হলুদ-সাদা রঙের একটি বাড়ি, যাতে আবার নীল রঙের বর্ডার দেওয়া হয়েছে। এমনই একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। আরও কয়েকটি ছবিতে বাড়ির সামনে কাছের মানুষদের সঙ্গে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে দেখা যায় শ্রীলেখাকে। ছবিগুলি পোস্ট করে ঠিক কী লিখেছেন অভিনেত্রী?
কিছু আবেগতাড়িত হয়েই শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘আমার বাপের বাড়ি বলাটা কি এখন ঠিক হবে..কে জানে..থাক এটা আমার বাড়ি, আমার মা-বাবার বাড়ি। এখানেই বেড়ে ওঠা..সেইসব। কিশোরীকাল থেকে বিয়ের পরদিন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া..বড্ড মায়া জড়িয়ে।’
এরপর স্মৃতির গলিতে নেমে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এখনও মনে হয় যে মা বারন্দায় বসে ডাকছে আমার সোনামনি এসেছিস…আয় আয় উপরে আয়...আর বাবা ব্যস্ত গাড়িটা আমার কোথায় সাবধানে পার্ক করা যায় সেট নিয়ে…’
সব শেষে লিখেছেন, 'হায় রে মা বাবা..
আমার ভাই বাড়ির নতুন রং করিয়েছে পন্ডিচেরি স্টাইল, ভাল না?'
আরও পড়ুন-শাহরুখ যখন কলেজ পড়ুয়া, তখনও হননি 'কিং' খান, পুরনো দিনের স্মৃতিতে ভাসলেন কাছের বন্ধু
শ্রীলেখার পোস্ট করা এই ছবিগুলিতে তাঁকে তাঁর ভাই, ভাই-এর বউ, ভাইপো সহ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা যায়। কয়েকটি ছবিতে তাঁকে তাঁর পুরনো এই বাড়ির গাছপালা দিয়ে ঘেরা ছাদেও দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, বহুবার বাবা-মাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে শ্রীলেখাকে। যতবারই তিনি বাবা-মায়ের কথা বলেছেন, ততবারই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন। ২০১৬ সালে মাকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারও আগে ২০১১ সালে বাবাকে হারান তিনি। তবে ভাই ও ভ্রাতৃবধু সোনিয়া মিত্রর সঙ্গেও শ্রীলেখার সম্পর্ক বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। বহুবার একে অপরের জন্মদিনে পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে এই ননদ-বৌদি জুটিকে। শ্রীলেখার রবিবারের এই পোস্টেও ভাইয়ের বউ-এর সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

এদিকে ব্যক্তিগত জীবনে এখন মেয়েকে নিয়ে শ্রীলেখা একা-ই থাকে। তিনি সিঙ্গল মাদার। যদিও প্রাক্তন স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। অভিনেত্রীর মেয়ের নাম ঐশী (ডাক নাম মাইয়্য)। ২০১৩ সালে যখন স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের থেকে আলাদা হন শ্রীলেখা তখন তাঁর মেয়ের বয়স সবে ৮ বছর। শৈশবে বাবা-মা'র ডিভোর্স চাক্ষুস করলেও সবকিছুই সহজভাগে গ্রহণ করেছেন মাইয়্যা।
শ্রীলেখা-শিলাদিত্য মেয়ে ঐশীর কো-পেরেন্ট। নিজের ইচ্ছামতো দুইজনের সঙ্গেই থাকেন ঐশী। ১৯ বছরের ঐশী অন্য স্টারকিডদের থেকে আলাদা। লাইমলাইট মোটে পছন্দ নয় তাঁর। গতবছর আইএসসি-র পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছিল ঐশী। পড়াশোনার সূত্রে এখন শহরের বাইরে থাকে সে। এই যুগের মেয়ে হয়েও ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকে নেই, বরং বই-থিয়েটারের জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকেন ঐশী।