মঙ্গলবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ইদ এবং অক্ষয় তৃতীয়া। তবে এই উত্সবের মরসুমে মন কেমন করছে সঞ্জয় দত্তের। আজ মা-কে বড্ড বেশি মনে পড়ছে ‘মুন্নাভাই’-এর। ৩রা মে অভিনেত্রী নার্গিস দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী। এদিন স্বর্গীয় মা'কে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ সঞ্জয় দত্ত। এদিন টুইটারে নার্গিসের উদ্দেশে সঞ্জয় লেখেন, ‘এমন একটাও মুহূর্ত🏅 যায় না, যখন তোমার কথা মনে পড়ে না মা। মা, তুমি আমার জীবনের ভিত্তি, আমার আত্মার শক্তি। যদি আমার স্ত্রী আর সন্তানেরা তোমার ভালোবাসা আর আর্শীবাদ পেতো…. আমি তোমাকে আজ মিস করছি, আসলে প্রতিদিনই করি’।
সঞ্জয় দত্তের প্রথম ছবি ‘রকি’ মুক্তির তিন দিন আগ꧒ে মারণরোগ ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মানেন নার্গিস। ছবির প্রিমিয়ারে তাঁর নামাঙ্কিত চেয়ারটি ফাঁকা ছিল। সঞ্জয়ের জীবনে মায়ের শূন্যতা পূরণ হয়নি কোনওদিন। মায়ের মৃত্যুর পর নিজেকে নেশার অন্ধকার জগতে ডুবিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেতা। পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবনে ফেলেন সঞ্জয় দত্ত।
এদিন সঞ্জয়ের বোন প্রিয়া দত্তও মায়ের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার কেন। ‘তাঁর অস্তিত্ব আমার জীবনে, আমার কাজে সর্বত্র বিরাজমান। মা, ১৯৮১ সালের🌺 আজকের দিনে চলে গিয়েছেন। তখন আমার বয়স মাত্র ১৪ বছর। তবে বিশ্বাস করুন উনি আমার পাশে সবসময় ছিলেন,কোনওদিন ছেড়ে যাননি। হয়ত সশীরে উনি ছিলেন না, কিন্তু যত বড় হয়েছি উপলব্ধি করেছি … ওঁনার আত্মা আমার জীবনে, আমার কাজের মধ্যেই রয়🍰েছে’।
হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম আইকন নার্গিস দত্ত। মাত্র ৬ বছর বয়সে শিশু অভিনেত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি, পঞ্চাশের দশকে প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন নার্গি🐬স। তাঁর কেরিয়ার🎃ের সবচেয়ে বড় মাইলফলক ‘মাদার ইন্ডিয়া’। যে ছবিতে স্বামী সুনীল দত্তের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নার্গিস। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় এই ছবি, পরের বছর সুনীল দত্তকে বিয়ে করে ফিল্মি কেরিয়ারে ইতি টানেন নার্গিস। নার্গিস ও সুনীল দত্তের তিন সন্তান, সঞ্জয়, প্রিয়া ও নম্রতা।