আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। স্বাধীনতা দিবসের আগে কলকাতা-সহ গোটা দেশে রাত দখলে নেমেছে মেয়েরা। আরজি করের নারকীয় ঘটনা নিয়ে একে একে মুখ খুলছেন টলিউড তারকারা। দেব-জিৎ-আবির-প্রসেনজিৎ-এর পর এবার এই নক্কারজনক ঘটনা নিয়ে সরব হলেন সোহম। আরও পড়ুন-‘কল্ꦦপনাও করতে পারছি না…’, তিনিও মেয়ের বাবা! আরজি করের নারকীয় ঘটনায় সরব জিৎ
তৃণমূলের তারকা বিধায়ক নিজে দিন কয়েক আগে চড়কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। কম সমালোচনা কুড়োতে হয়নি তাঁকে। সেই রেশ খানিক কেটেছে। আপতত নতুন ছবির শ্যুটিংয়ে নায়ক। তার মাঝ🔜েই আজি করের ৩১ বছরের মৃতা তরুণীকে ‘বোন’ সম্বোধন করে সোহম 🔴সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন- ‘বয়সে আমার থেকে অনেকটা ছোট ও। তাই দাদা হিসাবে চাই ওর বিচার হোক।’
সোহম লেখেন- ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে কলকাতার একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমিও চাই, বিচার হোক। যা সত্যি তা সকলের সামনে আসুক। যার যে রকম☂ প্রতিবাদের ভাষা, সে ভাবেই যেন প্রতিবাদ করে। কোনও মহিলার উপরে এ রকম জঘন্য অপরাধ করার কথা আর যেন কখনও কেউ ভাবতে না পারে। এই সমর্থন এক দিনের নয়। যত দিন না বিচার পাচ্ছেন, তত দিন বাকিদের মতো আমিও আমার বোনের পাশে থাকব।’
আর জি কর মামলায় কলকাতা পুলিশে আস্থা দেখায়নি হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই এই মামলার তদন্তভার সঁপে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার সকালে সিবিআই মামলার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেয়। যদিও দেবের প্রধান সহকর্মী কিন্তু কলকাতা পুলিশের দরাজ প্রশংসা করলেন। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, ‘কলকাতা পুলিশের তৎপরতাতেই কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন অভি🔯যুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না সেটাও যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে দেখছে প্রশাসন।’ সোহমের বিশ্বাস, এখনও কলকাতা শহরের এই মেয়েরা কাজের শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন কলকাতা পুলিশের তৎপরতার জেরেই।
আরও পড়ুন-‘১৫০ গ্রাম 🍌বীর্য মিলেছে শরীরে, কাস্টডিতে বলির পাঁঠা ’, আরজি কর কাণ্ডে সরব যিশু-কন্যা সারা
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের চব্বিশ ঘণ্টার আগেই গ্রেফতার হয় সঞ্জয় রায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে শুরু করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই ঘটনা একা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা চিকিৎসকের পেটে, ঠোঁটে, আঙুলে, বাঁপায়ে ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকের চশমার কাচ ভেঙে চোখে ঢুকে গিয়েছিল। তাঁর🍰 মুখ খুব জোরে চেপে ধরে রাখা ছিল। তার মাথা দেওয়াল💮ে বা মেঝেতে ঠুকে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে মৃত চিকিৎসকের গালে ক্ষত রয়েছে। তা হামলাকারীর নখের থেকে হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। এদিকে চিকিৎসকের পালটা লড়াইয়ের চিহ্ন নাকি সঞ্জয়য়ের শরীরেও পাওয়া গিয়েছে।