৫৭ বছর বয়সী আর এস ভার্গব দীর্ঘদিন স্কুলের শিক্ষকতা করেছেন। ২৫ বছর ধরে তিনি নে স্কুলে পড়িয়েছেন সেখানেই গত এক বছর ধরে ফেরার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন। তাঁর অপরাধ কি জানেন? তিনি করোনার টিকা নেননি। তাই তাঁর কর্মক্ষেত্র, অর্থাৎ𝔍 দিল্লি পাবলিক স্কুল তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পা꧟ঠিয়েছে।
অবশ্য এক্ষেত্রে স্কুলকেও বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না। কারণ দিল্লির সরকারের তরফেই ঘোষণা করা হয়েছে যে সমস্ত স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের করোনার টিকা নিতেই হবে। এটা আবশ্যিক। যাঁরা টিকা নেবেন না তাঁদের ' ছুটিতে ' পাঠানো হবে। আর সেই নিয়ম মানতে গেলে আর এ𒁏স ভার্গবকে স্কুলে ফেরাতে পারে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ভার্গব জানাচ্ছেন তাঁর নির্দিষ্ট কারণ আছে টিকা না নেওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, তিনি একজন ক্যানসার সারভাইভার এবং একই সঙ্গে তাঁর টাইপ ২ ডায়াবিটিস আছে। তাই তাঁর চিকিৎসকই তাঁকে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিতে বারণ করেছে কারণ তাঁর একাধিক ড্রাগসের অ্যালার্জি আছে। তাঁর এই কথায় সমর্থন জানিয়েছেন হোলি ফ্যামিলি হসপিটালের কার্ডিওলজিস্ট এবং ডায়াবেটোলোজিস্টꦬ ডক্টর রবি ജরাজপুত। তিনি বলেছেন ভার্গব যদি এই ভ্যাকসিন নেন তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
তবে এই বিষয়ে আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি🐼 জানিয়েছে যে সমস্ত ক্যানসার পেশেন্ট করোনার টিকা নিতে পারেন, কোনও অসুবিধা নেই। তবে অবশ্যই তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। অন্যদিকে টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হসপিট♏ালের তরফে জানানো হয়েছে যাঁদের ক্যানসার আছে তাঁদের করোনা হলে পরিস্থিতি বিগড়াতে পারে। তাই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
কিন্তু ভার্গবের চিকিৎসক তাঁকে ভ্যাকসিন নিতে নিষেধ করেছেন তাই তিনি কোনও ভাবেই টিকা নিতে চান না। উল্টে তিনি গত বছর অক্টোবর মাসে দিল্লির শিক্ষা দফতরে তাঁর সমস্ত কেস হিস্টোরি জমা দিয়ে বিশেষ কেস হিসেবে এটাকে বিবেচনা করতে বলেছেন। তাঁর এই ছাড়কে মঞ্জুর করা হলেও তিনদিনের মাথায় সেটাকে আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া 💮হয়। এরপরই তাঁর স্কুল তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় এবং মাইনে আটকে দেয়। এরপরই তিনি ২০২২ এর ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানান। কারণ তাঁর স্কুল তাঁকে বেঁচে থাকার অধিকার এব💦ং জীবিকার অধিকারের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলছে। এক্ষেত্রে তাঁর কী করণীয় আছে? সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে কাউকে জোর করে টিকা নেওয়ানো যাবে না, কিন্তু হ্যাঁ যুক্তিযুক্ত বিধিনিষেধ লাগু করা যেতে পারে।
ভার্গব জানিয়েছেন তিনি কেমো নেওয়ার সময় একাধিকবার জ্ঞান হারিয়েছেন এই অ্যালার্জির কারণে। কিন্তু কেমো তাঁকে নিতেই হতো, কোভিড ভ্যাকসিন তো এমন নয় যে সেটা নিয়ে হবে, না নিলেই প্রাণহানি ঘটবে। কারণ এটা দেখা গিয়েছে তাঁর একটি অদ্ভুত রোগ আছে যার কার🦄ণে তিনি যদি করোনার টিকা নেন তাহলে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে।
অন্যদিকে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর এই আবেদনকে প্রথমে মান্যতা দিলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করে এটা বলে যে এই রিপোর্টগুলো যথেষ্ট নয় তাঁকে ছাড় দেওয়ার জন্য। আর যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের থেকেই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি, তাও আবার স্কুলের মতো জায়গায় যেখানে অনেক শিশু একসঙ্গে জড🧜়ো হয়। তাই তাঁর যে এই ভ্যাকসিন নেব না মনোভাব সেটা যে কেবল তাঁর একার ক্ষতি করবে এমনটা নয়, একই সঙ্গে আরও অনেককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই তাঁকে স্কুলে যা꧃ওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই জানানো হয় দিল্লির শিক্ষা দফতরের তরফে।
আবার আ♓গামী ১৩ সেপ্টেম্বর♊ এক কেসের শুনানি আছে। দেখা যাক সেখানে কী রায় বেরোয়।