রাত পোহালেই কালীপুজো (Kali Puja 2024🌺)। বাঙালির ঘরে ঘরে এবং মন্দিরে রাত জেগে আরাধনা করা হবে মা কালীর। কিন্তু কীভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি? কী বলছে শাস্ত্র? পৌরাণিক সেই কাহিনি শুনলে চমকে উঠতে বাধ্য হবেন আপনি।
স্বামীর ওপর রাগ করে মা সতী যখন রুদ্র রূপ ধারণ করেছিলেন সেই দশম𝓰হাবিদ্যার প্রথম মহাবিদ্যা হলেন মা কালী। যেহেতু শিবের অপর নাম কাল, তাই দশমহাবিদ্যার প্রথম অবতারের নাম মহাকালী। মনে করা হয়, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ হলেন এই দেবী।
(আরও পড়ুন: মায়ের গলা জড়িয়ে🔜 ইহলোক ছাড়েন সꦏাধক রামপ্রসাদ! গান শুনতে এসেছিলেন এই দেবীও)
মা কালীর আবির্ভাব নিয়ে সনাতন শাস্ত্রে একাধিক মতভেদ রয়েছে। কালীর রূপ নিয়েও একাধিক উল্লেখ রয়েছে তন্ত্র-পুরাণে। তবে আপনি যদি কালিকা পুরাণের দিকে তাকান, তাহলে বꦑুঝতে পারবেন মা কালীর আসল উৎপত্তি কীভাবে হয়েছিল? কালিকা পুরাণ মতে, এক সময় সারা পৃথিবী জুড়ে অত্যাচার চালাচ্ছিল শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই দৈত্য।
এই দুই দৈত্যের অত্যাচারে শুধু পৃথিবীবাসী নয়, অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন দেবতারাও। দে🌠বরাজ ইন্দ্রকে দেবালয় থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য করে এই দুই দৈত্য। বাধ্য হয়ে আদ্যা শক্তি মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন দেবরাজ ইন্দ্র। ইন্দ্রের সাধনায় তুষ্ট হয়ে মা পার্বতী আবির্ভূত হন। দুষ্টের দমন করার স্বার্থে মা পার্বতী নিজের শরীর থেকে অন্য এক দেবীর সৃষ্টি করেন, যিনি ছিলেন কৃষ্ণবর্ণা। দেবী কৌশিকীই হলেন দেবী কালীর আদি রূপ।
(আরও পড়ুন: মাকে ঘিরে ঠাকুরের ‘বাণী’ আজ♏ও অম্লান বাঙালি মননে, আলোর উৎসব🧸ে ফিরে দেখা সে কাহিনি)
অন্য একটি মতবাদ অনুযায়ী, দেবী দুর্গা যখন অসুর রক্তবীজের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন, তখন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্রহ্মার বর প্রাপ্ত রক্তবীজের এক ফোঁটা🅘 রক্ত থেকে জন্ম নিচ্ছিল কয়েক হাজা🐲র অসুর। যুদ্ধ চলাকালীন এই ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য মা দুর্গা তাঁর ভ্রু যুগলের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেন মা কালীর। মা কালীর ভয়াল রূপ দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান সকলে।
মা কালীর হাতে একে একে নিধন হতে থাকে সব অসুর। এমনকি রক্তবীজের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্তক্ষরণ হলেও তা জিভ দিয়ে লেহন করতে থাকেন কা🍸লী। সবশেষে রক্তবীজকে বধ করার জন্য সমস্ত রক্ত পান ক🅷রে নেন মা কালী, এই ভাবেই দেবী দুর্গার সহায়তা করার জন্যই আবির্ভূত হয়েছিলেন মা কালী।