গত বছর আজকের দিনেই বলিউডের ডান্সিং জগতে অভিভাবকহীন করে চলে গিয়েছিলেন সরোজ খান। যাঁকে ভালোবেসে সকলে মাস্টারজি বলেই ডাকত। এই কিংবদন্তি কোরিওগ্রাফারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প🦄্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে মাস্টারজির বায়োপিকের ঘোষণা সারল প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ। এদিন সংস্থার কর্ণধার ভূষণ কুমার🍨 জানান, সরোজ খানের বায়োপিকের স্বত্ব কিনে নিয়েছে তাঁর সংস্থা। সরোজ খানের দুই সন্তান রাজু, সুকাইনা এবং দুই নাতনির (প্রয়াত কন্য হিনা খানের সন্তান) কাছ থেকে প্রয়াত কোরিওগ্রাফারের জীবনকাহিনি রুপোলি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার অনুমতি নিয়েছেন প্রযোজক ভূষণ কুমার।
সরোজ খানকে ভারতের প্রথম মহিলা কোরিওগ্রাফার হিসাবে চিহ্নিত করে ভূষণ কুমার জানান, তাঁর জীবনী পর্দায় তুলে ধরাটা টি-সিরিজের জন্য গর্বের বিষয়। সরোজ খানের বায়োপিক ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বল🌠িউডে জোর জল্পনা, তবে কাকে এই ভূমিকায় দেখা যাবে? সরোজ খানের বায়োপিক মানে এই ছবি শ্রীদেবী এবং মাধুরীর চরিত্রেই বা কে অভিনয় করবেন? কারণ একথা কারুর অজানা নয় সরোজ খানের বলিউড কেরিয়ারের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই দুই বলিউড সুন্দরীর নাম। এই বিষয় নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে টি-সিরিজ। জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই সরোজ খানের বায়োপিকের কাস্টিং এবং বাকি তথ্য জানানো হবে।
সরোজ কন্য সুকাইনা খান এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমার মা’কে গোটা ইন্ডাস্ট্রি সম্মান জানায়, আমরা খুব কাছ থেকে ওঁনার স্ট্রাগল দেখেছি, লড়াইটা অনুভব করেছি। আমি আশা করছি এই বায়🎶োপিক ওঁনার সেই লড়াইয়ের সঙ্গে সুবিচার করতে পারবে। ভূষণজি ওঁনার ওই কাহিনিটা তুলে ধরতে পারবেন, পরিবা🌜রের প্রতি ওঁনার ভালোবাসা, নাচের প্রতি, ইন্ডাস্ট্রির প্রতি ওঁনার নিষ্ঠা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন'।
সরোজ খানের আসল নাম নির্💛মলা নাগপাল। জন্ম ১৯৪৮-এর ২২ নভেম্বর। হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মাত্র তিন বছর বয়সে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বি সোহানলালের সঙ্গে কাজ করতে থাকেন আবার নাচও শিখতেন তাঁর কাছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে কিশোরী সরোজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর ৪১ বছর বয়সি মাস্টার জি সোহানলালকে বিয়ে করার। যদিও সোহানলাল সেই সময় বিবাহিত এবং চার সন্তানের পিতা। মাত্র ১৪ বছরেই মা হয়েছিলেন সরোজ খান। মাত্র সতেরো বছর বয়সে সোহনলালের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সরোজের। এরপর সন্তানদের নিয়ে কিশোরী সরোজের লড়াই শুরু। পরবর্তীতে ৯৭৫ সালে সরোজ খান একজন ব্যবসায়ী, সর্দার রোশন খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। তাঁদের কন্যা সন্তান সুকাইনা খান।
‘গীতা মেরা নাম ’ (১৯৭৮) সিনেমার মাধ্যমে একজন স্বতন্ত্র কোরিওগ্রাফার হিসাবে প্রথম ব্রেক পান সরোজ ।এরপর থেকেই তাঁর কোরিওগ্রাফি পরিচালকদের মন জয় করতে থাকে, ডাক পান নতুন নতুন ছবিতে। মিস্টার ইন্ডিয়া-র পর রাতারাতি সারা দেশের মানুষের নয়নের মণি হয়ে উঠেন সরোজ খান। শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত থেকে কারিনা কাপুর খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, শিল্পা শেঠি কুন্দ্𒅌রা, কাজল, কঙ্গনা রানাউত, আলিয়া ভাট- আশি, নব্বইয়ের দশক পেরিয়ে ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কলঙ্ক’ ছবিতে সাফল্যের সঙ্গে সুপার ডুপার হিট গান কোরিওগ্রাফ করেছেন সরোজ খান। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অজস্র সম্মান, কিন্তু সর্বোপরি তিনি ঘর করে রয়েছেন কোটি কোটি হিন্দি সিনেপ্রেমীর হৃদয়ে।