নন্দন নিয়ে তরজা ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই নন্দনে ‘X=প্রেম’ শো না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সৃজিতের ছবির পাশাপাশি নন্দনে হল পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও তাঁর ‘হাবজি গাবজি’ ছবির জন্য। এবং সেটা নন্দনে বিকেলে শো পায়। বৃহস্পতিবার সৃজিতের পোস্ট দেখে অনেকেই ধারণা করে নিয়েছিলেন, রাজকেই ঠুকেছেন তিনি। সঙ্গে কমেন্ট সেকশনে তো কেউ কেউ এমনটাও দাবি করতে থআকেন নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা লাগিয়েই সৃজিতের ছবিকে সরিয়ে দিয়ে নিজের ছবি চালাচ্ছেন রাজ! তবে, শুক্রবার ফেসবুক লাইভে আসেন সৃজিত। বিতর্ক থামিয়ে সোজাসাপটা জানিয়ে দেন, রাজ তাঁর ভালো বন্ধু। তিনি চান হাবজি গাবজিও ভালো চলুক।কী লিখেছিলেন সৃজিত? ‘একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে দু’টি ছবি। দু’জনই নন্দন ১-এর জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু মাত্র একজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। আদর্শগত ও ন্যায়সঙ্গত কারণে দু’টি ছবিরই ছাড়পত্র পাওয়া উচিত ছিল। না হলে একজনও পাবেন না।’, পোস্ট করেছিলেন তিনি। আর তার কিছু পরেই রাজের পোস্ট এসেছিল, ‘হাবজি গাবজি’ নিয়ে কন্ট্রোভার্সি করে লাভ নেই।’সৃজিত ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন, ‘আমার একটা ছবি রিলিজ করছে X=প্রেম। সেটা নিয়ে অনেক বিতর্কও শুরু হয়েছে। কিছু হেডলাইন পড়লাম, লেখা পড়লাম। তাই এলাম লাইভে। আমি কারও বিরুদ্ধে বা কোনও সিনেমার বিরুদ্ধে কিছু লিখিনি। রাজ চক্রবর্তী বা হাবজি হাবজি নিয়ে তো নয়ই। কারণ, রাজ আমার ভালো বন্ধু।’সৃজিত লাইভেই জানান, নন্দন থেকে যখন জানতে পারেন তাঁর ছবি দেখানো হবে না প্রথম ফোনটা তিনি রাজকেই করেছিলেন। রাজ উত্তরে জানিয়েছিলেন, তিনি জানেন না কেন X=প্রেম নেয়নি নন্দন। সেই সময় নাকি হাবজি গাবজি নন্দন থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবও দেয় রাজ, যাতে X=প্রেম চলতে পারে।সৃজিত ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট করে দেন, তিনি এটাই জানতে চেয়েছিলেন নন্দনে কি এ রেটেড সিনেমা চলে না? শুধু জানতে চেয়েছিলেন, ছবি নন্দন নেয়নি কেন সেটার কারণ। তাই তাঁর পোস্ট। সঙ্গে বলেন, তিনি চান হাবজি গাবজি আর X=প্রেম দুটোই ভালো চলুক। হলে লোক আসুক। সঙ্গে লাইভের শেষে সৃজিত বলেন, ‘রাজ বোধহয় একটু অভিমান করছে আমার উপর। আমারও একটু খারাপ লেগেছে। আমার কিন্তু নন-সিলেকশনে কোনও সমস্যা ছিল না। আমার খারাপ লেগেছে কারণ দেখানো হচ্ছে না। আমার শুধু এটাই বলার এই ছবিটা যেহেতু স্টুডেন্টসদের জন্য, তাই নন্দেন হল না পাওয়ায় আপত্তি তুলেছিলাম। কারণ ওরা তো অনেক টাকা দিয়ে মাল্টিপ্লেক্সে যেতে পারে না। তাহলে আমরা এই ধরনের ছবি বানানোর আগে ভাবব। বা যখন এ সার্টিফিকেট দেওয়া হল, তখন সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতাম।’