সামনেই আলোর উৎসব। মন খারাপের মাঝেই এবার দীপাবলি উদযাপ𝕴ন করবে বাংলা। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকদের খুন ও ধর্ষণের ক্ষত আজও মনে দগদগে সংবেদনশীল বাঙালির। উৎসবে ফের প্রসঙ্গে সটান ‘না’ বলেছিলেন সোহিনী-স্বস্তিকারা।
আরজি কর কাণ্ডে পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ধর্মতলায় ধরণাতেও বসেছেন টল🌼িপাড়ার নতুন বউ। এরপর দুর্গাপুজোয় প্রোমোশন করে ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। বাদ গেল না দীপাবলিও। কালীপুজোর এক নামী পত্রিকার হয়ে ফটোশ্যুট সরেছেন সোহিনী। আলোর উৎসবে কেমন সাজ হবে, সেই টিপস দিতে দেখা গেছে নায়িকাকে।
সেজেগুজে ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার জেরে এবার কꦫুণাল ঘোষের রোষের মুখে নায়িকা। কটাক্ষের সুরে তৃণমূলের মুখপাত্র লেখেন, ‘এই বাংলায় দীপাবলীর মডেল কিন্তু হওয়া যায়!….. দেখে মুগ্ধ হলা﷽ম। ভারি সুন্দর।’ আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে সোহিনী জানিয়েছিলেন, এই দেশে তিনি মা হতে পারবেন না। সেই মন্তব্য়ের রেশ ধরেই শোভন-ঘরণীকে খোঁচা দিলেন কুণালবাবু।
সোহিনী ঠিক কী বলেছিলেন?
গত অগস্টের শেষে সোহিনী বলেছিলেন, 'আমার সদ্যই বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামীকে আমি সেদিন বললাম 🐻মা হব? কোন দেশে মা হবো? আমার সন্তানকে পৃথিবীতে এনে এরম দেশে রেখে যেতে আমি চাই না। আমি আমার সন্তানকে এমন একটা দেশে🍃 আনতেই পারব না।'
গত জুলাই মাসে গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ক🔯ে বিয়ে করেন সোহিনী। সম্পর্কে বাম নেত্রী দীপ্সিতার বৌদি তিনি। শোভনকে বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে তܫৃণমূল নেতাদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন সোহিনী।
কুণাল ঘোষের পোস্ট ঘিরে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই তৃণমূল নেতাকেও পালটা ট্রোল করেন। একজন লেখেন, ‘দাদা বয়স হচ্ছে আপনার’। পালটা কুণাল লেখেন, ‘আহা, সেটা ꦅমনে করানোর কী দরকার!’ তবে অনেকেই কুণাল ঘোষের সুরে সুর মিলিয়েছেন। তেমনই একজন লেখেন, ‘নিজে নিজেকেই ট্রোলের স্বীকার করানো যায় এটাও কিন্তু এই মহিলার থেকে শেখা।’
সোহিনীর 'মা হতে পারব না' মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছে বাংলাপক্ষও। সংগঠনের সদস্য কৌশিক এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘উনি বাংলায় মা হতে চান না, কোথায় মা হতে চান? তিনি ভ😼ারতের কোন রাজ্যে? পৃথিবীর কোথায়….. পৃথিবীর এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ধর্ষণ হয় না….প্রতিটা সমাজে ধর্ষণ হয়, ধর্ষকরা সমাজের কলঙ্ক। ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়া আমাদের সবার লক্ষ্য, নারী অধিকার, নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সবার লক্ষ্য। কিন্তু এটা বাংলা বলেই মহিলারা সারারাত জেগে রাত জেগে আন্দোলন করতে পারে।’