সবুজ গাছপালা, ঘরবাড়ি সহ জনবসতিপূর্ণ ওয়েনাড়ের বড় অংশ আজ শ্মশান হয়ে গিয়েছে। গাছ-গাছালি বিলীন হয়💖ে গিয়েছে এবং ঘর📖বাড়িও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এখন। আচমকা নেমে আসা ভূমিধসের ভয়াবহতাই তার একমাত্র কারণ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কেরালার ওয়েনাদে ভূমিধস দুর্ঘটনার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে এবার। সুন্দর এবং সবুজ ওয়েনাড় ঠিক কীভাবে ভূমিধসের ফলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সেই ছবিই দেখিয়েছে ইসরো।
আরও পড়ুন: (Happy friendship day: বাংলা বা ইংরেজি নয়, আঞ্চলিক ভাষায় ꦆবন্ধুকে জানান বন্ধু দিবসের 🌺শুভেচ্ছা)
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই ভারী বর্ষণের পর ভূমিধসের কারণে কেরালার ওয়েনাড়ে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। ভূমিধসের ঘটনা সাধারণত উত্তর ভারতের রাজ্যে বেশি ঘটে। হিমালয় পর্বতমালার ভঙ্গিল পর্বতে, বৃষ্টি হলে বালুকাময় মাটি সহজেই ধসে পড়ে। তবে এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কেরালার ওয়েনাড়েও, যার দরুণ প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জানা গিয়𝓰েছে, এই দুর্ঘটনায় ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: (Happy friendship day: বন্ধু দিবসে আর লুকিয়ে রাখবেন না মনের কথা, ঝটপট পাঠিয়ে দিন শু🦋ভেচ্ছাবার্তা)
কত কী ক্ষতি হয়েছে
হায়দ্রাবাদের ইসরো-এর ন্যাশনা♎ল রিমোট সেন্সিং সেন্টার ওয⛎়েনাদের ভূমিধস-আক্রান্ত এলাকার উচ্চ-রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে। ৩০ জুলাই ভূমিধসের আগে এবং পরের সব ছবিই রয়েছে তাতে। ছবিগুলো দেখেই বোঝা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ওয়েনাড় জেলার চুরামালায়। ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে যে ভূমিধসে প্রায় ৮৬,০০০ বর্গমিটার জমি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ভূমিধসের আগের ছবিটি ২০২৩ সালের ২২ মে তারিখে কার্টোস্যাট তিন উপগ্রহ দিয়ে তোলা হয়েছিল এবং ভূমিধসের একদিন পরে ৩১ জুলাই আরআইএসএটি/রিস্যাট উপগ্রহ দিয়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Shimla-Rop🎐eway network: ২০২৫ এর মধ্যে সিমলার সংযোগ বাড়াতে চালু হচ্ছে পরিবেশ-বান্ধব রোপওয়ে নেটওয়ার্ক)
এনএসআরসি বলেছে যে চুরামালা এবং এর আশেপাশে🍌 ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে একটি বড় ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে। পুরনো ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ভূমিধস নামা শুরু হয়েছে।৩১ জুলাই তারিখে খুব উচ্চ রেজোলিউশনে তোলা ছবিগুলোতে ধ্বংসাবশেষের বিশাল প্রবাহ দেখা গিয়েছে। ভূমিধস প্রবাহিত হয়েছিল আনুমানিক ৮ কিমি পর্যন্ত। ৮৬,০০০ বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে নেমেছিল ভূমিধস। ধ্বংসাবশেষের প্রবাহ ইরুভিনপুঝা এবং মুন্ডক্কাই নদীর গতিপথকে প্রশস্ত করেছে, তাদের দুই পার ভেঙ্গেছে এবং এই প্রবাহ তীরবর্তী গ্রাম এবং ব🍨াড়িগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এক কথায় কোথাও আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ওয়ানাড ভূমিধসের পিছনে তিনটি সম্ভাব্য কারণ
জলবায়ু পরিবর্তন, ভঙ্গুর ভূখণ্ড এবং বনভূমির 🍸ক্ষতি কেরলের ওয়েনাড়ের বিধ্বংসী ভূমিধসের কারণ হিসা🉐বে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি
ISRO-এর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের ল্যান্ডস্লাইড অ্যাটলাস অনুসারে, ভারতের ৩০টি সবচেয়ে ভূমিধস-প্রবণ জেলার মধ্যে ১০টি কেরালায়, এর মধ্যে ওয়েনাড় 13 তম স্থানে রয়েছে। পশ্চিম ঘাট এবং কোঙ্কন পাহাড় (তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্র) ভূমিধস প্রবণ, ০.০৯ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। কেরালার পশ্চিমঘাটে বেশি জনসংখ্যা এবং গৃহস্থালির ঘনত্ব সেখানকার বাসিন্দ𝄹াদের ঝুঁকি ♔বাড়ায়।