অনেকেই সবার আগে লক্ষ্য করে উল্টো দিকে থাকা মানুষটার সাদা ঝক🌜ঝকে দাঁত। ফলে সবাই সুন্দর, পরিষ্কার সাদা দাঁতের কামনা করে। অন্যের সামনে হাসার সময়, কিংবা কথা বলার সময় যাতে বিব্রত না হতে হয় তাই সকলকেই চান দু’পাটি সাদা ঝকঝকে দাঁত। তবে রোজ ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে তা এনামেলের ক্ষতি করে। এছাড়া দাঁতের রং বদলে যায়, গর্ত পর্যন্ত তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই গবেষকরা একটা নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
দাঁতের গর্ত তৈরি না করে, এনামেলের ক্ষতি না করেই দাঁত সাদা করে⭕ তোলা যাবে। প্রয়োজন হবে না কোনও রাসায়নিকের। এই পদ্ধতিটাকে বলা হয় হাইড্রোজেল থেরাপি।
এই গবেষণাপত্রটি ACS Applied Materi🌊als এবং Interfaces পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে রোজ দাঁত মাজলে তা দাঁতে পোকা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে। একই সঙ্গে পরিষ্কার রাখে দাঁত। তবে এই উপায়ে দাঁতকে সাদা করা যায় না। তাই অনেকেই দাঁত সাদা করার জন্য নানা ট্রিটমেন্ট করান যাতে ব্যবহার করা হয় হাইড্রোজেল পারোক্সাইড এবং একটি বিশেষ নীল রঙের আলো। এই দুইয়ের সাহায্যে দাঁতের হলদে ভাব দূর করা হয়।
এই যে নীল আলোটা এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তা আদতে ক্ষতিকর। আশপাশে চামড়া এমনকী চোখের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ডাক্তাররা এবার নীল আౠলোর বদলে সবুজ আলো ব্যবহার করবেন, কারণ সবুজ আলো নীল আলোর তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর। অন্যদিকে এটা দাঁতকে সাদা করে তুলতেও সক্ষম একই সঙ্গে দাঁতে পোকা লাগার হাত থেকেও রক্ষা করে।
এই ট্রিটমেন্টটা কতটা কার্যকর সেটা দেখাতে ইঁদুর ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ তাঁদের মুখের মধ্যে প্রচুর পরিমাণের দাঁতে পোকা ধরাতে পারে এমন ব্যাকটিরিয়া থাকে। তাই গবেষকরা ইঁদুরের মুখে হাইড্রোজেল দিয়ে এই সবুজ আলো ফেলে দেখেছে এই পদ্ধতি কার্যকর এবং ইঁদুরের দাঁতে পোকা লাগা রোধ করতে তা সক্ষম হয়েছ⛄ে। ফলে আগামী দিনে দাঁত সাদা করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছে এই গবেষণাপত্র।