গত বছর খানেকের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের খবরের পরিমাণ মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদ মাধ্যমে নামী-অনামী মানুষের আচমকা হার্ট অ্যাটাক বা তার কারণে মৃত্যুর খবর আসতেই থাকে। অনেকেরই ধারণা, এর পিছনে রয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ভূমিকা। এই সন্দেহ কতটা ঠিক?𒀰 কী বলছেন চিকিৎসক? সম্প্রতি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের অন্যতম নামজাদা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবীপ্রসাদ শেট্টি, যিনি জনসাধারণের মধ্যে দেবী শেট্টি নামেই বেশি পরিচিত।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ANI-এর এক সাক্ষাৎকারে দেবী শেট্টিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে ক্রম বর্ধমান হার্ট অ্যাটাকের কোনও সম্পর্ক আছে কি না। এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই চিকিৎসক মজা করে বলেন, 🧸‘আমার স্ত্রী সব সময়ে বলেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণ হল করোনা ভ্যাকসিন।’
কিন্তু আসলে বিষয়টি কী? সত্যিই কি এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক আছে? দেবী শেট্টির মত, করোনা এবং করোনার ভ্যাকসিন আসার অনেক আগে থেকেই হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলত✅ে বিষয়টি এখন বেশি করে গোচ👍রে এসেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আগে হার্ট অ্যাটাক হত না।
চিকিৎসকের কথায়, ‘এখন সোশ্যাল মিডিয়া এসে যাওয়ায়, আমার স্কুলের বন্ধুদের অনেকের সঙ্গ🎀েই যোগাযোগ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আগে যোগাযোগের কোনও রাস্তাই ছিল না। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, এখন খবর সরবরাহটা সহজ হয়েছে। সেই কারণেই আরও বেশি করে হার্ট অ্যাটাকের খবরগুলি আমাদের সামনে আসছে।’
স্পষ্ট করে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ তিনি যদিও বলেননি, কিন্তু তাঁর কথায় আভাস রয়েছে, করোনা টিকার 🍎সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক থাকার তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে তিনি অন্য একটি বিষয় নিয়ে মানুষকে সচেতন করেছেন। সেটি হল দূষণ।
তাঁর কথায়, ‘জাপানের প্রাপ্তবয়স্কদের ক♛্ষেত্রে দেখেছি, হার্ট একদম শিশুদের হার্টের মতো তরতাজা। জাপানে দূষমের মাত্রা কম। কিন্তু ভারতে প্রাপ্ত বয়স্ক মানেই হার্টে কালো কালো ছোপ। এর 𓄧সঙ্গে ধূমপান এবং দূষণের সম্পর্ক রয়েছে।’
মূলত দিল্লি বা উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গা, যেখানে দূষণের মাত্রা বেশি, সেই সব জা꧂য়গায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা এই কারণেই বাড়ছে বলে তাঁর মত।
বিপদ এ𝄹ড়াতে নিয়মিত হার্টের পরী♔ক্ষা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার উপরে তিনি জোর দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কলকাতার নামজাদা হৃদরোগ-বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডলও একই ধরনের কথাই বলেছিলেন। তাঁরও মত ছিল, করোনা টিকার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে হার্ট অ্যাটাক বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। যদি ভ্যাকসিনের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটে এবং তা থেকে হার্꧙ট অ্যাটাক হয়— তাহলে এত দিন পরে সেই ঘটনা ঘটত না। চিকিৎসক মণ্ডলও সেই সময়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, হার্ট অ্যাটাক বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া। সম্প্রতি ANI-কে দেওয়া দেবী শেট্টির সাক্ষাৎকারেও প্রায় সেই ধরনের কথাই শোনা গেল।