আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রত🎃িবাদের ঝড় শহর কলকাতা জুড়ে। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বৃহত্তর বাংলায়। নির্যাতিতা তরুণীর জন্য বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। তবে দু-দিন আগে চুপিসাড়ে শহর ছেড়েছেন শ্রীলেখা। ৩০শে অগস্ট অর্থাৎ শুক্রবার ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন।
জীবনের এই বিশেষ দিনটা একান্তে কাটাতেই পাহাড়ের কোলে উড়ে গিয়েছেন শ্༺রীলেখা। নর্থ বেঙ্গলকে খানিকটা মি-টাইম কাটালেন অভিনেত্রী। এমনিতে নায়িকারা নিজেদের বয়স ফাঁস করার পক্ষপাতী নন। কিন্তু বরাবর♏ই উলটো পথের পথিক শ্রীলেখা। নিজের বয়স নিয়ে রাখঢাক পছন্দ নয় তাঁর। কারণ বয়স তাঁর কাছে শুধুই একটা সংখ্যা।
৫২-য় পা দিলেন শ্রীলেখা। ১৯৭𝕴২-এর ৩০শে অগস্ট জন্ম অভিনেত্রীর। এজ শেমিং-এর পরোয়া করেন না অভিনেত্রী। মনের দি🌼ক থেকে অবশ্য আজও অভিনেত্রীর বয়স ২৫! এই বছরের জন্মদিনটা শহরের কোলাহল থেকে দূরে কাটালেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই বছরের জন্মদিনে আমার নিজেকে দেওয়া উপহার এই ট্রিপ!’
হিমালয়ের কোলে নির⭕িবিলিতে কিছু অচেনা মানুষদের সঙ্গেই কাটালেন জন্মদিনের মুহূর্ত। এরপর ডেনিম হট প্যান্ট আর কালো টি-শার্ট পরে চলল পাহাড়ের আঁকাবাকা রাಞস্তায় একটু বেড়ু বেড়ু।
উত্তরবঙ্গের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ঝলক উঠে এসেছে শ্রীলেখার পোস্ꦜটে। তাঁর কথায়, ‘এই দুদিনেই মায়ায় জড়ালাম যাদের সাথে ....পথিক আমি,পথ চলাতেই আনন্দ’। তবে এই আনন্দের মুহূর্ত দেখেও নেটপাড়ার একাংশ কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। একজন লেখেন, ‘আপনার সব প্রতিবাদ শেষ?’ আরেকজন লেখেন- ‘মদ খেতে মাতাল হয়ে ফটোশ্যুট করছে ম্যাডাম….’। ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন🌟 শ্রীলেখা। নিন্দকদের কড়া জবাব দিতে জানেন তিনি।
পালটা অভিনেত্রꦫী 𒆙লেখেন, ‘তুমিও একজন রেপিস্ট মনে হচ্ছে ভাই যে মেয়েদের এরকম কথা বলার সাহস পেলে? তোমার মতো পুরুষ মানুষ আছে বলেই মেয়েরা ভিক্টিমাইজড হয়। শুধরে যা বাছা কোনও দিদি বাঁচাবে না’।
জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পর মালায়ালি পরিচালক রণজিৎ--এর নামে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন শ্রীলেখা। কেরলের চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রণজিতের বিরুদ্ধে মুখে খুলে শ্রীলেখা জানিয়েছেন একটি ছবির কাজে তিনি যখন কেরল গিয়েছিলেন তখন তাঁকে পরিচালক হেনস্থা করেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, রণজিৎ পরিচালিত 'পালেরি মানিক্যম: অরু পাথিরাকোলাপথাকাথিনতে কথা' ছবিতে কাজ করার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছি🧸লেন।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, অভিনেত্রীকে প্রযোজক এবং ছবির অন্য꧅ কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য হোটেলে ডেকেছিলেন রণজিৎ। এরপর হঠাৎ করেই হোটেল রুমে শ্রীলেখার চুড়ি নিয়ে খেলতে শুরু করেন রণজিৎ। এরপর ঘাড়ে হাত দেন, চুল সরাতে যান। পরিচালকের আচরণে অস্বস্তিবোধ কর🌳ছেন শ্রীলেখা, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী। পরে জানান এই ছবিতে আর কাজ করবেন না।