Kali Idol Found From Pond: আর একদিন বাদে কালীপুজো। তার আগেই কাটোয়ার গোয়াই গ্রামে তৈরি হল চাঞ্চল্য। গ্রামের একটি পুকুরের মধ্যে পাওয়া গেল ‘সোনার’ কালী মূর্তি। কালী মূর্তিকে ঘিরেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে উঠেছে এলাকা। সন্ধে নাগাদ পুলিশ স্বর্ণকার নিয়ে এসে উদ্ধার হওয়া মূর্তি পরীক্ষা করে। তাতে দেখা যায়, মূর্তিটি আদতে পিতলের। তবে পুকুরের তলায় কীভাবে পৌঁছাল সেই মূর্তি, তা নিয়েই🅰 তৈরি হয়েছে ধন্দ।
গ্রামের এক কিশোরী ঋতু মাঝি সোমবার মাঝিপাড়ার একটি পুকুরে স্নান করতে যায়। সেখানে স্নান করতে নেমেই পায়ে একটি ধাতব জিনিস ঠেকে। প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে কৌতুহ﷽ল বাড়ে। হাত দিয়ে তুলে নিতেই তিনি দেখতে পান একটি কালীমূর্তি। সেটি বালতিতে ভরে গ্রামে নিয়ে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। সোনালি রঙের দেখতে বলে অনেকের ধারণা হয় এটি সোনার কালী মূর্তি। গোয়াই থেকে অন্যান্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে সেই খ❀বর। দূরদূরান্ত থেকে মূর্তিটি দেখার জন্য ভিড় জমে যায়।
আরও পড়ুন - ꧙ভূত চতুর্দশীতে কেন ১৪টি প্রদীপ জ্বালাতে হয়? কখনই বা জ্বালানোর💃 রীতি
তবে পরে পুলিশ এসে পরীক্ষা করে মূর্তিটি। স্বর্ণকার পরীক্ষা করে বলেন, সেটি সোনার নয়, পিতলের মূর্তি। মূর্তির উচ্চতা ১০ ইঞ্চি। তবে পিতলের হোক বা সোনার, মূর্তিটি গ্রামবাসীরা কাছছাড়া করতে চায়নি। গ্রামবাসীদের তরফে পুলিশকে জানানো হয় এই মূর্তির পুজো করবেন তারাই। একটি মন্দির বানিয়ে সেখানেই স্থাপন করা হবে মূর্তিটিকে। ত꧃ারপর তꦓাঁকে পুজো করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, কাটোয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে 🐽বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কালীপুজো এখনও প্রচলিত রয়েছে। এমনকি হিন্দু মুসলিমরামিলেও পুজো করার নিদর্শন রয়েছে বর্ধমানের এই অঞ্চলে। পুকুর থেকে মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় 🐽তেমনই ঈশ্বরভক্তির পরিচয় দিল বর্ধমানের কাটোয়া।
আরও পড়ুন - পাতাল ভেদ করে উঠে আসেন দেবী! রাজা সাবর্ণর পাওয়া স্বপ্নাদেশেই শুরু এই পুজ🅺ো
কালীপুজো প্রসঙ্গে কথা উঠলে বলত♏েই হয় কাটোয়ার ক্ষেপিমার কথা। প্রায় ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে পুজো হচ্ছে ক্ষেপিমায়ের। সাধক দেয়াসিনের পূজিত কালীই ক্ষেপিমা বা ক্ষ্যাপা কালী নামে পরিচিত। শহরবাসীদের অনেকেরই বিশ্বাস, তাদের সুখদুঃখের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে মা।