সুপারস্টার সিঙ্গার ২-এর মঞ্চের অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগি বাংলার ছেলে প্রাঞ্জল বিশ্বাস। নদিয়ার এই খুদে শিল্পী দোতারা বাজিয়ে বাউল গান গেয়ে আগেই জিতে নিয়েছে গোটা দেশের মন। শো-এর তিন বিচারক অলকা ইয়াগনিক, হিমেশ রেশামিয়া আর জাভেদ আলি তো আগে থেকেই প্রাঞ্জলের সুরেলা কন্ঠের ভক্ত, এবার আরও এক প্রশংসক খুঁজে পেল এই বিস্ময় বাল💧ক। স্বয়ং বাবা রামদেব মুগ্ধ প্রাঞ্জলের গানে।
এর আগে বহুবার প্রাঞ্জলের গান শুনে চোখ ছ🧸লছল করে বিচারকদের, তবে শনিবারের এপিসোডে একদম অন্যরকম মেজাজে গান পরিবেশন করল প্রাঞ্জল। এদিন সুপারস্টার সিঙ্গার ২-এর মঞ্চে দেবানন্দ স্পেশ্যাল এপিসোডে বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন বাবা রামদেব এবং অভিনেত্রী জিনাত আমান। এদিন প্রাঞ্জলের কন্ঠে উঠে এল প্রেম পুজারি ছবির ‘ফুলো কি রং সে’। এই গান শুনে বাবা রামদেব তো বলেই ফেললেন, ‘পৃথিবীতে সংগীতের কোনও নতুন অবতার চলে এসেছেন মনে হচ্ছে’। এখানেই থেমে থাকেননি যোগগুরু। তিনি প্রাঞ্জলকে বিশেষ উপহারও দেন। গেরুয়া উত্তরীয় এবং কাঠের খড়ম প্রাঞ্জলকে পরিয়ে দেন তিনি। পবনদীপ রঞ্জনের সুযোগ্য শিষ্যের পর করেন পুষ্প বৃষ্টিও। এই ভালোবাসায় আপ্লুত প্রাঞ্জল। প্রশান্তির হাসি ধরা পড়ল তাঁর চোখেমুখে।
এই প্রোমো ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর থেকেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। বিচꦛারকমণ্ডলী থেকে দর্শক সকলেই তাঁর গানে মুগ্ধ। নেটমাধ্যমে প্রশংসার বন্যা। ইতিমধ্যেই সকলেই ‘প্রভু প্রাঞ্জল’ বলে ডাকতে শুরু করেছে তাঁকে।
আসলে বয়স অল্প হলে কী হবে প্রাঞ্জলের জীবনমুখী কথাবার্তা সর্বদাই মুগ্ধ করে। আজীবন গানের সাধনা করতে চায় প্রাঞ্জল, বড় হয়ে ফকির হওয়াই তাঁর লক্ষ্য। আসলে একদিন হারিয়ে যাওয়া সাইকেল খুঁজতে খুঁজতে এক ফকির বাবার সাথে আলাপ হয় প্রাঞ্জলের। সেই ফকিরবাবাই ওর হাতে তুলে দেয় দোতারা। আর সেটাই এখন সবসময়ের সঙ্গী। এর আগে স্টার জলসার রিয়ালিটি শো ‘সুপার সি💯ঙ্গার জুনিয়ার’-এর মঞ্চ কাঁপিয়েছিল প্রাঞ্জ🏅ল।