চলতি সপ্তাহেই আমাজন প্রাইম ভিডিয়োয় মুক্তি পেতে চলেছে বরুণ ধাওয়ান ও জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘বাওয়াল’। পরিচালক নীতিশ তিওয়ারির সৌজন্যে প্রথমবার পর্দায় জুটিতে বরুণ-জাহ্নবী। ডেভিড পুত্র ও শ্রীদেবী কন্যার ইউনিক লাভস্টোরি অনস্ক্রিনে দেখবার আগেই তাঁদের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়ে জোরচর্চা। সৌজন্য়ে ‘বাওয়াল’ ছবির এক প্রোমোশন্যাল শ্যুট। ‘বাওয়াল’-এর ফটোশ্যুটে নায়িকার সঙ্গে একটু বেশিই ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গেল বরুণকে। একসময় তো জাহ্নবীর কানেও কামড় বসালেন করণের স্টুডেন্ট অফ দ্য় ইয়ার। সেই ঝলক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার মুখে বরুণ। আরও পড়ুন-হিটল♑ারের শহরে হানিমুনে গিয়ে বরুণ-জ🏅াহ্নবীর ‘বাওয়াল’! যুদ্ধভূমিতে দাম্পত্য টিকবে?
নেটিজেনদের অনেকের চোখেই বরুণের এই কাণ্ড ‘অশালীন’ ‘ঠেকেছে। সেই নিয়ে ইতিܫমধ্যেই চাপা চর্চা শুরু চারিদিকে। নীতি পুলিশরা বরুণকে শালীনতার পাঠ দিতে উঠেপড়ে লেগেছে, আবার কারুর কারুর মতে সবꦇসময়ই নায়িকাদের সঙ্গে এহেন ‘নোংরা আচরণ’ করে থাকেন বরুণ।
ভাইরাল ছবিতে কালো পোশাকে ধরা দিয়েছেন ‘বাওয়াল’ জুটি। কাঁধখোলা কালো শর্ট ড্রেসে জাহ্নবী, সাদা-টিশার্টের উপর কালো লেদার জ্যাকেট🙈 আর প্যান্টে পাওয়া গেল বরুণ ধাওয়ানকে। জাহ্নবীর কানে বরুণের কামড় বসানোর স্ক্রিনশট তুলে এক রেডিট ইউজার লেখেন, ‘মানে হচ্ছেটা কী?’
এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বরুণকে। একজন লেখেন, ‘সবসময়ই নায়িকাদের সঙ্গে এমন অভদ্র ব্যবহার করে বরুণ, ছেলেটা শুধরালো না’। অপর একজন লেখেন, ‘ছিঃ এটা কোন দেশের সংস্কৃতি, জঘন্য আচরণ’। অপর এক নেটিজেনের কথায়, ‘অনেকে বলছে বরুণ বিবাহিত, এমন কাজ করা 🍸উচিত নয়, আমি তো বলব অবিবাহিত হলেও এমন কাজ করা অনুচিত। এটাকে চিপ পাবলিসিটি বলে’। অনেকের মতেই জাহ্নবীর উচিত হয়নি, এমন কাজকে প্রশয় দেওয়া। বরুণকে উচিত সবক শেখানো উচিত ছিল। কে🅷উ কেউ তো লিখে দেন, ‘আমি হলে তো চড়ই মেরে দিতাম, জাহ্নবীও নিশ্চয় এনজয় করছিল’।
মাস কয়েক আগেই মার্কিন সুপার মডেল জিজি হাদিদকে কোলে তুলে চুমু খেয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বরুণ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেও সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন বরুণ। আম্বানিদের কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনে ভারতে এসেছিলে জিজি, অনুষ্ঠানের মাঝেই ঘটে যায় এমন ঘটন🦄া।
‘বাওয়াল’ ছবিতে দেখা যাবে লখনউয়ের স্কুল শিক্ষক বরুণের (অজ্জু)- জীবনের একমাত্র হাতিয়ার মিথ্যা। মিথ্যায় ভর করেই নিজের একটা ইমেজ গড়েছে সে। প্রথম দেখাতেই নিশা (জাহ্নবী)-র প্রেমে পড়ে যায় অজ্জু। দুজনের মধ্যে কোনওরকম মিল নেই, তবুও বিনা-বাধায় শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হয় তাঁদেℱর। বাবার টাকায় বউকে নিয়ে হানিমুনে প্য়ারিস-সহ দ্বিতীয় বিশ্বয✤ুদ্ধের মূলকেন্দ্রগুলিতে হাজির অজ্জু। আর সেখানেই বদলে যায় দু'জনের সম্পর্কের সমীকরণ। ছবির ট্রেলারে পরিচালক স্পষ্টই জানিয়েছেন, প্রত্যেক প্রেম কাহিনির ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে একটি যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ জিতলে তবেই তো প্রেম সফল। কেমনভাবে অজ্জু-নিশা জয় করবে সেই যুদ্ধ? তাই উঠে আসবে ছবিতে।