মাস কয়েক ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে শ্রীময়ী চট্টোরাজ। অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে তাঁর অসমবয়সী প্রেম (পরকীয়া), বিয়ে সব নিয়েই চর্চা থামেনি। বয়সে কাঞ্চনের চেয়ে ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ী। কাঞ্চনের দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙা নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শ্রীময়ীর দিকে। আরও প꧂ড়ুন-আম্বানির বাড়িতেই জামা বদলালেন ভাইজান! অনন্তের গায়ে হলুদে রাঙꦍা হবু বাবা রণবীর
ক্লাস এইটে পড়তে ‘কাঞ্চনদা’র সঙ্গে প্রথম আলাপ শ্রীময়ীর। তবে তাঁকে ♏কাজ পাইয়ে দিতে কোনওদিন এগিয়ে আসেননি কাঞ্চন, কিংবা তিনিও মুখ ফুটে সাহায্য চাননি। ‘কাঞ্চনের জন্য কাজ পাচ্ছেন’ এই কটাক্ষ সবচেয়ে বেশি গায়ে লাগে তাঁর। সদ্য হানিমুন থেকে ফিরেছেন আকাশ কুসুম-এর দামিনী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের হেরে যাওয়🔯া নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী।
অভিনেত্রী জানান, তাঁর অভিনয় কেরিয়ার নিয়ে আপত্তি ছিল বাবার। মেধাবী ছাত্রী শ্রীময়ী নিজের শখ আর জেদের জন্🦋যই অভিনয়ে আসেন। পাড়াতুতো দিদির সুবাদে অডিশনের খোঁজ পান। এরপর 'বাবুসোনা' ধারাবাহিকে ৩ দিনের একটা ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের সঙ্গে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো, ওখানেই কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে আলাপ। তবে বন্ধুত্ব তখনও গড়ে ওঠেনি। এবিপি লাইভকে শ্রীময়ী জানান, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে পুরোদমে অভিনয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগেন তিনি। একের পর এক প্রোডাকশন হাউজে গিয়ে কাজ পাওয়ার আশা নিয়ে ছবি জমা দিতে শুরু করেন শ্রীময়ী। এক স্টুডিও মুখোমুখি হন প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর। ব্লুজ প্রোডাকশনের কর্ণধার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমার হাইট কত?’ শ্রীময়ীকে তিনি কথা দিয়েছিলেন তাঁর হাউজ থেকে যোগাযোগ করা হবে শীঘ্রই। এরপর 'তুমি রবে নীরবে' ধারাবাহিকে কাজের ডাক পান অভিনেত্রী।
ওই সিরিয়ালে কাজের সময় 'আমি মিস ক্যালকাটা' গানে লিপ সিঙ্ক করতে গিয়ে ৩৭টা শট এনজি (নট গুড) হয়েছিল শ্রীময়ীর। তারপরেও পারেননি। তবুও স্নেহাশিস চক্রবর্তী তাঁকে বাদ দেননি মেগা থেকে। পরে অবশ্য শ্র🎉ীময়ী পড়াশোনার চাপে নিজেই সরে দাঁড়ান। অনার্স শেষ করে ফিরে আসা টেলিভিশনে। ‘কৃষ্ণকলি’র জাঁদরেল খলনায়িকা হিসাবেই পরিচ🌌িতি পান শ্রীময়ী। একটা সময় গানে লিপ সিঙ্ক করতে না পারা অভিনেত্রী এবার কাজ করলেন গান নিয়েই তৈরি সিরিয়ালে।
শ্রীময়ীর কথায়, ‘আজ অবধি আমি কখনও চাইনি কাঞ্চন আমার হয়ে কারও কাছে কাজ চাক। কাজের জায়গায় আমি আলাদা একটা ব্য়ক্তি। তবে একটা কথা স্বীকার করতে হয় যে কাঞ্চন আমার সঙ্গে খরাজদার আলাপটা করিয়ে দিয়েছিল।’ শ্রীময়ীর কেরিয়ারে শুধু কাঞ্চন নন, মেন্টরের ভূমিকা পালন কর🔴েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়ও। মঞ্চে অভিনয় করতে গিয়ে গালিগালাজ শুনেছেন, চোখের জল ফেলেছেন। সেইসময় তাঁর জীবনে কাঞ্চন ছিল না। তাঁর কথায়, ‘অনেকে মনে করেন, কাঞ্চন আমায় কাজ পাইয়ে দিয়েছে, হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাঁরা কেউ জানেন না, আমার এই সময়টায় কাঞ্চন আমার জীবনে প্রায় ছিল না বললেই চলে। নিজেই হেরে গেছি, আবার নিজেই ঘুরে দাঁড়িয়েছি’।
কাঞ্চন ঘরণী বলেন, ‘কখনও মনে হয়নি কাঞ্চনকে বলি আমার জন্য কোনও পরিচালকের সঙ্গে গিয়ে কথা বলতে। মনে হয়েছে, এতদিন কাজ করেছি, যদি প্রয়োজন মনে হয় নিজে গিয়ে বলব।’ কেরিয়ারে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে শ্রীময়ীর একটাই খারাপ লাগা, ‘মানুষ শুধু আমার গ্ল্যামারটা দেখল, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দেখল, কাঞ্চনের থ🃏েকে আমি সুবিধা নিচ্ছি বলে দাগিয়ে দিল.. কিন্তু আমার লড়াইয়ের কথাটা কেউ জানতেই চাইল না.. বুঝতে চাইল না। আমি তো কখনও কাউকে ব্যবহার করিনি।’