সন্ধ্যেবেলার আড্ডা হোক বা বাড়িতে অতিথি এলে চায়ের সঙ্গে 'টা'ই হোক, বাড়িতে ভাজাভুজি যে কোনও সময়েই জিভে জল আনে! শুধু কি তাই? দুপুরে ডালের সঙ্গে ভাজা না হলে বহু বাঙালি বাড়িতেই রসജনা তৃপ্তিতে ফাঁক থেকে যায়। আবার রবিবারের ব্রেকফাস্টে লুচি কিম্বা কচুরি না হলে জমে না বহু বাঙালি গৃহস্থে। এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত, তেলেভাজা খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা হিতকর নয়। একদিকে বাড়িতে ডিপ ফ্রাইয়ের চাহিদা, অন্যদিকে বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্যের চিন্তা, সব মিলিয়ে হেঁসেল যাঁর অধীনে থাকে, চিন্তা বাড়ে তাঁর! এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার রয়েছে একটি বিশেষ 'সিক্রেট'। কীভাবে ভাজা খাবারকে স্বাস্থ্যকর বানানো যায়, জেনে নিন তার কৌশল।
অল্প আঁচে রান্না
তেল যতক্ষণ না গরম হচ্ছে🍒 ততক্ষণ ত💃েলে খাবারটি ছাড়বেন না। অনেকে তেল গরম হওয়ার আগেই কড়ায় ফেলে দেন ভাজার মণ্ডটি। তবে তা করবেন না। অল্প তেল কড়ায় দিয়ে, অল্প আঁচে রান্না করলে, তা সুস্বাদুও হবে আর অল্প তেলে রান্নাও করা হবে।
অতিরিক্ত জল নয়
যে প🌸দটি ভাজতে চলেছেন, তা থেকে জল ঝরিয়ে নিন। তেলে জলযুক্ত খাবার ফেললেই তা ছিটিয়ে যেতে শুরু করবে। এতে স্বাদও হবে নষ্ট। এরপর রান্না হলে, সাদা টিস্যু পেপার ভাজার ওপর দিয়ে তা থেকে বাড়তি তেল শুষে নিয়ে তা পরিবেশন করতে পারেন।
সঠিক তেল
কোনও কিছু ভাজার জন্য সরষের তেল না ব্যবহার করে সোয়া অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তাও যদি না ইচ্ছে করে,তাহলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভা❀জার জন্য সঠিক তেল নির্বাচন জরুরি।
কীভাবে ফেলবেন তেলে?
কড়াইতে তেল দিয়ে তা কড়াইয়ের একটি দিক থেকে ফেলতে হ𓆉য় তেলে। অল্প আঁচে এই রান্না করতে হবে। এতে ব্রেড ক্রাম্পস পড়ে থাকার ঝঞ্ঝাট থাকে না। যদি কোনও দ্রবণে ডুবিয়ে কিছু ভাজতে চান, তাহলে দ্রবণটি ঘন করে নিলেই, এই সমস্যা থাকে না।