বাংলাদেশের পরিস্থিতি অশান্ত হতেই সোমবার পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তারপর তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ভারতবর্ষেই। নানা ধরনের জল্পনা চলছে এখন শেখ হাসিনাকে ঘিরে। কখনও শোনা যাচ্ছে তিনি ইংল্যান্ড যাবেন তো কখনও 🉐ইউরোপ। এরই মাঝে বাংলাদেশের দেওয়ালে দেওয়ালে হাসিনাকে নিয়ে চলছে কটুক্তি, নোংরামি। যা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিরষ্কার করলেন তসলিমা নাসরিন।
সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করলেন তসলিমা নাসরিন। য🥀াতে দেখা যাচ্ছে বেগম রোকেয়াj ছবি দেওয়ালে। আর সেখানে মুখে কালী লেপা হয়েছে, নোংরা গালাগালি ব্যবহার ক🐭রা হয়েছে।
সেই ছবি শেয়ার করে তসলিমা লিখল🍸েনꦰ, ‘এ কার বাংলাদেশ? নিশ্চয়ই আমার নয়।’
এতে নেট-নাগরিকরা স্বভাবতই স্তম্ভিত। একজন মন্তব্য করলেন, ‘মূর্খামীরও তো একটি সীমা থাকে ! এ কোন পর্যায়ের পশুবৃত্তীয় কাজ? এরা আর কী কী করতে পারলে শান্তি পাবে? মানুষ নামের কলঙ্ক! ছিঃ ছিঃ ছিঃ!’ দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘এটাই এরা। একটা গ্রুপে দেখলাম গ্রুপ অ্যাডমিন ঘোষণা করছে, এবার আর কোনো মহিলা আমাদের প্রধান হবে 💮না৷ মিসোজিনিতে অবশ্য মহিলারা কখনো নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রধান হয় না। বেগম রোকেয়া মেয়েদের শিক্ষার সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক। তাই তাঁকে নিয়ে মিসোজিনিস্টরা এরকম পোস্টারই তো দেবে।’
আরও পড়ুন: বাংল🌞াদেশের গায়ক রাহুলের বাড়ি এখন ছাই-কয়লা! আগে কেমন ছিল অন্দরসাজ, দেখুন ছবিতে
তৃতীয়জন লেখেন, ‘যে কোন দেশ কট্টর মতবাদের সম🃏র্থক হোক, তাদের আক্রমণের প্রাথমিক লক্ষ্য হবেন মহিলা এবং মহিলাদের শিক্ষা! কারণ মহিলারা শিক্ষিত হলে তাদের বিপদ!’ চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘বাঙালি হিসেবে আমরা লজ্জিত!! এ কোন ছাত্রদের জনগণ সমর্থন করেছিল!! এরা জানেনা এরা কি করছে। এরা নির্বোধ হয়ে গেছে। যুক্তি বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। তাদের প্রতি আর ক্ষোভ বিদ্বেষ নেই। শুধুꦓ আছে করুণা। এদের শুভ বুদ্ধির দ্রুত জাগরণ হোক এই কামনা করি।’
আরও পড়ুন: দাদার দ্বিতীয় বিয়ে! রিসেপশনে সেজেগুজে সৌরভ, 𒊎ডোনা-সানার দেখা কি পাওয়া গেল?
সোমবার হাসিন বাংলাদ♓েশ ছাড়ার পর সেখানে লুঠতরাজ চালিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। শাড়ি থেকে শুরু করে গয়না, আসবাব, এমনকী বাথরুমোর কোমোডও ছাড়েনি কেউ। চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। মুরগি, হাঁসের মতো জিনিস গণভবন থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ছবি সামনে আসে। তবে এখানেই থেমে থাকেনি বাংলাদেশের তরুণ সমাজ। একটা ছবিতে দেখা গিয়েছিল, হাসিনার ব্রা চুরি করেছে। সেগুলো হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে ছবিও তোলেন। তখনও এভাবে লজ্জায় মুখ লুকিয়েছিল বাঙালি।