টিভির পরিচিত মুখ তৃণা সাহা। এর আগে একাধিক ধারাবাহিকে দর্শক মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন। তবে শেষ মেগা ‘বালিঝড়’ সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি। টিআরপি এমন খারাপ ছিল যে♚ মাত্র দু মাসে তা বন্ধ হয়ে যায়। এই ধারাবাহিকে তৃণা-র সঙ্গে ছিল ‘খড়কুটো’ কো-স্টার কৌশিক রায় ও ধুলোকণার লালন ইন্দ্রাশিস রায়। লেখিকা ছিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এত ভালো স্টারকাস্টও বাঁচাতে পারেনি এই মেগাকে।
গত ১৬ এপ্রিল ‘বালিঝ༺ড়’-এর শেষ এপিসোড সম্প্রচারিত হল। যদিও ব্🦩যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী বেশ। নীলের সঙ্গে জুটিতে একাধিক বিজ্ঞাপন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব অ্যাক্টিভ। অনেকেরই ধারণা সিনেমা-সিরিয়ালে কাজ ছাড়াও বিজ্ঞাপনে কাজ করে কোটি কোটি আয় হয় ছোট পরদার ‘গুনগুন’-এর। সত্যিই কি তাই?
তৃণা এই সময়কে জানালেন, কোটি কোটি টাকা আমি কোনওদিন চোখেই দেখিনি। কোনও খাত থেকেই আমি কোটি কোটি টাকা রোজগার করি না। তবে হ্যাঁ আমি বিজ্ঞাপন হোক বা🍸 সিরিয়াল কিংবা সিনেমা, যে কাজটাই করি তাতে নিজের ৫০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করি।
সঙ্গে জানালেন, নতুন কোনও কাজের খবর আপাতত নেই। পছন্দমাফিক চরিত্র পেলে তবেই ফিরবেন ক্যামেরার সামনে। এখন বেশিরভাগ সম꧙য়টা কাটাচ্ছেন বাড়িতেই। সঙ্গে তাঁর আর নীলের একটা স্টুডিয়ো আছে গড়িয়াহাটে, সেটা সাজানোয় মন দিয়েছেন। সেটাকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। নীল যেহেতু এখন ‘বাংলা মিডিয়াম’ নিয়ে ব্যস্ত, তাই তিনিই সবটা দেখছেন। তৃণা বললেন, ‘আমাদের স্টুডিওতে সব ধরনের শ্যুটিং হয়। প্রচুর লুক সেট হয়। প্রি-পোস্ট প্রোডাকশনের সব কাজ হতে পারে ওখানে।’ সঙ্গে বাড়িতে রয়েছে চিনি আর রক্সি নামের দুজন পোষ্য, তাঁদেরও সময় দেওয়া হচ্ছে বেশি বেশি করে।
মাঝে নীল আর তৃণার বিচ্ছেদের খবর রটে যায়। প্রথমে এই ব্যাপার নিয়ে চুপ থাকলেও পরে মুখ খোলেন দুজনেই। সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে ছড়ানো ‘গুজব’ খারাপ প্রভাব ফেলে তাঁদের পরিবারের উপর। তৃণার বক্তব্য ছিল, ‘এই খবরে আমাদের কাছের মানুষের আঘাত পায়। আমার আর নীলের পরিবার অনেক বড়। আমাদেরও অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কারও বিষয়ে লেখার আগে একবার ভেবে দেখবেন তাঁরাও মানুষ। আপনার কাছের মানুষের ব্যাপারে যদি এরকম বলা হয় আপনার ভালো লাগবে?’ আর নীল কিছুটা উপহাসের সুরেই বলেছিলেন,🐟 ‘লাইফে যদি এরকম বড় কিছু হয় তা প্রপারলি সবাইকে জানাব। সেটা এই ভাবে দরকার পড়বে না লাইক বা পোস্ট দেখে। এভাবে মানুষকে বিচার করাটা ভুল।’।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )