আসছেন তিনি আসছেন! পরি꧒চালক সন্দীপ রায়ের হাত ধরে ফের বড়পর্দায় ফিরছে 'ফেলুদা'। বড়দিনে বাঙালি এবং আপামর ফেলুদাপ্রেমীদের জন্য তাই 'ক্রিসমাস গিফট' হিসেবে একেবারে টাটকা ফেলুদা ছবির কথা ঘোষণা করল এসভিএফ।সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২য়ে 'হত্যাপুরী' ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় ফের দর্শন দেবেন বাঙালির প্রিয় গোয়েন্দা প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। তবে এবারে তাঁর সঙ্গে শুধু তোপসে নয়, থাকবেন জটায়ু। অর্থাৎ এক দশক পেরিয়ে ফের একবার বড়পর্দায় একসঙ্গে হাজির হবেন এই 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স'। তবে ফেলুদা, তোপসে এবং জটায়ুর চরিত্রে করা থাকছেন সে𝐆 ব্যাপারে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি প্রযোজনা সংস্থার তরফে। তবে টলিপাড়ায় জোর ফিসফাস একেবারে নয়া অবতারে নাকি 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স'কে দেখা যেতে চলেছে 'হত্যাপুরী'তে। এও শোনা যাচ্ছে, এত দিন যাঁদের ফেলু মিত্তিরের চরিত্রে অভিনয় করতে তাঁদের কাউকে দেখা যাবে বা। ফেলুদার ভূমিকায় নাকি দেখা যাবে এমন কোনও অভিনেতাকে, যিনি এর আগে এই চরিত্রে অভিনয় করেননি।উল্লেখ্য, আগামী মার্চ থেকে এই নতুন ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা।
তা কে হতে পারে নতুন ফেলুদা? সন্দীপ রায়ের নির্দেশে এবার বড়পর্দায় কোন অভিনেতার হাতে উঠে আসবে .৩২ কোল্ট রিভলবার? আপাতত সে প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পরিচালক। নির্মাতা সংস্থার তরফেও একই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। আপাতত সম্ভাব্য ফেলুদা হিসেবে কিছু সম্ভাব্য অভিনেতারꦓ নাম তুলে ধরছে হিন্দুস্তান টাইমস। দেখুন তো, আপনার কাকে সবথেকে বেশি উপযুক্ত মনে হয়?
ই✱ন্দ্রনীল সেনগুপ্ত: তালিকায় সবার প্রথমে থাকবে ইন্দ্রনীলের নাম। টলিপাড়ায় জোর গ෴ুঞ্জন, ফেলুদার চরিত্রে ইন্দ্রনীলের অডিশনও নাকি নিয়েছেন সন্দীপ রায়। এছাড়াও ৬ ফুটের নির্মেদ, পেটানো চেহারার ইন্দ্রনীলের তীক্ষ্ণ নাক-চোখ-মুখ যে ফেলুদা সাজার অন্যতম মানদণ্ডেও উতরে যাবে সে বিষয়ে আশাবাদী এই অভিনেতার-ভক্তরা। ভুলে চলবে না এসব ছাড়াও ইন্দ্রনীলের ঝুলিতে রয়েছে তীক্ষ্ণ অভিনয়ের সঙ্গে ভারি কণ্ঠস্বর।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: এর আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফেলুদা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন পরমব্রত। মজার কথা, সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ফেলুদার 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' ছবিতে তোপসে হিসেবেই টলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন পরম। প্লাস পয়েন্ট হিসেবে ৬ ফুটের শরীর, ধারালো আদলের চোখ, নাক এবং অবশ্ꦯযই তুখোড় অভিনয়। তবে মুশকিল হচ্ছে ফেলুদা সাজার পাশাপাশি আবার ব্যোমকেশ হিসেবেও বড়পর্দায় ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন তিনি। তাই পরমব্রত যদি ফের একবার ফেলুদা হয়, তাহলে দর্শক কি 'আইডেন্টিটি ক্রাইসিস'য়ে ভুগবে? সে ব্যাপারেও রয়েছে প্রশ্ন।
জিতু কামাল : ছোটপর্দার জনপ্রিয় জিতু কামাল চলতি বছরেই হয়ে উঠেছেন আলোচনার অন্যতম বিষয়। সৌজন্যে, অনীক দত্⛄তের 'অপরাজিত' ছবির ফার্স্ট লুক। ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতুর লুক দেখে হাঁ নেটপাড়া। তারিফ ভেসে এসেছে টলিপাড়া থেকেও। 'সত্যজিৎ' হিসেবে এতটাই দুরন্ত লাগছে তাঁকে। আর ফেলুদা পাঠক মাত্রেই জানেন 'প্রদোষ মিত্র' আদতে🍬 তাঁর স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়েরই অল্টার ইগো। নিজের একাধিক শারীরিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বহু ভালোলাগা দিয়ে ফেলু মিত্তিরকে তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ। তাই যে অভিনেতা সত্যজিতের লুকে দর্শকের মন জয় করতে পারেন, তাঁর ফেলুদা হওয়া কিন্তু একেবারেই অসম্ভব কিছু নয়।
🐟ফেরা যাক, ‘হত্যাপুরীর প্রসঙ্গে। সত্যজিৎ রায় রচিত ফেলুদার এই বিখ্যাত উপন্যাস অনুযায়ী চিত্রনাট্য লিখেছেন সন্দীপ রায়। এবারের প্রেক্ষাপট পুরী। ছুটি কাটাতে গিয়ে পুরীর সমুদ্র সৈকতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। এবং সেই লাশকে কেন্দ্র করেই নয়া রহস্যের খোঁজ পায় 'ফেলু মিত্তির'। জড়িয়ে পড়েন তদন্তে। উন্মোচন হতে থাকে একের পর এক রোম খাড়া করা সত্য ঘটনা। তত্ব তালাশ চলাকালীন খুন হয় আরও এক ব্যক্তি। সত্যসন্ধান যত এগোতে থাকে মামলা তত রহস্যময় মোড় নেওয়া শুরু করে। আক্রান্ত হয় 'ফেলুদা' নিজেও। শেষপর্যন্ত মিথ্যে, রহস্যের কুয়াশা সরিয়ে ফেলুদা অপরাধীকে হাতেনাতে ধরে ফেলতে কি না, তাই নিয়েই এগোবে ছবির গল্প।
'হত্যাপুরী'র পরিচালনা ও চিত্রনাট্ꦐয সামলানো ছাড়াও এ ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন সন্দীপ রায় নিজেই💟। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলাবেন সৌমিক হালদার।