মারা গিয়েছে ‘টুম্পা’। আর তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল। এক শ্রেণির মানুষ সরমেয় ‘টুম্পা’র মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ি করেছে রেড ভলেন্টিয়ার্সের সদস্য শশাঙ্ক ভাবসর। এমনকী দময়ন্তী তাঁর ফেসবুক লাইভে ‘খুনি’ বলেও উল্লেখ করেন শশাঙ্ককে। তারপর মঙ্গলবার গোটা দিন উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতিও। শ্রীলেখার পোস্টে বারবার ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’র উল্লেখ পেয়ে ইস্যু পেয়ে যান বিরো𓂃ধীরা। আর তেমনই রেড ভলেন্টিয়ার্সরা অভিনেত্রীর ওপর রেগে যান এরকম অভিযোগ আনার, তাও একটা সংগঠনকে টেনে এনে, যারা করোনায় দিনের পর দিন কাজ করেছে মানুষের জন্য।
এরপর বেশ কিছু মহিলা শশাঙ্ককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তারপরেই শশাঙ্ক-র পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় ক🦩িছু মানুষকে। যারা স্পষ্ট জানায়, কোনও মান♈ুষ ইচ্ছে করে মেরে ফেলবে না একটি কুকুর ছানাকে। আর যাঁরা কুকুর পোষেন তাঁরা ভালো করেই জানেন, এরকমটা হতে পারে অনভিজ্ঞতার কারণেও। তাই মারধর করা উচিত হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় শ্রীলেখাকেও।
বুধবার দুপুরের দিকে ফেসবুকে এ🍸কটি পোস্ট শেয়ার করে শ্রীলেখা জানান, ‘ভগবান না করুন, কারও নিজের বাচ্চা মারা গেলে সে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারত কি? না আমি সমর্থন করছি না যারা ওই ছেলেটাকে মেরেছে তাঁদের। কিন্তু জানেন তো এই নোংরা রাস্তার কুকুরগুলো আমাদের সন্তানসম। তাই সন্তানের মৃত্যুতে তাঁরা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছিল। আপনাদের হলে আপনারা কী করতেন?’
শ্রীলেখা আরও জানান, কে কী বলল, বা তাঁকে নিয়ে কতটা সমালোচনা করল তাতে তাঁর কিচ্ছু যায় আসে না। এমনকী বামে🃏দের হয়ে প্রচারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন নিজের পোস্টেꦑ। লেখেন, ‘সবাই যখন দলে দলে বিজেপি বা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল, তখন শ্রীলেখা ছিল বামেদের প্রচারে। তাই নিজেকে ছাড়া কাওকে কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। যান।’
প্রসঙ্গত, দময়ন্তী সেন সোমবার রাতে ফেসবুকের এক লাইভে অভিযোগ করেন, শ্রীলেখার সঙ্গে ডেটে যাওয়ার লোভে যে সারমেয়কে দত্তক নিয়েছিলেন ⛦শশাঙ্ক ভাবসর, তিনি সেই খুদে পশুটিকে খুন করেছেন। আর তারপর নিজের ফেসবুকে ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’-এর সেই সদস্যকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন অভিনেত্রী। এমনকী শশাঙ্কেক ‘রেড ভলেন্টিয়ার্সের কলঙ্ক’ও বলেন।