নায়িকা কিংবা মহানায়িকা, যা-ই বলা হোক না কেন, বাঙালির মনে সবসময় তাঁর মুখের ছবিই ভেসে ওঠে। তিনি সুচিত্রা সেন। উজ্জ্বল চোখ, স্নিগ্ধ হাসি আর♐ নজরকাড়া অভিনয়ে যে মুগ্ধতার বীজ বুনে গিয়েছে, তা এখনও সতেজ বৃক্ষের মতো বিলিয়ে যাচ্ছে অনিন্দ্য ছায়াꦓ।
যুগের পর যুগ ধরে, আজও দর্শককে মুগ্ধ করেছেন তিনি। আজও রুপোলি পর্দায়ের সেরার সেরা হয়ে রয়ে গিয়েছে। যাঁর অ🎃নবদ্য অভিনয়গুণে প্রাণ পেয়েছে বহু চিত্রনাট্য। টলিউডের স্বর্ণযুগের ইতিহাসে যে অধ্যায়গুলোর কথা সবার আগে মাথায় আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল উত্তম-সুচিত্রা যুগ। দর্শকদের মনে রাতারাতি জায়গা করেছিলেন তাঁরা। এই জুটিকে পর্দায় তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতেন দর্শক।
আরও পড়ুন: ‘আগামী দশ বছরে ১০০টি আদিবাসী স্ক♑ুল..’, দাদাগিরির মঞ্চে মধুরিমার এই গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
কিন্তু পর্দার বাইরে উত্তম-সুচিত্রা জুটির সমীকরণ কেমন ছিল? পর্দার পিছনে তাঁদের সম্পর্কই বা কতটা গভীর ছিল? তা আবশ্য আজও দর্শকের মনে কৌতুহল রয়ে গিয়েছে। কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল গোপন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন উত্তম-সুচিত্রা। যদিও সেই গুঞ্জনে কোনও দিনই সিলমো🐠হর 🎃দেননি দুজনের কেউই। একটা সময় যখন সুচিত্রা সেন অভিনয় থেকে সরে যান, তখন প্রথম যে কারণটা উঠে এসেছিল, তা হল উত্তম কুমার। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে না পারার কারণেই নাকি তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নেন।
আরও পড়ুন: ৮ কোটির নত༺ুন গাড়িতে আলিয়ার সঙ্গে লং ড্রাইভে রণবীর, গ্যারেজে আর কী কী গ👍াড়ি আছে অভিনেতার
সুচিত্রা সেনের অভিনয় ছাড়ার প্রস🍷ঙ্গে একবার মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। দূরদর্শনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসল সত্যি খোলসা করেছিলেন সুচিত্রা-কন্যা। জানিয়েছিলেন, ‘মা অভিনয় ছেড়েছিলেন চিত্রনাট্যের কারণে’। ১৯৭০ দশকে ধীরে ধীরে পালটে যেতে থাকে ছবির ধরন। গল্পের ধরনেও বদল আসতে শুরু করে। মহানায়িকা যে যে পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন তাঁরাও একে একে মারা গিয়েছিলেন। যার ফলে কীভাবে তিনি ছবির গল্পের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন: ওয়েট স্কোয়াড দেখে অবা✤ক! ‘গো দিদি’, ৫২-র সুনয়নার ফিটনেস 😼দেখে আর কী বললেন হৃতিক
মুনমুন সেন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সুচিত্রা সেন একটা সময় প্রশ্ন করতেন তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করবেন। সাতের দশকের মাঝের দিকে পালটে যেতে থাকে তাঁর চেনা সমীকরণ। যেখানে সুচিত্রা সেনকে একাধিক খারাপ অভিজ্ঞতা, কঠিন পরিস্থিতির মুখꦬোমুখি হতে হয়। স্বামীকে হারানো থেকে শুরু করে ছবি ফ্লপ হওয়া, তখন উত্তম কুমারও নেই। প্রয়াণ ঘটে মহানায়কেরও। পর্দা থেকে তাই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। বুঝে উঠতে পারেননি ঠিক কী ধরণের ছবিতে নিজেকে তুলে ধরবেন। তাই রাতারাতি সরে দাঁড়িয়েছিলেন সিনেমা জগত থেকে।