লক্ষ্মীপুজোর দিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন জি বাংলার রান্নাঘর খ্যাত সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হয় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই জানা যায় তাঁর দুটো আর্টারিতে ব্লকেজ আছে। করা হয় বাইপাস সার্জারি। অবশেꦜষে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরলেন। একই সঙ্গে এদিন একটি সুখবর দিলেন সুদীপা।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী
অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এদিন বাইপাস সার্জারির পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। শনিবার, ৪ অক্টোবর তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। স্বামীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে আপডেট দিয়ে সুদীপা এদিন লেখেন, 'অবশেষে অগ্নিদেব ছুটি পেল। গোটা হাসপাতালকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, চিকিৎসক থেকে নার্স, ডায়েটিশ♍িয়ান, কিচেন স্টাফ, হাউজ কিপিং সহ সকলেই যেন ওঁকে নিজের বাড়ির লোকের মতো যত্ন করেছেন। ডাক্তারদের নিয়ে তো কোনও কথাই হবে না। ঈশ্বর কৃপা করেছেন। সকলকে ধন্যবাদ আমাদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য। ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। আমি কৃতজ্ঞ।'
আরও পড়ুন: 'রান্নাঘর না গুটখাবি꧒লাস', করওয়া চৌথের শুভেচ্ছা জানাতꦬে গিয়ে চরম কটাক্ষের মুখে সুদীপা
আরও পড়ুন: ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছেন রান্নাঘরের সুদীপা! আদিদেবেไর বয়স যে মাত্র ৫,༒ তাহলে?
তবে এই কদিন বিস্তর চাপ গিয়েছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি এই বিষয়ে আনন্দবাজারকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে জানান, 'ভীষণ চাপের ▨মধ্যে আছি। একদিকে রোজ হাসপাতালে যাচ্ছি সকাল বিকেল, অন্যদিকে আমার ছেলে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অগ্নি ভালো আছে। কিন্তু আদিকে কিছুতেই বাড়িতে রাখা যাচ্ছে না। ওকে সব জায়গায় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। আমি কোথাও বেরোলেই কান্নাকাটি করছে।' তবে এবার যেহেতু অগ্নিদেব বাড়ি ফিরে এসেছেন তাই অনুমান করা হচ্ছে সুদীপার এই সমস্যা এখন অনেকটাই কমবে।
আর কী সুখবর দিলেন সুদীপা?
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মা ভবতারিণীর একটি ছবি পোস্ট করেন এদিন তিনি, সেখানে দেবীর পরনে ম্যাজেন্টা রঙের বেনারসি, সঙ্গে রুপোলি পার দেখা যায়। এই শাড়িটা সুদীপার এনে দেওয়া। অনেকেই তাঁর শাড়ির দাম নিয়ে খোঁটা দেন। মজা করেন। তবে এদিন দেবীর পরনে তাঁর শাড়ির ছবি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন সকলকে। এই ছবি পোস্ট করে সুদীপা লেখেন, 'দুর্গাপুꩲজোয় মহানবমীতে- দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর পরনে বেনারস থেকে আনা কাতান শাড়িটি যে আমার হাতে করে মা আনিয়েছেন তার জন্য নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।'