ওপার বাংলা, এপার বাংলার অন্যতম সমাদৃত লেখিকা হলেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর লেখার অসংখ্য গুণমুগ্ধ। তবে বাংলাদেশে তাঁর জন্ম হলেও তিনি বহু বছর ধরেই এই দেশে বাস করছেন। না, নাগরিকত্ব পাননি। তবে রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি সেই অনুমতি পত্রের সময়সীমা শেষ হয়ে🍸 যায়। সেটা পুনর্নবীকরণ প্রয়োজন হলে তিনি বারংবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু কাজ হয়♉ না। এরপর সোজাসুজি অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে একটি পোস্ট দেওয়ার পর দিনই বিশেষ ইঙ্গিতবহ পোস্ট করলেন। তবে কি ছাড়পত্র পেলেন দেশে?
কী লিখেছিলেন তসলিমা?
২১ অক্টোবর অমিত শাহর উদ্দেশ্যে এক্স হ্যান্ডেলে তসলিমা নাসরিন লেখেন, 'সম্মানীয় অমিত শাহ, নমস্কার। আমি ভারতে থাকি কারণ আমি এই দেশটাকে ভীষণ ভালꦓোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার রেসিডেন্সি পারমিট এক্সটেন্ড করা হচ্ছে না সেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে। আমি খুব চিন্তায় আছি। আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ থাকব যদি আপনি এই দেশে আমায় থাকতে দেন। প্রণাম নেবেন।'
এই পোস্ট করার পর অনেকেই তাঁর হয়ে সেই পোস্টের কমেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যে 𝔍তসলিমাকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হয়। তাতেই কি কাজ দিল? বাড়ল লেখিকার এই দেশে থাকার অনুমতি? প🀅েলেন ছাড়পত্র? সোজাসুজি সেই বিষয়ে কিছু না লিখলেও তসলিমার পোস্ট তেমনটাই ইঙ্গিত করছে।
তসলিমা নাসরিন এদিন আবার সেই টুইট রিটুইট ক🍰রে লেখেন, 'অমিত শাহ এক পৃথিবী ধন্যবাদ।' আর এটা দেখেই সকলে মনে করছেন তবে হয়তো লেখিকা ছাড়পত্র পেয়ে গেছেন এই দেশে থাকার।
আরও পড়ুন: একচ্ছত্র আধিপত্য রইল🔜 না আর! রিলায়েন্স-সারেগামা নয়, কাকে ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাং🏅শ বেচলেন করণ?
প্রসঙ্গত গত প্রায় ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে আর ঢুকতে পারেননি তসলিমা নাসরিন। কট্টরপন্থী ইসলামিদের ভয়ে তিনি নিজের দেশ ছেড়েছেন। ১৯৯🔴৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ওই দেশে ফতোয়া জারি হয়। তারপর থেকেই তিনি এখানেই। কিন্তু সম্প্রতি শেখ হাসিনার সরকার উল্টে যাওয়ার পর মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কট্টরপন্থী ইসলামিরা ফের প্রবল ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তসলিমা নিজে সেই বিষয়ে লাগাতার পোস্ট করছেন। আর এমন অবস্থায় তাঁর ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি।