্টাল মানুষ। অল্প বয়সে কতজনের বিষয়ে কত মন্তব্য করেছি, কত কটূক্তি করেছি। একবার ভাবুন তো এই স্যোশাল মিডিয়ার যুগে যদি এ রকম বলতাম তাহলে কী হত? দর্🍨শকরা তো মনে হয় আমাকে প্রত্যাখ্যান করতেন, শূলে চড়াতেন।'
আরও পড়ুন: বিবাহিত𓆉 জাভেদকে বিয়ে, শরীরিক সমস্যায় হতে পারেননি মা! কষ্টের কথা বললেন শাবনা আজমি
'কফি উইথ করণ সিজন ৩'- এ, সোনম কাপুর এবং দীপিকা পাড়ুকোন দুজনেই তাঁদের প্রাক্তন রণবীর কাপুরের বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন। বলা ভালো তাঁরা অভিনেতাকে নিয়ে বহু কটূক্তিও করেছিলেন। সোনম যখন রণবীরকে বয়ফ♍্রেন্ড হিসেবে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল, তখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে তিনি তাঁকে বন্ধু হিসেবে মূল্যায়ন করতে পারলেও সঙ্গী হিসেবে তাঁর গুণের কথা বলে শেষ করতে পারবেন না (ব্যাঙ্গ করে)।
আরও পড়ুন: 'একজন বহিরাগত…' ধনুশের কথা শু🌸নে ক্ষেপে লাল নেটিজেনরা! কী এমন বললেন অভিনেতা?
ছেলে রণবীরকে নিয়ে এইসব মন্তব্য শুনে তখন ঋষি কাপুর দীপিকা এবং সোনামের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এইসব কটূক্তি করার পরিবর্তে তাঁদের নিজের ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা সেই সময়ে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'তাঁদের এই ধরনের কথাই তাঁদের ক্ল🥂াস বুঝিয়ে দেয়। আমি তাঁদের বলতে চাই, তাঁরা যেন সব সময় সব বিষয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা বন্ধ করেন। এইসবের পরিবর্তে পরিণত মানুষের মতো আচরণ করেন। তাঁরা এই শোতে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছে কারণ তাঁরা তাঁদের বাবার মেয়ে। নিজের কাজের জন্য কিন্তু তাঁরা এই সুযোগ পাননি! আমি তাঁদের পরামর্শ দেব তাঁদের সহকর্মীদের সম্পর্কে এইসꦏব কথা বলা বন্ধ করে এবং তাঁরা যেন নিজের কাজে মন দেন।'