দিনকয়েক আগেই জি বাংলার রিয়েলিটি শো-তে এসেছিল কলকাতার কিছু প্রাচীন, ঐতিহ্যশালী ও জনপ্রিয় খাবারের দোকানের বর্তমান মালিকরা। নিজেদের দোকানের জনপ্রিয় খাবার তৈরি করে নিয়ে আসেন তাঁরা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কে✤র জন্য। যার মধ্যে ছিলেন ব্যারাকপুরের দাদা বউদি বিরিয়ানির দুই কর্ণধার ধীরেন ও সন্ধ্যা।
বিরিয়ানি-র প্রতি অগাধ প্রেম দাদার। যদিও ডায়েট সচেতন সৌরভের বিরিয়ানি খাবার খুব একটা সুযোগ আর হয় না। নিজেই জানিয়েছিলেন স্ত্রী 🤪ডোনার জন্মদিনে, বছরের ওই একদ⛄িনই খান বিরিয়ানি। তবে দাদাগিরির সঞ্চালক জানালেন, দাদা বউদি-র বিখ্যাত বিরিয়ানি তিনি খেলেছেন, ব্যারাকপুরের দিক থেকে খেলে ফেরার সময়।
বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে জমিয়ে গল্প করেন সৌরভ। জা🌌না যায়, নিতান্ত পেত চালাতেই ধীরেন ও সন্ধ্যা শুরু করেছিলেন খাবার হোটেল ব্যারাকপুর স্টেশনের সামনে, সেই ১৯৭৫ সালে। রাতদিন খেটে হোটেল চালাতেন তাঁরা। আর স্বামী-স্ত্রীর এই হোটেলের নাম স্থানীয়দের মুখেই হয়ে গিয়েছিল দাদা-বউদির হোটেল। এরপর খাবারে নিয়ে আসেন বিরিয়ানি। তখনও পাড়ার মোড়ে মোড়ে এত গজিয়ে ওঠেনি বিরিয়ানির স্টল। বছরখানেকের কঠিন পরিশ্রমেই ফুলেফেঁপে ওঠে ব্যবসা।
আরও পড়ুন: বদলে গেল জলসার চিনি-র নায়িকা! ইন্দ্রাণীর বদলে নতুন মুখ প্রোমোতে, চেন🌃েন মেয়েটিকে?
দুজনেই জানালেন, কাজের থেকে অবসর নিয়েছেন এখন তাঁরা। ব্যবসা দেখছে দুই ছেলেই। সব শেষে তাঁরা অনুরোধ করেন দাদাকে একটু চেখে দেখতে তাঁদের দোকানের বিরিয়ানি।ꦉ। বলতে শোনা যায়, ‘সানা এসো’।
আর তাতেই সৌরভ বলে ওঠে, ‘সানা খালি হাতে এলে চলবে না, বিরিয়ানিও নিয়ে আসতে হবে।’ এরপর বিরিয়ানির প্লেট হাতে হাজির হন সানা। তবে এই সানা সৌরভ-কন্যা নন, বরং ধীরেন-সন্ধ্যার নাতনি। যদিও ১ চামচেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দাদাক🧸ে। বিরিয়ানির আস্বাদ নিতে নিতে সৌরভ বলে ওঠেন, ‘যদি আরও দুটো রাউন্ড না থাকত, তাহলে এখানেই এটা শেষ হত।’
আরও পড়ুন: রোম্যান্টিক দৃশ্যের শ্যুটে বেজায় চোট পেলেন ‘কথা’ সুস্মিতা, কী এমনꦦ হয়েছিল সেদিন
এদিন দাদাগিরিতে এসেছিলেন ধীরেন ও সন্ধ্যার ছেলে সঞ্জীবও। তিনি নিজেই সৌরভকে জানান, প্রতিদিন এক-একটা কাউন্টার থেকে ৪-৫ হাজার প্ল𒁏েট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বছরে আয় হয় ১০০ কোটি মতো। রোজ ৮০০-১০০০ কিলো মাংস লাগে কিনতে। নিজেরা দেখে মাংস কেনেন দুই ভাই সঞ্জীব ও রাজীব।
আরও পড়ুন: হিরে বꦫ্যবসায়ী ভরতের সঙ্গে ডিভোর্স এষার, দ্বিতীয় কন্যা সন্তানই বিচ্ছেদের কারণ?
আপাতত চলছে দাদাগি♐রির দশম সিজন। সম্প্রচারিত হচ্ছে শনি ও রবিবার রাত সাড়ে ৯টায়। এদিন মেয়ের নেমসেক দাদাগিরির মঞ্চে এলেও, গর্বিত বাবার মুখে প্রায়ই উঠে আসে মেয়ের প্রসঙ্গ। সৌরভ-কন্যা সানা পড়াশোনা শেষ করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে। আপাতত কাজ করছেন ইংল্যান্ডেই, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ইনোভারভিতে। মাসখানেক আগেও সৌরভ মেয়ের কাছে থেকে এসেছেন টানা কয়েকদিন। ছিলেন কলেজের গ্র্যাজুয়েশনের অনুষ্ঠানেও।