২০১০ সালে ঈদে মুক্তি পেয়েছিল সলমন খান অভিনীত 'দাবাং'. এই ছবিই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল সলমনের কেরিয়ারে।টানা বেশ কয়েকটি পরপর ফ্লপের পর বলি-তারকার কেরিয়ারে 'অক্সিজেন' জুগিয়েছিল এই ছবি। 'দাবাং'-এ পুলিশ অফিসার 'চুলবুল পাণ্ডে'-র চরিত্রে সলমনের প্রাণবন্ত অভিনয় এবং দুর্ধর্ষ অ্যাকশন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের হৃদয়। যার ফল দেখা গেছিল বক্স অফিসে ছবির কালেকশনে। রেকর্ড তৈরি করেছিল এই ছবি। ছবির প্রিমিয়ারে নানান বলি-ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি প্রখ্যাত বলি-পরিচালক,প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়াকেও জানিয়েছিলেন সলমন। প্রিমিয়ার শেষে সলমনক পাশে দাঁড় করিয়ে ছবিতে সলমনের অভিনয় ও অ্যাকশনের অকুন্ঠ তারিফ করেন 'মুন্নাভাই এমবিবিএস' ছবি খ্যাত প্রযোজক। তবে ছবি নিয়ে নিজস্ব কোনও রায় দিতে চাননি তিনি। জানিয়েছিলেন দারুণ খেটেখুটে 'দাবাং' তৈরি করেছে সলমন ও তাঁর গোটা টিম। বিধু জানিয়েছিলেন,' অনেকসময় এমনও হয়েছে ভালো ভালো ছবিও বক্স অফিসে চলেনি কিংবা আশানুরূপ ফল পায়নি। তার মানে এই নয় যে ছবিগুলোর মান পোর্তিরদিকে চলে গেল। বক্স অফিসে কত কালেকশন হলো তার ওপর ছবির মান সবসময় নির্ণয় করা যায় না।' এখানেই না থেমে সহাস্যে 'পারিন্দা' খ্যাত পরিচালক আরও জানিয়েছিলেন যে 'দাবাং'-এর ব্যাপারে তাঁর মতামত সোজাসুজি জানতে চেয়েছেন সলমন। তাই এই ছবিতে সলমনের পারফরমেন্স তাঁর দারুণ লাগলেও 'দাবাং' তাঁর ঘরানার ছবি নয় একেবারেই! প্রসঙ্গত, এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে পা রেখেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। বক্স অফিস থেকে ২০০ কোটিরও বেশি টাকা কামিয়েছিল 'দাবাং'। শুধু তাই নয় এরপর তৈরি হয়েছে এই সিরিজের আরও দু-দু'টি ছবি।