শীতের সকাল। মিঠে রোদ। বারান্দায় বসে গরম গরম কড়াইশুটির কচুরি-আলুর দম খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সত্যি বলতে বাঙালির শীতকালের অন্যতম প্রতীক বলা যেতে পারে এই কড়াইশুঁটির কচুরিকে।
ভাবছেন কড়াইশুঁটির কচুরি। এ আর কী এমন ব্যাপার। সে জানতেই পারেন, কিন্তু নতুন করে একটু রেসিপিটা ঝালিয়ে নিলে ক্ষতি কী! আসুন দেখে নেওয়া যাক কড়াইশুঁটির কচুরি বানানোর সহজ পদ্ধতি।
পুর :
কড়াইশুঁটির কচুরির প্রধান বিষয়টা হল এর পুর।
১. প্রথমে কড়াইশুটি মিক্সি-তে🌠 ম🐭িহি করে বেটে নিন।
২. এরপর কড়াইতে শুকনো খোলায় জিরে, ধনে, শুকনো লঙ্গ🍰া(সামা𒁏ন্য) ভেজে নিন। সুন্দর গন্ধ বের হতে শুরু করলে গ্যাস নিভিয়ে দিন।
৩. গোটা মশ♐লা ব্যবহার করলে আলাদা ফ্লেভার হয়। তবে আপনি সময় বাঁচাতে চাইলে গুঁড়ো মশলাও শুকনো খোলায় ভেꦇজে নিতে পারেন। গোটা মশলা ব্যবহার করলে ভাজার পরে তা গুঁড়ো করে নেবেন।
৪. কড়াইতে সামান্য সাদা তেল দিন। তেলে সামান্য হিং দিন। তেল গরম হলে ক🌜ড়াইশুটি বাটা দিন। এরপর ভাজা মশলাটা দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন। এরপর স্বাদমতো নুন মিষ্টি দিন।
৫. ৩-৪ মিনিট এভাবে পুরটা নেড়ে নিন। মশলা ও কড়াইশুটি বাটা যাতে সম্পূর্ণভাবে মিশে যায়।
ময়দা :
এরপর ময়দার পালা। ঠিক যেভাবে লুচির ময়দা মাখেন, সেভাবেই মাখবেন। অল্প ডালদা বা ঘি দিয়ে মাখতে পারেন। এরপর লেচি কেটে নিন।
এবার পুর ভরা, বেলা ও ভাজার পালা:
একা হাতে করলে আগে থেকে পুর ভরে বেলে রাখুন। সবকটা মোটামুটি বেলে নেওয়ার পরেই কড়াইতে ডুবো তেলে ভেজে নিন।
এক্ষেত্রে বলে রাখি, কড়াইশুটির কচুরির পুর বেলার সময়ে অনেকের সমস্যা হয়। পুর বেরিয়ে আসে। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প অল্প পুর দিয়ে অভ্যাস করুন। হালকা হাতে বেলুন। ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
পরিবেশন :
গরম গরম কড়াইশুটির কচুরি পরিবেশন করুন। সঙ্গে শীতের ছোট 🔯আলুর দম মাস্ট। আর শেষ পাতে একটু নলেন গুড়ের মিষ্টিও হয়ে যাক!