আট থেকে আশি— আইসক্রিম খেতে ভালোবাসেন কমবেশি সবাই। উৎসব-অনুষ্ঠানের শেষপাতে হোক🍰 কিংবা মনখারাপের দিনে, আইসক্রিম সবেতেই জনপ্রিয়। ভ্যানিলা থেকে চকোলেট- স্বাদ যা-ই হোক, আইসক্রিম অনেকেরই ভালোবাসা।
ঘুরতে ঘুরতে একদিন চলে গিয়েছিলাম অরুণ-এর আইসক্রিম স্বাদের খোঁজে। দমদম সাতগাছির ভিতরে এক রাস্তায় বেশ খানিকটা গলির ভিতর একটি ছোট্ট দোকান। শুনেছিলাম সেখানেই নাকি পাওয়া যাচ্ছে অরুণ-এর আইসক্রিম। ব্যাস🐓, টুক করে দোকানে ঢুকে খোঁজ নিলাও কী কী পাওয়া যাচ্ছে। পছন্দের আইসক্রিমগুলি কিনে এক এক করে প্যাকেট খুলে স্বাদ নিতে শুরু করলাম। খেতেও বেশ ভালোই লাগল। কিন্তু কীভাবে পথ চলা শুরু হয়েছিল অরুণের জানেন?
মাত্র ১৩ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে পথ চলা শুরু। আজ দেশজুড়ে ব্যবসা করছে ‘অরুণ আইসক্রিম🥀’। চেন্নাইয়ের জমকালো হাটসুন বিল্ডিংয়ে রয়েছে এর একটি আরামদায়ক কিন্তু ঠান্ডা বাষ্পীভূত অফিস। অরুণ আইসক্রিম হল একটি ভারতীয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড যার 🍬মালিকানা হাটসুন এগ্রো প্রোডাক্ট, তামিলনাড়ু।
১৯৭০ সাল, তিনজন কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আরজি চন্দ্রমোগন শুরু করেছꦡিলেন তাঁর ব্যবসা। এর পিছনে রয়েছে এক কঠোর পরিশ্রমের গল্প। 'ঠান্ডা' উপায়ে জীবনের চরম পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার গল্প। বিরুধুনগর জেলার থিরুথাঙ্গলের বাসিন্দা চন্দ্রমোগান। মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের স্বপ্নের পিছনে ছুটেছিলেন তিনি। শুরু করেছিলেন এই উদ্যোগ।
শুরুর দিকে ১০ বছর তাঁদের টার্গেট ছিল সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর স্থানগুলি খুঁজে বের করা। ১৯৮৫ সালে ব্র্যান্ডটি তামিলনাড়ুতে ভলিউম তালিকার দিক থেকে আইসক্রিম বিক্রিতে শীর্ষে ছিল। ১৯৯৯ সাল নাগাদ তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরাল♏া এবং অন্ধ্রপ্রদেশে প্রায় ৭০০টি আউটলেট এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২,৩০০টি আইক্রিম পার্লার গড়ে উঠেছে এবং ব্র্যান্ডটি মহারাষ্ট্র ও উড়িষ্যা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক জায়গায় খুಌলেছে অরুণ আইক্রিমের আউটলেট। সাপ্লাই করছেন ডিস্ট্রিবিউটররা এবং পাওয়া যাচ্ছে ছোট ছোট দোকানেও।
উত্তর কর্ণাটক এবং গোয়ার বাজারের জন্য তামিলনাড়ু এবং বেলগাউমের বাজারের জন্য কোম্পানির কাঞ্চিপুরম,♎ সালেম এবং মাদুরাইতে অবস্থিত দুগ্ধ ইউনিট রয়েছে। অরুণ আইসক্রিম দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় আইসক্🉐রিম ব্র্যান্ড, যার ১০০০ টিরও বেশি এক্সক্লুসিভ পার্লার রয়েছে।
দুগ্ধ এবং ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে তৈরি এই আইক্রিম প্রোডাক্ট বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে এ রাজ্যেও। বিশেষ করে 𒐪এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এই আইক্রিমের দাম শুরু মাত্র ৫ টাকা থেকে। যা এই ব্রান্ডকে সবথেকে বেশি হাইলাইট করছে। ছোট্ট প্যাকেটে সুন্দর করে প্যাকেজিং করা ৫ টাকার আইক🥂্রিমেরও রয়েছে একাধিক ফ্লেভার। এরপর ১০ টাকা, ১৫ টাকা, ২০ টাকা থেকে অরুণের আইক্রিম বারও পাওয়া যায়। অরুণ আইসক্রিমে রয়েছে একাধিক ফ্লেভার। ছোটদের কাছে আকর্ষণীর বস্তু হল, এই আইসক্রিম বিভিন্ন আকারে যেমন- মাছের মতো দেখতে, ট্রেনের মতো দেখতে, রামধনুর মতো একাধিক রংয়েও পাওয়া যায়।
কেমন খেতে এই আইসক্রিম? খোঁজ নিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। বাগুইআটিতে বসবাসকারী সরকারি কর্মচারি অনিমেশ দাসের কথা, ‘দুর্দান্ত খেতে এই আইসক্রিম। ফ্রিজ থেকে বের করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গলে যায়’। রৌপ্য অলঙ্কার বিক্রেতা অনামিকা চৌধুরীর কথায়, ‘বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার ছেলে আইসক্রিমের বিভিন্ন ডিজাইগুলি খুব পছন্দ হয়েছে’। বেসরকারি অফিসে কর্মরত শান্তনু বিশ্বাসের কথায়, ‘সারা দিনে কাজের চাপের পর প্যাচ প্যাচে গরমের মধ্যে বেরিয়ে চোখে পড়েছিল এই আইস্ক্রিম। নতুন কিছু দেখে খেতে মন চাইল। আইস্ক্রি🌠মের ৫ টাকার কটন ক্যান্ডি ফ্লেভারটা খেয়ে দারুণ লাগল। এত সস্তায় দেখে খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম। খেয়ে বুঝলাম, স্বাদেও অতুলনীয়’।