পুজো শুরু হতে হাতে আর মাত্র কটাদিন। আর বরাবরই কলকাতা আর দুর্গাপুজো মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। পুজো মানেই কলকাতা, আর কলকাতা মানেই পুজোর আসল আনন্দ। তবে এবার কলকাতার আক♐াশে-💃বাতাসে সেভাবে এখনও দুর্গাপুজোর গন্ধ নেই। গত ৯ অগস্টের পর থেকে শহরবাসী মন বড়ই খারাপ।
খোদ কলকাতার বুকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ🌞 হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটতে পারে! তা নিয়ে অনেকেই হতবাক। আর তাই গত ১৫ দিন ধরে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য উত্তাল। গর্জে উঠেছেন রাজ্যবাসী। সকলের একটাই দাবি, বিচার চাই। চারিদিকে শুধু একটাই আলোচনা। ঠিক তখন কোথাও কোথাও কেউ ꧑কেউ দুর্গাপুজো বয়কটেরও দাবি তুলেছেন। তবে প্রতিবাদে সরব হলেও পুজো বন্ধের পক্ষে নন স্বস্তিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্গাপুজো বন্ধের বিরুদ্ধেই মতামত জানালেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী লিখেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়?
নিজে লেখেননি, তবে স্বস্তিকা নিজের ইনস্টাগ্রামে বীরভূম মিম-র একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে লেখা, ‘দুর্গাপুজো বন্ধ নয়, নিজের বোনাস ছেড়েদিন। দুর্গাপুজোর উপর বহু খেটে খাওয়া মানুষের ইনকাম নির্ভর করে। যারা না খেয়ে থাকলে কেউ দুমুঠো খেতে দেয়না। এর মধ্যে আছে ফুচকা বিক্রেতা, খুগনী, ঢাকী। যারা সারা বছর বসে থাকে, পুজোর কটাদিনে একটু বেশি ইনকাম করে নিজের সন্তানকে একটা জামা কিনে দেবে বলে। যারা পুজো বন্ধের কথা বলছেন, তারা পুজোর মাসে বোনাস আর অর্ধেক স্যালারি দান করুন নির্যাতিতার ফ্যামিলিকে মামলা লড়ার জন্য। তাহলেই সেটা সমাজের কা🐈জে আসবে। ১০তলার উপর থেকে দুনিয়া দেখতে খুব ভালো লাগে। যারা মাটিতে থাকে, তারা জানে কষ্ট কতটা হয়। দুর্গাপুজোও চলবে বিচারও হবে। তাই পুজো বন্ধের পোস্ট দিয়ে নিজের আবেগ মেটাবেন না। আন্দোলন চলুক আবেগে নয়, যুক্তিতে।’
পুজো নিয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় নিজে কিছু না বললেও এই পোস্ট শেয়ার ♑করেই নিজের মতামত বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তবে স্বস্তিকার এই পোস্টের নিজে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত উঠে এসেছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এতদিন এত sensible post করে এখন খেটে খাওয়া মানুষকে বোনাস ছাড়তে বলাটা Exactly কী ধরণের…? ক্লাবকে দেওয়া টাকা আর বোনাস এক হলো? DA তো দেওয়া তুলে দিয়েছে 🐻. আর এই রাজ্যে বোনাস তারা পায় যাদের salary খুব কম। কী শেয়ার করছ🐭ো একটু ভেবে শেয়ার করো! আমি তোমার মেয়ের বয়সী . Please ! Tax থেকে বিলিয়ে দেওয়া টাকা আর খেটে খাওয়ার পয়সার মধ্যে পার্থক্য করতে পারার ক্ষমতা না থাকার তো কথা নয়!’ আরও একজন লিখেছেন, ‘তিলোত্তমার হয়ে শ্রদ্ধেয় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আইনি লড়াই লড়ছেন বিনা পারিশ্রমিকে।’
আরও একজন লিখেছেন, ‘একবার তিলোত্তমাকে নিজের করে ভাবলে আর পুজো নিয়ে ইমোশান কাজ করবে না। আর হ্যাঁ, তিলোত্তমার পরিবারের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং করা হচ্ছে।’ কারো🎃র কথায়, ‘ক্লাব-গুলো কে 85000 টাকা না দিয়ে , এই গরিব মানুষদের যদি সেই টাকা সুষম ভাবে বন্টন করে দেওয়া যায়.......তাহলেই সব মিটে যায়’। এই পোস্টের পাল্টা উত্তরে আরও একজন লিখেছেন, ‘ওই ক্লাবের ছেলেরা বুথ দখল করে জেতায়’। কেউ আবার বলেছেন, ‘সেটাই ....তবে এবার আমি কিছুটা আশাবাদী ....যে সরকারই আসুক....তাদের যেন এটা ভালো ভাবে মাথায় ঢোকে 𝐆....যে সাধারণ মানুষ এর উপর চাবুক ঘোরানোর চেষ্টা চালালে তার পরিণতি ভালো হবে না’।
তবে এরই মাঝে স্বস্তিকার সঙ্গে🧸 সহমত এক নেটিজেন লিখেছেন, তিনি নাকি এই এক💟ই বিষয়ে তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গেও ঝগড়া করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটা নিয়েই তুমুল তর্কাতর্কি হল Best friend এর সাথে। কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারলাম না যে আন্দোলন শুধু আবেগ দিয়ে নয় আন্দোলনকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য বুদ্ধি ও সঠিকভাবে পরিকল্পনার ও প্রয়োজন।’