বেশকিছুদিন আগে পর্যন্ত বলিপাড়ায় হুজুক উঠেছিল, ঘটা করে বিয়ে করতে হলে যেতে💖 হবে বিদ༺েশে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে 'ডেস্টিনেশন ওয়েডিং'-এর চল শুরু হয়েছিল। বিরাট-অনুষ্কা থেকে দীপিকা-রণবীর, বহু তারকাই একসময় বিয়ে করতে ছুটছিলেন বিদেশে। তবে এবিষয়ে গতবছরই জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে ‘ফোকাল ফর লোকাল’-এর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আমরা কেন নিজের দেশে বিয়ে করি না?’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'ওয়েড ইন ইন্ডিয়া'কে গুরুত্ব দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, দেশের টাকাকে দেশেই রাখা। দেশীয় বাণিজ্যকে আরও বাড𝐆়া🧸নো। প্রধানমন্ত্রী 'ওয়েড ইন ইন্ডিয়া' নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে গুজরাটের জামনগরে ঘটা করে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। যে আয়োজনে সামিল হয়েছিলেন গোটা পৃথিবীর তাবড় তাবড় ব্যক্তি থেকে সেলেব। আর এবার আম্বানিদের ছোট ছেলে অনন্তের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে মুম্বইতেই। সেই বিয়েতেও ঘটা কিছু কম হবে না। আর যে বিয়ের অনুষ্ঠান শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই নয়, দেশের বিবাহ সেক্টর, ইভেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতেও আলোরণ তৈরি করেছে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিয়েটা একটা ‘শিল্প’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে অনুষ্ঠান🌠কে ঘিরে জুড়ে থাকেন বিয়ের পরিকল্পনাকারী, ডেকোরেটর, ক্যাটারার সহღ অন্যান্য নানান পরিষেবা। আর তাই দেশের মাটিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে এই সব পরিষেবা, শিল্পগুলিই বিকাশ লাভ করে। আর এই শিল্পগুলিকে ঘরে বাড়ি দেশের অর্থনৈতিক লেনদেন। আর তাতে আখেরে দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য়ই উপকৃত হয়।
আর আম্বানিদের মতো মেগা-বিবাহের ক্ষেত্রে প্রায়ই আন্ত꧋র্জাতিক ও দেশীয় প্রতিভার মিলন হয়। আর সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইকনের পাশাপাশি স্বদেশী প্রতিভার দক্ষতাও তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে তাই লাইমলাইট পান আঞ্চলিক কারিগর, ডিজাইনার এবং পারফর্মাররা। তাই তাঁরাও তাঁদের ক্ষমতা তুলে ধরতে একটা দুর্দান্ত মঞ্চ, বৃহত্তর স্বীকৃতি পান। আর তার হাত ধরে আবারও নতুন সুযোগ তৈরি হয়। তাই বলাই বাহুল্য, আম্বানিদের এই বিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তারে আরও একবার বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে।