মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন উস্তাদ রাশিদ খান। দক্ষিণ কলকাতর বাইপাস সংলগ্ন এক হাসপাতালে ভর্তি তিনি। আইটিইউতে রয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী শিল্পী। বহুদিন ধরেই প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন এই বিখ্যাত ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। এর মাঝেই ব্রেন স্ট্রোক হয় তাঁর, ফলে সঙ্কটজনক উস্তাদ রাশিদ খানের শারীরিক পরিস্থিতি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও সঙ্কটমুক্ত নন,তবে শিল্পীর পরিস্থিতি স্থিতিশীল। স্ট্রোকের ফলে উস্তাদ রাশিদ খানের বাঁ দিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তবে নতুন করে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়নি। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি।
এক মাসেরও বেশি ꦿসময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘আওগে যব তুম ও সাজনা’ খ্যাত গায়ক। ক্ꦇযানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, এর মাঝেই মস্তিষ্কে একাধিক বার স্ট্রোক হয়। তারপর থেকেই চিকিৎসাধীন রাশিদ খান। আপতত রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে শিল্পীকে। রাশিদ খানের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখে কুলুপ পরিবারের। স্ত্রী-পুত্র একটা বাক্যও খরচ করেনি। সংবাদমাধ্যম কর্মীদের ফোন তোলেননি কেউই।
এর মাঝেই প্রায় দু-মাস পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ রাশ🌌িদ পুত্র আরমান। এদিন আরমান খান একটি গানের ভিডিয়ো পোস্ট করেন। আশা ভোঁসলের ‘সলোনা সজন’ গানটি গাইলেন আরমান। আরমানের গানের কমেন্ট বক্সে অধিকাংশেরই প্রশ্ন, ‘উস্তাদজি কেমন আছেন?’ তবে কোনওরকম উচ্চཧবাচ্য করেননি রাশিদ পুত্র।
জানা যাচ্ছে, রাশিদ খানকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন মেডিসিন ও চিকিৎসকদের এক বিশেষ দল। তাঁকে দেখেছেন এক বিশেষ স্নায়ুচিকিৎসকও। তবে পরিস্থিতি যথেষ্ট 🉐জটিল ব⛄লেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। এই ঘারানাটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। এই ঘরানারই আর এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে তালিম নিয়েছিলেন রাশিদ । যিনি সম্পর্কে রাশিদের দাদু। গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রাশিদ। সম্পর্কে তিনি তাঁর মামা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ছাড়াও বহু ফিউশন বা বলিউড এবং♚ টলিউডের ছবিতেও গান গেয়েছেন এই শিল্পী।