একদিন-দু’দিন হাল্কা জ্ব, কিংবা পেটের গোলমাল, কিংবা একটু সর্দি-কাশি। এই মরশুমে অনেকেরই এমন হয়েছে। সেগুলিকে তেমন পাত্তা দেননি কেউই। কারণ দু’-তিন দিনের মাথাতেই সেগুলি কমে গিয়েছে। কিন্তু সাধারণ♔ এই সব ছোটখাটো শরীরখারাপ আর ওমিক্রনের উপসর্গ ꩵপ্রায় এক। তাই অনেকেরই মত, এই মরশুমে অনেকেরই ওমিক্রন সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা সেটি বুঝতেও পারেননি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কি সকলের ওমিক্রন সংক্রমণ হবে? কিংবা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে? হালে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভান কেরখোভে🃏।
ওমিক্রন সকলের হবে কি না— এই প্রশ্নের উত্তরে মারিয়া বলেন, ‘ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়ার হার করোনার অন্য রূপগুলির তুলনায় অনেক🦹 বেশি। সেই কারণেই এটি বাকি রূপদের পিছনে ফেল✃ে দিয়ে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সকলেরই ওমিক্রন হবে।’
সকলের ওমিক্রন নাও হতে পারে। এমনই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কাদের ওমিক্রন হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তা নিয়েও কিছু দিন আগেই আলোকপাত করেছে বেশ কয়েকটি সমীক্ষ𓃲া। বলা হয়েছে, বিশেষ বিশেষ জিনের মানুষের ওমিক্রন বা কোভিড হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সকলের এই সংক্রমণ নাও হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মনে করছে না, এই সংক্রমণ সকলের মধ্যে🃏 ছড়াবে। কিন্তু একথা মারিয়াও বলেছেন, সকলের মধ্যে এই সংক্রমণটি মারাত্মক আকার নেয়নি। ‘টিকা নেওয়ার ফলে অনেকে শরীরেই ওমিক্রন মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারেনি। তবে এ কথা মনে রাখবে হবে, কোনও উপসর্গ ছাড়াও যাঁদের এই সমস্যা হয়েছে, তাঁদের শরীরেও জীবাণুটির সব রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাঁদের সমস্যা না হলেও, তাঁদের থেকে অন্যদের মধ্যে এই জীবাণু ছড়াতে পারে। এবং তাতে বহু মানুষের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ভবিষ্যতেও।’