২০০১ সালে শুরু হওয়া ধারাবাহিক 'কসৌটি জিন্দেগি কী' রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল ছোটপর্দায়। ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে আটটা বাজলেই দর্শকরা বসে যেত 'প্রেরণা - অনুরাগ' এর প্রেমকাহিনি দেখা এবং শোনার জন্যে। কাজ ভুলে তাঁদের চোখ এবং মন থাকত টেলিভিশনের পর্দাতেই। তবে জানেন কি এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকের সঙ্গে জড়িয়েছিল বলি-অভিনেতা বরুণ শর্মার প্রেম? পর্দায় যতদিন এই ধারাবাহিকের প্রথম সিজন চলেছিল ততদিন টিকেছিল 'ফুকরে' অভিনেতার প্রেম। সম্প্রতি, হ𓆏িন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই ঘটনার ব্যাপারে জানিয়েছেন এই 'দিলওয়ালে' অভিনেতা।
একটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মেরআসন্ন শো 'চুৎস্পা'-তে 'লং ডিসট্যান্স' সম্পর্কে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। মূলত নয়া প্রজন্ম এ🏅বং তাঁদের ডিজিট্যাল সম্পর্কের বিভিন্ন গলিঘুঁজি ঘিরে এগোবে এই ছবির গল্প। সেই ব্যাপারে বলতে গিয়েই বরুণ জানান তিনি বহুবছর কোনও সম্পর্কে নেই। সহজ কথায়, প্রেম কছেন না বহুবছর। তবে একবারএই 'লং ডিসট্যান্স' সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তা ছিল যেমন মজাদার তেমনই অদ্ভুত। নিজ🍒েই জানানলেন বরুণ। 'তখন স্কুলে পড়ি। সেটা মুঠোফোনের জগ ছিল না। বাড়িতে ল্যান্ডলাইন ফোন ছিল। সেটাই বিরাট ব্যাপার ছিল। আমাদের বাড়িতেও ছিল। শুধু ল্যান্ড ফোন ছিল না, তার ওপর তাতে আবার তালাও লাগানো থাকত যাতে অকারণে ফোনে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা না মারতে পারি।'
সামান্য থেমে ফের বলা শুরু করলেন অভিনেতা,' সেই সময়ে একটি মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয়। বলব না যে তাঁর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করতাম তবে আমরা দু'জন পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে চাইতাম। ভালো লাগত। কিন্তু বলব কী করে? ল্যান্ড ফোনে তো ওই ব্যাপারে। অবশেষে দু'জন মাইল একটা উপায় বের করেছিলাম রোজ কথা বলার। সেইসময়ে টেলিভিশনে রমরমিয়ে চলছে 'কসৌটি জিন্দেগি কী'। আমার মা খুব ভক্ত ছিলেন। সময় হলেই টিভির পর্দায় চোখ রেখে বসে পড়তেন। কোথাও উঠতেন না। অন্যদিকে, সেই মেয়েটির মেয়র ক্ষেত্রেও গল্পটা একই ছিল। তাই এই সিরিয়াল শুরু হলে আমরা দু 'জনেই হাজির হতাম ফোনের কাছে। ব্যাস! আর কী, চুটিয়ে শুরু হতো গল্প।' তবে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকের প্রথম আরব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেদ পড়েছিল বরুণ আর তাঁর সেই বান্ধবীর 'টেলিফোন 🤪প্রেম'-এ। ফলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছিল। 'কসৌটি জিন্দেগি কী' শেষ হওয়ার পাশাপাশি দাঁড়ি পড়েছিল তাঁদের এই 'প্রেম কাহিনি'-তেও।