ক্যানসা🎐রের তিনটি ওষুধের উপর কর ছাড় দিলেও উপকৃত হবে শুধু একটি কোম্পানিই। কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের ক্যানসার রোগীদের জন্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দেওয়া এই ত্রাণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাধুবাদ জানিয়ে থাকলেও, বিষয়টি ঘুরছে অন্যদিকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যানসারের তিনটি ওষুধে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি খানিকটা চোখে ধুলো দেওয়ার মতো। আদতে তো সুবিধা পাবে এস্ট্রোজেনেকাই। কারণ, এই ছাড় তো ক্যানসারের সব ওষুধের উপর প্রযো🧸জ্যই নয়।
আরও পড়ুন: (Brainℱ Tumors: প্রোজেস্টেরন, জেনেটিক্স নাকি অন্য কিছু? ব্রেন টিউমারের কারণ নিয়ে কী বলജছে গবেষণা)
বায়োকনের মতো ঘরোয়া ফার্মা সংস্থাগুলির থেকে শুরু করে দেশের ক্যানসার ভুক্তভোগীরা, ত🦩াই এবার ক্যানসার এবং বিরল রোগের ওষুধের উপর জিএসটি তুলে নেওয়ার জন্যই নতুন করে দাবি জানিয়েছে। তাঁদের যুক্তি যে এই বিস্তৃত কর ত্রাণই একমাত্র রোগীদের এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকরভাবে সমর্থন করতে পারবে। এ প্রসঙ্গে একটি এমএনসি ফার্মের একজন নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, আরও, আমদানি করা ক্যানসার এবং বিরল রোগের সমস্ত ওষুধগুলিতেই কর মওকুফ করা উচিত। শুধুমাত্র একটি বিভাগে সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়।
উল্লেখ্য, আমদানি করা ওষুধের দামে শুলꦺ্ক, রপ্তানি চার্জ ও লজিস্টিকসের মতো চার্জ যুক্ত করা হয়, যার কারণে এগুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে যায়। এমতাবস্থায়🍰, এখন শুল্ক মওকুফ হলে, রোগীরা অনেক স্বস্তি পেতে পারেন। এতে রোগীদের খরচ কমবে, যাতে তারা ভালো চিকিৎসা নেওয়ার কথা ভাবতে পারবেন। আপাতত ১০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Eye-care tips: ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেখেন? ক্ষতি এড়াতে কী করবেন? জানাচ্ছেন চিক🎐িৎসক)
কিন্তু, চেয়ারপারসন, বায়োকন এবং বায়োকন বায়োলজিক্স চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার বলেছꦿেন, বর্তমানে, রোগীরা এই ওষুধ কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ শুল্ক শুল্ক এবং ১🦄২ শতাংশ জিএসটি দিয়েই দ্বিগুণ আর্থিক ক্ষতির চাপে পড়েন। তাই তিনটি ক্যানসারের ওষুধের উপর কর ছাড় ক্যানসার রোগীদের স্বস্তি দেবে ঠিকই। তবে, এটি আরও সাশ্রয়ী করার জন্য সরকারকে সমস্ত ক্যানসারের ওষুধের উপর থেকে জিএসটি ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
সবটা শুনে একজন প্রতিনিধি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন যে আমরা সমস্ত ♉ক্যানসার সহ বিভিন্ন বিরল রোগের ওষুধের উপর শুল্ক মওকুফ এবং ওষুধের উপর জিএসটি কমানোর অনুরোধ জানিয়ে দেব।
এসব ওষুধ ছাড় দেওয়া হবে
(Trastuzumab Deruxtecan) ট্রাস্তুজুম্যাব ডেরুক্সটেকান
- এটি এইচইআর২-পজিটিভ স্তন ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি একটি অ্যান্টিবডি-ড্রাগ কনজুগেট, যা ক্যানসার শরীরের অন্যান্য অংশে (মেটাস্ট্যাটিক) ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহৃত হয়।
- এটি গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের মতো অন্যান্য ক্যানসারের চিকিৎসার জন্যও গবেষণা করা হচ্ছে।
- ক্যানসার রোগীদের তিন সপ্তাহে একবার এই ওষুধ খেতে হয়। এর দাম প্রায় চার লক্ষ টাকা।
(Osimertinib) ওসিমেরটিনিব
- এটি ইজিএফআর-মিউট্যান্ট নন-স্মল সেল ফুসফুস ক্যানসার রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি লক্ষ্যযুক্ত থেরাপি।
- রোগীকে প্রতিদিন এই ওষুধ খেতে হয় এবং খরচের কথা বললে প্রতি মাসে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়।
- রোগীকে প্রতিদিন এই ওষুধ খেতে হয়। এর এক মাসের ডোজ খরচ প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা।
(Durvalumab) দুরভালুমব
- এই ওষুধটি নন-স্মল সেল ফুসফুসের ক্যানসার এবং ইউরোথেলিয়াল কার্সিনোমা (মূত্রাশয় ক্যানসার) চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- এটি একটি ইমিউনোথেরাপি ড্রাগ যা পিডি-এল ওয়ান প্রোটিনকে ব্লক করে।
- এটি রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করতে সাহায্য করে।
- ডোজ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, রোগী ২১ দিনে একবার এই ওষুধটি খেয়ে থাকেন।
- একটি ডোজের জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।