এই মূহূর্তে টলিপাড়ার ভাইরাল কপল তাঁরা। কিছুতেই চর্চা থামছে না কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে নিয়ে। হাঁটুর বয়সীকে শ্রীময়ীকে বিয়ের পর কাঞ্চনকে ঘিরে বিতর্কের অন্ত নেই, তাঁর রাজনৈতিক কের♓িয়ারেও এসেছে বড় ধাক্কা। তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকায় জায়গা হয়নি উত্তরপাড়ার বিধায়কের। তবে নতুন বউয়ে মজে কাঞ্চন।
বিয়ের পর প্রথম দোল চুটিয়ে এনজয় করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। শুরুটা হয়েছিল র𝐆াধা-মাধবকে আবির মাখিয়ে, এরপর নিজেরা আবিরের রাঙা হয়েছেন। চলছে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়াও। দোলের দিন সবেচেয়ে বেশি নিজের স্বর্গীয়া মাকে মিস করলেন কাঞ্চন। এক সাক্ষাৎকারে নস্টালজিয়ায় ভেসে দোলের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন অভ🍃িনেতা।
সিটি সিনেমা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কা൩ঞ্চন জানান, তাঁর মা দোল খেলতে প্রচুর ভালোবাসতেন। পাড়ায় সকলে রীতিমতো ভয় পেত কাঞ্চনের মা-কে। স্ট্যাম্পের কালি থেকে কার্বন পেপার জলে গুলে সকলকে রঙ মাখাতেন তিনি। ছেলেকেও ছাড়তেন না। এই কারণে দোলের পর নাকি চারদিন কথা বন্ধ থাকত কাঞ্চনের বাবা-মা'র। শাশুড়ি খুব উৎসব প্রিয় মানুষ ছিলেন যোগ করেন শ্রীময়ীও। মায়ের কথা স্মরণ করে কাঞ্চন বললেন, ‘আমার মা বলত খেললে আপাদমস্তক দোল খেলবে। ওই খেলব হোলি ❀রঙ দেব না… এই খেলায় উনি বিশ্বাসী নন।’
উলটো পথের পথিক শ্রীময়ী। তিনি বলে এসেছেন তাঁর রঙে অ্যালার্জি, শুধু আবির খ🤡েলবেন। সেই মতো এদিনও গালে আবির ছুঁইয়েই চলছিল সাক্ষাৎকার। কাঞ্চন বলে উঠেন, ‘আমি যদি মনে করি তোমাকে রঙ মাখাব, তাহলে মাখাব। মার♛ামারি হবে কিন্তু মাখাব’।
বরের এই কথা শুনেই হুমকি শ্রীময়ীর। সোজাসুজি বলে বসেন, ‘তাহলে দেখবে কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের ডিভোর্স হয়ে গেল…, এই রঙ মাখানোর কারণে'। তখনই সুর নরম করে কাঞ্চন বলেন, ‘কিন𝓡্তু এখান﷽ে একটা বড় কিন্তু আছে। ওর অ্যালার্জি আছে। আমারও একটু অ্যালার্জি। আমারা যে পেশায় রয়েছি, তাতে তো ছুটি নেই। পেশাদার অভিনেতা হিসাবে আমি এমন দোল খেলব না, যাতে আমার কাজের ক্ষতি হয়’।
এখানেই শেষ নয়। বিয়ে নিয়ে কটাক্ষের জবাবও কড়া ভাষায় দিয়েছেন কাঞ্চন। ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে বিয়ে করায় লাগাতর ট্রোলে বিরক্ত কৌতুকাভিনেত🐽া। বললেন, ‘কেন অসমবয়সী, কেন এই কেন সেই? আমার সম্পর্কটা নিয়ে এত কাটাছেঁড়া করার কোনও দরকার নেই। আপনারা আমার কেউ নন! এবং এই অপারেশন না করে পাশের বাড়ি, বাঁ নিজের বাড়ি যেখানে ছেলেমেয়েরা দূরদূর করে বাবা-মা’কে তাড়িয়ে দিচ্ছে, যা⛄ন গিয়ে ক্ষমতা থাকলে সেটা আটকান।’
কাঞ্চন আরও যোগ করেন, ‘বড় বড় বাতেলা মেরে লাভ নেই। আমার সম্পর্ক নিয়ে আপনি ভাবলেও আমার বিপ, না ভাবলেও আমার বিপ। ক্ষমতা থাকলে আমার🐎 প্ল্যাটফর্মে আসুন। আসুন যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ হবে। হাজার ওয়াট আলোর সামনে মেকআপ করে মনোলগ বলুন, দেখি কত বড় শাহরুখ খান আপনি হয়েছেন, দেখি কত বড় বৈজয়ন্তꦜী মালা আপনি?’