সদ্য ঢাকা আন্তর্জাতি🌳ক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। প্রথমবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেন তিনি। সব্যসাচী অভিনীত ছবি ‘জেকে ১৯৭১’ শনিবার প্রিমিয়ার হয়েছে চলচ্চিত্র উৎসবে। ছবির পরিচালনায় ফাখরুল আরেফীন খান।
২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছব♕ি হিসেবে ছিল ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’। প্রথমবার ঢ♓াকার দর্শক দেখতে পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিটি। সেখানেই বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব্যসাচী জানিয়েছেন, অভিনয় থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।
‘জেকে ১৯৭১’-এর নতুন কোন ছবিতে দেখা যাবে সব্যসাচীকে? বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘ফেলুদা’ খ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘আপাত💜ত আমি কোনও সিনেমাতেই নাম লেখাচ্ছি না। আমি সিনেমা থেকে বিদায় নিচ্ছি। এখন অবসরের সময়। সবাইকে আমি না করে দিচ্ছি। অনেক অফার এসেছে। অভিন🌸য় করছি না।’
আরও পড়ুন: মঞ্চে পারফর্ম করেছে দুই ছেলে, প্রেমিকাকে পাশে বসিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন হৃতিক, ছবি
কেন বিদায় নিচ্ছেন, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ‘ফেলুদা’ খ্যাত অভি☂নেতা জানিয়েছেন, নিজের মতো করে বাকি সময় কাটাতে চান তিনি। পছন্দের খাবার খাবেন, ঘুমাবেন, বই পড়বেন, টেলিভিশন, ওটিটি দেখবেন, খেলা দেখবেন—আপাতত এই পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
আচমকা কেন বিদায় নিতে চান? অভিনেতার কথায়, ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছি। কোভিডে আক্রাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚন্ত হয়েছি। আমি অসুস্থ। এবার আমি অবসর নিতে চাই।’ একই সঙ্গে সব্যসাচী জানিয়েছেন, দীর্ঘ ওকেরিয়ারে তাঁর সবথেকে বড় প্রাপ্তি ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করতে পারা।
‘জেকে ১৯৭১’ ছবির প্রেক্ষাপট, ২৮ বছর বয়সী এক দুরন্ত সাহসী যুবককে নিয়ে। ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়🐎ারওয়েজের একটি বোয়িং ৭২০ বিমানের ককপিটে উঠে পড়েন ফরাসি নাগরিক জ্যঁ ক্যুয়ে। তাঁর ব্যাগে বোমা ও হাতে বন্দুক। বিমানটিকে রানওয়েতে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন 🔥তিনি। তাঁর একমাত্র দাবি ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য ২০ টন ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। সেই যুবককে নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জেকে ১৯৭১’। এটিকে বলা হচ্ছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা।’
ছবিতে এক পাকিস্তানি পাইলটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘ফেলুদা’ খ্যাত সব্যসাচী চক্রবর্তী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শরণার্থী হয়েছিলেন, তাঁদের শিশুর♌া সেই সময় অনেকেই না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছিলেন। সেই অবস্থা দেখে ফরাসি ওই ব্যক্তি ২০ টন ওষুধ দিয়ে বাংলাদেশের শিশুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। এটাই গল্পে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে।