চান্দ্র নববর্ষ ২০২৩ শুরু হচ্ছে ২২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। চিন-সহ পূর্ব এশিয়ার নান দেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চিনা ꧟নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে আজ। এদিন চিনা সংস্কৃতির অন্তর্গত জায়গাগুলিতে খাওয়াদাওয়ার ব༒্যাপক আয়োজন, পাশাপাশি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আর নতুন বছরে সৌভাগ্য কামনা করে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কীভাবে শুরু হয়েছিল এই অনুষ্ঠান?
অনেকের ধারণা, চিনে নবꦛবর্ষ উদযাপন শুরু হয় শাং রাজার শাসনকালে। এই নববর্ষ নিয়ে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনি। নিয়ান (অর্থ ‘বছর’) নামে এক দানব প্রতি বছরের প্রথম দিন এসে গ্রামবাসীদের উপর নাকি হামলা চালাত। এই দানব প্রচণ্ড শব্দ, উজ্জ্বল আলো এবং লাল রংকে ভয় পেত। তখন এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে গ্রামবাসীরা ওই দানবকে তাড়া করে তাকে গ্রামছাড়া করে।
চিনে ড্রাগনকে মনে করা হয় শক্তি এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই চিনের বহু এলাকায় এই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ꧑ড্রাগন নাচ হয়। লম্বা, রং ঝলমলে ড্রাগনের পুতুল তৈরি করা হয় এবং রাস্তা দিয়ে এই ড্রাগন নিয়ে শোভাযাত্রা নববর্ষ উদযাপনের একটা অন্যতম আকর্ষণ।
নববর্ষ উপলক্ষে চিনের মানুꦆষ তাঁদের ঘরবাড়ি সুন্দর করে পরিষ্কার করেন এবং সাজান। তাঁরা মনে করেন, এতে পুরনো বছরের দুভার্গ্য বয়ে আনা সব কিছু বিদায় করা হল।
কীভাবে পালন করা হয় দিনটি?
শীতে মরশুমের সবচেয়ে ছোট দিন ২১ ডিসেম্বরের পর দ্বিতীয়বার যখন নতুন চাঁদ ওঠে, তার পরের দিন থেকে শুরু হয় উৎসব। চিনের চান্দ্র ও সৌর মিশ্র ক্যালেন্ডারে এটি প্রথম অমাবস্যা🐠র পর নতুন চাঁদ ওঠার দিন। এই তারিখটি সাধারণত পড়ে ২🥃১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। এবারে যেমন পড়েছে ২২ জানুয়ারিয়।
এটি বসন্ত উৎসব হিসাবেও পরিচিত। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে🍎 স্বাগত জানানোর মধ্যে দিয়ে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি কামনাই সাধারণত নববর্ষ উদযাপনের রীতি। চিনের মানুষ এবার বা🌞ঘের বছরকে বিদায় দিয়ে খরগোশের বছরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এই উপলক্ষে পরিবারগুলোতে চলছে ব্যাপক খাওয়াদাওয়ার উৎসব, চলছে আতসবাজি পোড়ানো এবং ড্রাগন নাচ। মূল উৎসবটা হয় পুরনো বছর বিদায়ের দিন এবং নববর্ষের দিনে।
লাল রং😼 চিনে সৌভাগ্যের প্রতীক। মানুষ সৌভাগ্যের জন্য লাল রং দিয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি সাজান। উৎসব চলে দুই সপ্তাহ ধরে। এবছর ন🗹ববর্ষ উৎসব শেষ হবে পূর্ণিমার দিনে। পূর্ণিমায় ফানুস ওড়ানোর উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে নববর্ষের উদযাপন। চিনে নব্বইয়ের দশক থেকে নববর্ষ উপলক্ষে এক সপ্তাহের সরকারি ছুটি দেয়ার রেওয়াজ চালু আছে।