গত বছর অক্টোবর মাসে মুক্তি পেয়েছিল বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ছবি টুয়েলভথ ফেল। বক্স অফিসে তেমন দাপিয়ে ব্যবসা না করলেও♕ ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চর্চায় উঠে আসে বিক্রান্ত মাসের ছবি টুয়েলভথ ফেল। শুরু হয় জোরদার আলোচনা। তৈরি হয় মিম। গোটা দেশজুড়ে একটি ঝড় বইতে শুরু করে টুয়েলভথ ফেল ছবিটির যেখানে সকলেই এটির প্রশংসা করেন, সে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেবরা সহ সকলেই। এই ছবিতে উঠে এসেছে আইপিএস মনোজ শর্মার🐷 বাস্তব জীবনের ঘটনা। কিন্তু জানেন কি এই ছবির পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়াকে তাঁকে স্ত্রী বলেছিলেন যে এই ছবিটি বানিও না, এটা বক্স অফিসে চলবে না!
টুয়েলভথ ফেল বানাতে না করেছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়ার স্ত্রী
বক্স অফিসে দাপিয়ে ব্যবসা না করলেও ভালোই আয় করেছিল টুয়েলভথ ফেল। এটির বাজেটের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল আয়ের পরিমাণ। সদ্যই এই ছবিটি বক্স অফিসে ১০০ দিন পার করল, সেই উপলক্ষে এই ছবির কলাকুশলীরা মিলে একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখ🎐ানেই স্মৃতি হাতড়ে বিধু বিনোদ চোপড়া জানান তাঁর স্ত্রী তাঁকে বারণ করেছিলেন এই ছবিটি বড় পর্দায় ম🌺ুক্তি দিতে। তিনি তার বদলে এটিকে ওটিটিতে সোজাসুজি মুক্তি দিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: টলিউডের সুপারস্টার, তবুও বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে আজও ট্যাক্সি-অটো চ🍷ড়েন💫 দেব!
আরও পড়ুন: ভেঙেꦦছে সংসার, স্বামী ফের বিয়ে করতেই কার উদ্দেশ্যে সানিয়া লিখলেন '...নইলে মুকুট পড়ে যাবে'
শোশার তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় বিধু বিনোদ চোপড়ার সাক্ষাৎকারের। সেখানে পরিচালককে বলতে শোনা যায়, '১০০ দিন আগে আমাদের ছবির প্রথম শো ছি♍ল বক্স অফিসে। এখন সবাই নম্বর নিয়ে কথা বলে, ১০০ কোটি, ৫০০ কোটি, ১০০০ কোটি, ২০০০ কোটি, ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে গোটা বিষয়টা নিয়ে একটাই প্রশ্ন, উদ্দেশ্য কী তোমার ছবিটা বানানোর নেপথ্যে? কেন বানাচ্ছ ছবিটা? যদি সৎ ভাবে ছবি বানাও এমনই এক সংখ্যাগুলো উঠে আসবে।' তিনি তারপর আরও বলেন, 'আমাকে সবাই, এমনকি আমার স্ত্রী অনুপমা পর্যন্ত বলেছিল এটাকে বড় পর্দায় নয়, ওটিটিতে মুক্তি দিতে। ও আমায় বলেছিল তোর এর বিক্রান্তের ছবি কেউ হলে দেখতে যাবে না বিনোদ। তার মধ্যে ট্রেড এজেন্সিগুলো লিখতে শুরু করে যে ছবিটা নাকি প্রথমদিন খালি ২ লাখ আর পরে মোট ৩০ লাখ টাকার মতো ব্যবসা করবে। সবাই আমায় ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। হ্যাঁ আমাদের শুরুটা মন্দ হয়েছিল কিন্তু আজ আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি দেখেছ?'
টুয়েলভথ ফেল ছবি প্রসঙ্গে
টুয়েলভথ ফেল ছবিটিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আশা, প্রত্যাশা, মন দিয়ে পড়াশোনা করা, চেষ্টা, এবং হাজারো প্রতিকূলতার পর লক্ষ্যপূরণের গল্প উঠে এসেছে। এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ꦕঅনুরাগ পাঠকের গল্পের বইয়ের ভিত্তি। তাঁর লেখা এই বইটি অন্যতম সেরা বিক্রিত বই যেখানে আইপিএস অফিসার মনোজ কুমার শর্মা এবং আইআরএস অফিসার শ্রদ্ধা যোশীর গল্প বলা হয়েছে। বিক্রান্ত মাসে ছাড়াও এই ছবিতে আছেন মেধা শঙ্কর। বিক্রান্তের বিপরীতেই তাঁকে দেখা গিয়েছে এখানে।