বইয়ের পাতার টেনিদাকে স্বচক্ষে দেখব। ফলে আলাদাই আশা ছিল টেনিদা অ্যান্ড কোম্পানি নিয়ে। মা-ও বেশ খুশিতে ডগমগ হয়ে সঙ্গে ♕গেল ছবিটি দেখতে। নিজের ছোটবেলার সেই চারমূর্তির স্মৃতি ফিরে পেতেই হয়তো! তাছাড়া এখন বাংলা বিনোদন জগতে লুকস অনুযায়ী কাঞ্চন মল্লিক ছাড়া আর কাউকেই তেমন টেনিদার ভূমিকায় মানাত না বলেই কাস্টিংয়ের তারিফ করেই সিনেমাটা দেখতে ঢুকলাম হলে। কিন্তু একি! হাতের পপকর্ন ফুরিয়ে এলেও সিনেমার গল্প জমাট বাঁধল না। প্রথম অংশ এতটাই স্লো, এতটাই বুনোটহীন যে এতটুকু ভালো লাগল না এই ছবি। শেষ পর্যন্ত মনে এক রেশ রয়ে গেল।
সদ্যই মুক্তি পেল টেনিদা অ্যান্ড কোম্প🐼ানি। সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত এই ছবি ১৯ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। অভিনয়ে আছেন কাঞ্চন মল্লিক, তাঁকেই নাম ভূমিকায় দেখা যাচ♍্ছে। এছাড়া আছেন গৌরব চক্রবর্তী, সৌরভ সাহা, সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চক্রবর্তী, মিঠু চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা ঘোষ প্রমুখ।
ভেবেছিলাম বেশ টেনিদার সঙ্গে 'ডি লা গ্রান্ডি ইয়াক ইয়াক' করে আমিও চেঁচাব! কিন্তু টেনিদা কোথায় ছবিতে? পুরোটাই ক্যাবলাময়। চিন্ময় রায়ের যে ছবি টিভির পর্দায় দেখেছি সেটার সঙ্গে, টেনিদার সেই অবয়বের সঙ্গে তুলনাটা এসেই গেল, হ্যাঁ না চাইতেও। কাঞ্চন মল্লিক চরিত্রটা ফোটাতে চেয়েও পারলেন না। আসলে তাঁর স্কোপটাই যে বেশি ছিল নয়। পরিচালক গোটা গল্পেই ক্যাবলাকে তুলে ধরেছেন। তাঁর পারদর্শিতা, তাঁর বুদ্ধি, ত🌺াঁর পড়াশোনা, সবটাই যেন ক্যাবলা। প্যালা আর হাবুল তো থেকেও নেই সায়ন্তনের এই ছবিতে। এই চরিত্র দুটো ভীষণই ম্লান এখানে। ছোটরা যারা এখনও টেনিদা পড়েনি তাঁদের কাছে এই ছবির হিরো নিঃসন্দেহে ক্যাবলাই হবে!
ছবিতে দেখানো হয়েছে ক্যাবলা সবাইকে স্পন্সর করে দার্জিলিং নিয়ে যায়, সেখানে গিয়ে তাঁরা এক ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এক বিজ্ঞানী, 📖থুড়ি তাঁর হামসকল এমন জিনিস বানাতে চান যা মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর। যা দিয়ে গোটা মানবসভ্যতার ক্ষতি করা যায়। আর ক্যাবলাকে সেই জিনিস বানাতে হয়। কিন্তু সে কী সত্যিই সেই জিনিস বানিয়েছিল যা ভন্ড বিজ্ঞানীর ফর্মুলায় লেখা ছিল? কী হল তারপর? সেসব নিয়েই এই ছবি।
টেনিদা অ্যান্ড কোম্পানি♓তে সব আছে, কেবল টেনিদার অংশ, তাঁর কারিগড়িই বড় কম। বইয়ের পাতার সঙ্গে কোনও মিল নেই তাঁর। ছবির প্রথম ভাগ এতটাই স্লো যে ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল। সেখানে কেবলই ক্যাবলার চর্বিত চর্বন আর টেনিদার খাবার প্রীতি ধরা পড়েছে। আর... আর? নাহ! আর কিছুই ছিল না। দ্বিতীয় ভাগে গল্পের গতি সামান্য বাড়লেও গল্প জমল না।
এই ছবির মূল নায়ক কাঞ্চন টেনিদা নন, গৌরব। আর তিনি তাঁর চরিত্র সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। টেনিদাকে যতটা দেখানো হয়েছে বড়ই মেকি লেগেছে। আর তাঁর বাকি ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚদুই সাগরেদ অর্থাৎ প্যালা আর হাবুল তো যেন এই ছবিতে থেকেও ছিল না। এতটাই ম্লান ছিল এই চরিত্র দুটো।
সব্যসাচী চক্রবর্তীকে বহুদিন পর এই ছবিতে দেখা গেল। কিন্তু প্রাক্তন ফেলুদাকে ব🎃ড়ই ম্যাড়েম্যাড়ে লাগল এই ছবিতে। বেণুদার এত ঠান্ডা অভিনয় এর আগে কখনই পর্দায় দেখিনি। তেমনই 🌳মিঠু চক্রবর্তীর অভিনয়। একেই চরিত্রটি ছোট তার মধ্যে কেমন বিকারহীন অভিনয় দেখা গেল তাঁর। গোটা ছবি জুড়ে কেবলই 'চক্রবর্তী' পরিবার যেন।
তবে অন্যদিকে তুলনায় ঋদ্ধিমার করা কয়েকটি ভৌতিক দৃশ্য তুলনাꦛমূলক ভালো। কিন্তু সবার ডায়লগ কেমন যেন নিষ্প্রাণ ছিল। গুন্ডাদের চরিত্রে যাঁরা ছিলেন তাঁদেরও তথৈবচ অবস্থা।
এবার আসি দৃশ্যায়নের কথায়, দার্জিলিংয়ের টুকরো ছবিও ধরা পড়েনি। অত মোহময়ী পাহাড়কে সেভাবে দেখানো হল কই ছবিতে? বরং ওদেꦫর প্ল্যান শুরু হওয়া থেকে ট্রেনে ওঠার দৃশ্য, এমনকি পাহাড়ে পৌঁছানোর পরের দৃশ্যগুলো পর্যন্ত মনে হয়েছে যেন পর পর জোর করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও স্মুদনেস ছিলই না। তবে🅘 এই ছবিতে ব্যবহৃত হওয়া মিমোর একটি মাত্র গান বেশ সুন্দর।
শেষ কবে এমন 🔯সুন্দর একটি গল্পের এত বাজে চিত্ররূপ দেখেছি সত্যিই মনে করতে পারলাম না। বিশেষ করে সায়ন্তন ঘোষালের মতো পরিচালকের থেকে এ হেন কাজ একদমই আশা ছিল না। ভীতু টেনিদা🉐 দেখে আশ মিটল না। আশাহত করলেন সায়ন্তন অ্যান্ড টিম।