মায়ের মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠত পারেননি অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এর মাঝেই তাঁর জীবনে নতুন ক্ষত! ছেলে আদিদেবকে নিয়ে রাতদুুপুরেই ছুটতে হল হাসপাতালে। ৬ বছরের শিশুপুত্র তখন রক্তে ভাসছে! এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন-মায়ের শ্রাদ্ধের ফাঁকে সেলফি, দিলেন পারলৌকিꦿক ক্রিয়ার ভিডিয়ো, ট্রোলড ♐সুদীপা
গত কয়েক মাস ধরেই সময়টা একদম ভালো যাচ্ছে না ‘রান্নাঘরের রানি'র। স্বামীর অসুস্থতা, মায়ের মৃত্যু, প্রিয় পোষ্যের বিয়োগ-যন্ত্রণায় কাতর তিনি। এবার ৬ বছরের ছেলে হাসপাতালে। কুকুরের কামꦍড়েই হাসপাতালে ছোট্ট আদജিদেব। বাইপাসের ধারের এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুদীপা-অগ্নিদেব পুত্র।
আ꧂দিদেবের দুটো ছবি শেয়ার করে বুধবার ফেসবুকে সুদীপা জানান, মঙ্গলবার রাতে কুকুরের কামড়ে রক্তাক্ত হয় ছেলে। অনেকটা রক্তক্ষরণ হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, চিকিৎসকদের শুশ্রুষায় এখন অনেকটাই সুস্থ আদিদেব। সুদীপা জানান, সকলের সহযোগিতার জেরেই আদিদেবকে ব💙াড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন তিনি।
ডান পায়ের পাতায় কুকুর কামড়েছে আদিদেবকে। তবে এখন সে বিপদ থেকে মুক্ত। সুদীপার পোষ্যই কি আদিদেবকে দুর্ঘꦑটনাবশত কামড়েছে নাকি অন্য কোনও কুকুর ভুলবশত কামড় বসিয়েছে তাঁর পায়ে তা স্পষ্ট করেননি অভিনেত্রী। আদিদেবও মায়ের মতোই পোষ্যপ্রেমী। বাড়ির সারমেয়দের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা তাঁর। সুদীপার পোস্টে ছোট্ট আদিদেবের দ্রღুত সুস্থতা কামনা করেছেন সকলেই।
দু-দিন আগেই ছিল সুদীপ൲ার স্বামীর জন্মদিন। ছেলে ও স্বামীর সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করে অগ্নিদেবের জন্য খোলা চিঠি লেখেন অভিনেত্রী। তাঁর কলমে ধরা পড়ল মনের মানুষের জন্য অগাধ ভালোবাসা। সুদীপা লিখেছিলেন, ‘আমার ভীষণ গুণী বরকে জন্মদিনের একরাধ শুভেচ্ছা। আমি ভীষণ সৌভাগ্যবতী যে একজনের মধ্যে স্বামী ও প্রিয় বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছি। আমার সঙ্গে এভাবে থাকার জন্য তোমায় অনেক ধন্যবাদ। তোমায় ভীষণ ভালবাসি।’
২০১০ সালে ঘরোয়া বিয়ে সরেছিলেন দুজনে কিন্তু সেই বিয়ে আইনসিদ্ধ ছিল না। প্রায় আট বছরের সহবাসের পর ২০১৭ সালে রেজি🌄স্ট্রি বিয়ে করেন অগ্নিদেব-সুদীপা। সেই বিয়ের পরের বছরই পুত্র সন্তান আদিদেবের জন্ম দেন অগ্নিদেব ঘরণী। স্বামী অগ্নিদেব এবং ছেলে আদিদেবকে নিয়🗹ে সুদীপা এখন ভরপুর সংসারী ৷ অগ্নিদেবের প্রথমপক্ষের সন্তান আকাশের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক সুদীপার। দাদা আকাশ অন্ত প্রাণ আদিদেব। বাবার থেকেও দাদার উপরই বেশি তাঁর।
রান্নাঘর শেষ হওয়ার পর আপাতত ছোটপর্দা থেকে দূরে সুদীপা। শাড়ি ও আচারের ব্যꦍবসাতে মন দিয়েছেন অগ্নিদেব ঘরণী।