সকাল থেকে মন খারাপ বাংলার। বাংলাদেশ নিয়ে ঘিরে তৈরি হওয়া শঙ্কা, চিন্তার মাঝেই চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে ‘অভিভাবক💛হীন’ বাংলার বামপন্থীরা। একজন রুচিশীল, সৎ তথা সংস্কতিমনস্ক রাজনীতিককে হারিয়ে রং-দল নির্বিশেষে আজ মন ভার বাংলার।
বুদ্ধবাবু যে আর নেই, কিছুতেই তা মানতে পারছেন না বামপন্থী তারকারা।শোকবিহ্বল শ্রীলেখা মিত্র, ঊষসী চক্রবর্তীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই নিজের প্রোফাইল পিকচার কালো করে নিজেকে বুদ্ধপন্থী বলে জানিয়ে দিলেন🍃 জিতু কমল।
তিনি লেখেন, ‘আজ থেকে আর কমরেড বলে আমায় নাই বা ডাকলেন। আর যদি ডেকেও ফেলেন, দয়া করে একটিবারের জন্য অনুমতি চাইবেন। সিপিআইএম রইল🙈া🌟ম না আর। বুদ্ধপন্থী বলে রইল আমার পরিচয়। সুবিধা-অসুবিধা কোন কিছুই কিন্তু নিইনি কোনদিন। তাই পাল্টিবাজ, ধাপ্পাবাজ, চিটিংবাজ ভাষাজ্ঞান শূন্য মন্তব্য নাই বা করলেন সিপিআইএম। আমার বন্ধু, আমার পথপ্রদর্শক, আমার ঈশ্বর বিদায় তোমায়। পরপারে স্লেট হাতে আবার যাব, পিছু পিছু তোমার..’।
মমতা ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন স্মৃতির সরণি বেয়ে পুরোনোদিনে ফিরলেন সুদীপা। বুদ্ধদেব স্মরণে তিনি লেখেন, ‘সেই ছেলেবেলা থেকে যবে থেকে বুঝতে শিখেছি- ‘সুন্দর’ আসলে কাকে বলে, তখন থেকেই হাঁ করে চেয়ে থাকতাম- বুদ্ধদেব ভট্টাচায্যের দিকে। নন্দনের প্রবেশদ্বারে- আমাদের দিকে,ꩲঅদ্ভুতভাবে তাকিয়েই সিগারেটের টুকরোটা নামিয়ে নিতেন। মৃদু হাসতেন। তখন তাঁর মনে কি চলতো? তাই নিয়ে- আমাদের মধ্যে তর্কের শেষ ছিলো না। কেন আমাদের দিতে চেয়ে এভাবে হাসতেন?আমাদের মধ্যেই কি কিছু খুঁজতেন তিনি? দেখতে চাইতেন বাংলার ভবিষ্যৎ?মূলতঃ ওনাকে এক ঝলক দেখতে পাবো- এই জন্যই আমরা দাঁড়িয়ে থাকতাম।’
মন খারাপের মাঝে বুদ্ধদেব ঘরণীকে কী বলেছেন সুদীপা? লেখেꦓন, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - আমাদের হিরো ছিলেন..’- এই কথাটুকুই বলতে পেরেছি,মীরাদিকে আজ। শেষ শয্যায় শুয়ে আছেন- বুদ্ধবাবু।💖 কি শান্তি তাঁর মুখে। এতটুকু কষ্টের লেশমাত্র নেই। এতদিনের যুদ্ধের শেষে- তিনি পরম শান্তিতে শায়িত।'
পরিচালক অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রাও গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোকসন্তপ্ত। তিনি বলেন, 'আমি রবীনবাবুকে বলেছি দলের সঙ্গে কথা বলতে। পিস ওয়ার্ল্ডের বদলে যদি ওরা (বুদ্ধদ꧅েব ভট্টাচার্যর) দেহ রবীন্দ্রসদন – নন্দন চত্বরে রাখতে চান রাখতে পারেন। বিধানসভꦦাতেও দেহ নিয়ে যেতে বলেছি। উনি দীর্ঘদিনের জন প্রতিনিধি ও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওনার মৃত্যুতে আমরা আজকে ছুটি ঘোষণা করেছি। আগামীকাল আমরা ওনাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দিয়ে শেষকৃত্য করতে চাই।
বুদ্ধবাবুর স্মরণ করে মমতা বলেন,‘বউদি বললেন, উনি আজ সকালেও ব্রেকফাস্ট করেছেন। তার পরই শ্ব🧸াসকষ্টটা শুরু হয়। তার পরই উনি চলে গেছেন। তিনি পার্থিব জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু মানুষের জগতে বিচরণ করবেন। একটা মানুষ মরে গেলে তার জীবন শেষ হয়ে যায় না। তাকে মানুষ মনে রাখে তার কাজের মধ্যে দিয়ে।’