যক্🌄ষ্মা একটি বায়ুবাহিত ব্যাক্টিরিয়া ঘটিত রোগ, এই রোগে কি শুধুই ফুসফুস আক্রান্ত হয়? এই ধারণা কি সঠিক? আসুন জেনে নেওয়া যাক। মাইকোব্যাকটেরিয়াল টিউবারকিউলোসিস নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে যক্ষ্মা হয়ে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী, সংক্রামক ও প্রাচীন রোগটি যে কোনও বয়সে, যে কারও হতে পারে।
শতকরা ৫০ ভাগ যক্ষ্মা ফুসফুসেই হয়ে থাকে। তবে যক্ষ্মা হয় না, শরীরে এরকম অঙ্গ খুব কমই আছে। ফুসফুসের আবরণ🐼ী, লসিকাগ্রন্থি, যকৃত, বৃক্ক, মস্তিষ্ক ও এর আবরণী, অন্ত্র, হাড় এমনকি ত্বকেও হতꦰে পারে যক্ষ্মা। তবে ফুসফুসে যক্ষ্মা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন। অবশ্যই যক্ষ্মা সন্দেহ হলে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।
কীকরে বুঝবেন আপনার যক্ষ্মা রোগ হয়েছে? এর লক্ষণগুলি কী?
দুই সপ্তাহের বেশি যদি আপনার𓃲 কাশি থাকে। কাশি থেকে যদি কফ ও রক্ত বের হয়। খিদে না পাওয়া। ওজন কমে যাওয়া। হঠাৎ করে যদি জ্বর আসে বিশেষ করে রাতের দিকে। রাতে ঘাম হওয়া। ইমিউনসিস্টেম যদি থাকে দুর্বল তাহলে সহজেই এই রোগে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া কোনও কারণে যদি টিবি আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসেন, মাত্রারিক্ত ধূমপান বা আপনি ধূমপান করলে আপনার সঙ্গ♉ে যারা থাকবে তাঁদেরও হতে পারে এই রোগ।
চিকিৎসার দ্বারা কি এই রোগ থেকে বাঁচা যায়?
দুই ধরনের ক্যাটাগরিতে যক্🎃ষ্মার চিকিৎসা হয়। একটি ক্যাটাগরিতে ছয় মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। অপর ক্যাটাগরির❀ ক্ষেত্রে ৮-৯ মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ চলে।
তবে অনেক সময় দুই থেকে তিন মাস ওষুধ খাওয়ার পর আক্রান্ত রোগী একটু ভালো অনুভব করলে, ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। এটি একদমই ঠিক নয়। যক্ষ💯্মার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে কোর্🍌স শেষ না হওয়া অবধি।
না হলে আবার যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং এরকম ক্ষেত্রে আগের ওষুধ কোনও ক🍸াজেও আসে না। তৈরি হয় মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি এবং এক্সট্রিম ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি, এটি জেনেক্সপার্স স্টেটিং-এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে যা খুবই ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।