গ্রেফতারির ভয়ে বম্বে হাইকোর্টে দ্রুত নিজেদের পিটিশনের শুনানির আর্জি জানালেন সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মীতু সিং, খবর ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে। রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের এই দুই দিদির বিরুদ্ধে প্রয়াত অভিনেতাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয় একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করেছেন। সেই এফআইআর রদ করার জন্য মাসখানেক আগেই বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ꦿের করেন সুশান্তের দুই দিদি।
এনসিবির হাতে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারির মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে দায়ের বান্দ্রা পুলিশ থানায় সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রিয়া, যা মুম্বই পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির🎉্দেশ মেনে তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে।
জাস্টিস এস এস সিন্ধে এবং এমএস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারি💫ত হয়েছে ৪ঠা নভেম্বর।
বম্বে হাইকোর্টকে সুশান্তের দ🔥িদিদের পিটিশনের জবাবে রিয়া জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সিং ও দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিত্সক তরুণ কুমার ভুয়ো প্রেসক্রিবশনের মাধ্যমে বেআইনিভাবে সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রিয়া হলফনামায় জানান বান্দ্রা থানায় তাঁর তরফে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা জরুরি, কারণ এই প্রেসক্রিবশন সুশান্তকে পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের জীবন শেষ করে দেন অভিনেতা।
হলফনামায় রিয়া বলেন ৮ জুন হোয়াটসঅ্যাপের 𝕴মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা সিং ওই প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছিল। যেখানে নেক্সিটো (৫ মিলিগ্রাম), লিব্রিয়াম (১০ মিলিগ্রাম) এবং লোনাজেপ (০.৫ মিলিগ্রাম) সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন।
আইনজীবী মাধক থোরাটের মাধ্যমে দাখিল করা পিটিশনে সুশান্তের দিদিরা আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদেরকে কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ী 🌺করা যেতে পারে না কারণ সেই অভিযোগের ♊ভিত্তি একমাত্র একটি প্রেসক্রিবশন যা এক চিকিত্সকের দেওয়া এবং এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ জাজমেন্ট মেনে চলা বাধ্যতামূলক। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন অনুসারে প্রথম কনসালটেশনে ওই ওষুধ দেওয়া যায় এবং ওইগুলির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি নেই।
রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে জবাবি হলফনামায় জানিয়েছেন- ‘সুশান্ত মুম্বইতে ছিল, নয়া দিল্লিতে নয়। এটা আশ্চর্যের বিষয় যে ডঃ তরুণ কুমার একজন কার্ডিওলজিস্ট হয়ে কীভাবে ভাবলেন এটা সঠিক হಞবে একজনকে সাইকোট্রপিক সাবস্টানসেসের অন্তর্গত ওষুধ প্রেসক্রাইব করা যাঁকে উনি চেনেন না এবং কোনওদিন সাক্ষাত্ করেননি। এমন কোনও প্রমাণ নেই যে ওই অভিযুক্ত চিকিত্সকের সঙ্গে সুশান্তের কোনওরকম যোগাযোগ হয়েছিল’।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তবে⛎ তদন্ত শুরুর পর দু-মাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনও এই মৃত্যু নিয়ে কোনওরকম চার্জশিট দায়ের করেনি সিবিআই।