আর পাঁচটা পুজোর থেকে কিছুটা আলাদা এই পুজো। কিছু না কিছু উপকরণ প্রথমে চুরি করা চাই। সেগুলি এনেই পুজো হয় আউশগ্রামের বামা কালীর। রামনগরের পান্ডুক এলাকার কালীপুজোর এটিই নজিরবিহীন বৈশিষ্ট্য। স্থানীয়দের কথায়, ১০০ বছরেরও পুরনো এই পুজো। আ𒀰উশগ্রামের পান্ডুকের ডাকাত সর্দার প্রহ্লাদ মেটে এই দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। ডাকাতির অলঙ্কার দিয়েই মাকে সাজিয়েছিলেন তিনি। তাই আজও পুরনো রীতি মেনে কিছু না কিছু সরঞ্জাম প্রতীকী অর্থে চুরি করে আনা হয়। তার পর তা পুজোর কাজে লাগানো হয়।
(আরও পড়ুন: কালীপুজোয় এমন পোশাক পরা মানে অমঙ্গল ডেকে আনা! অশুভ ঘটনা এꦯড়াতে কী করবেন)
শোনা যায়, প্রহ্লাদ ডাকাত তার দলবল সমেত রণ-পায় কেতুগ্রামের মেটেলি গ্রামের কাছে এ♌কটি মন্দিরে বিগ্রহের অলঙ্কার ডাকাতি করতে যাচ্ছিলেন। পথে বীরভূমের মুলুকের কাছে তিনি বামাকালীর সাক্ষাৎ পান। তখনই দেবীকে কথা দেন, ডাকাতি সফল হলে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করে পুজ𓆏ো করবেন। সেই মতো ডাকাতি করে ফেরার সময় ওই স্থান থেকে দেবীর শিলামূর্তি তুলে আনেন। প্রতিষ্ঠা করেন পান্ডুক গ্রামে।
এখন সেই মূর্তিকে সারাবছর ধরে পুজো করা হয়। কালীপুজোর সময় আলাদা করে মাটির প্রতিমা এনে পুজো হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রায় ১৮ ফুট উচ্চতার ডাকের সাজের প্রতিমা হয়। দেবীর বাম পা আগে থাকে। তাই তিনি ‘বামা 🎶কালী’ নামে পরিচিত। কথিত রয়েছে, ডাকাতি করে ফিরে কালীপুজোর পরদিন সকালে পুজো করেছিলেন প্রহ্লাদ। এখনও সেই নিয়ম বজায় রয়েছে। কালীপুজোর পর দিন সকালেই পুজো হয় এই দেবীর।
(আরও পড়ুন: ‘শ্বেত’ কালীর পুজোয় সুদূর থেকে আসেন ভক্তরা! এই পুꦺজোর মাহাত্ম্য চমকে দেওয়ার মতো)
বর্তমানে এলাকাবাসীর উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে মায়ের স্থায়ী মন্দির। পুজꦚোর দায়িত্বে প্রহ্লাদের বংশধরেরা রয়েছেন। তবে এখন এই পুজো বারূোয়ারি। প্রহ্লাদ মেটের বর্তমান বংশধর গৌড় মেটে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পূর্বপুরুষেরা ডাকাতি করতেন। সেই প্রথা মেনে এখনও কিছু জিনিস চুরি করে আনা হয়। তার পর তা পুজোর কাজে লাগানো হয়। তবে প্রতীকী হিসাবেই তা করা হয়। এই পুজোয় প্রায় পাঁচ কুইন্ট্যাল কদমার নৈবেদ্য দেওয়া হয়। গ্রামের সকলে যোগ দেন মায়ের পুজোয়।