ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় নাজেহাল সবাই। এটি হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। এখন তো বাচ্চাদেরও এই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত খ্যাদ্যাভাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই কেন হয় ফ্যাটি লিভার।আমাদের শরীরে প্রায় সমস্ত কাজই হয় লিভারের দ্বারা। এটি শরীর থেকে সব দূষিত পদার্থকে বের করে দেয়। কয়েক দশকে বেড়েছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমলে ফ্যাটি লিভার হয়। অ্যালকোহলিকদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে, মদ্যপান না করলেও যে এই সমস্যা হতে পারে, এমনটাই মনে করেন চিকিৎসকেরা। যাদের ওজন বেশি, ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিস আছে, তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই মোটেও লিভারের সমস্যাকে হেলায় ফেলা যাবে না।কেন হয় ফ্যাটি লিভারঅতিরিক্ত ওজনঅনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসঅতিরিক্ত মদ্যপানডায়াবিটিস এবং অতিরিক্ত সুগার থাকলে এই রোগ তাড়াতাড়ি আক্রমণ করে।কীভাবে বুঝবেন?প্রথমে আপনি বুঝতেও পারবেন না আপনার ফ্যাটি লিভার হয়েছে। এই রোগ চিহ্নিত করা যায় আলট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে। শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল, সুগারের মাত্রা বেশি থাকলে, রক্তে চর্বি জমতে থাকে। স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জমাট বেঁধে যায় সেই স্থানটি। দীর্ঘদিন এমন চলার ফলে তা আকার নেই ক্যানসারের। তাহলে বাঁচার উপায় কী? এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা কী পরামর্শ দেন, আসুন জেনে নিইঅ্যালকোহল খাওয়া ত্যাগ করুনলিভারের রোগ মানেই ছাড়তে হবে অ্যালকোহল। অতিরিক্ত ধূমপানের নেশা থাকলে সেটিও বন্ধ করুন।নিয়মিত শরীরচর্চা করুননিয়মিত শরীরচর্চার মতো অভ্যাস আমরা ত্যাগ করেছি। অজান্তেই ডেকে এনেছি বিপদ। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে বিভিন্ন প্রকারের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। শুধুমাত্র লিভারের জন্য নয় যে কোনও রোগ সারাতে ব্যায়ামের বিকল্প কিছুই নেই।নন-ভেজ, প্যাকেট জাতীয় খাবার কম খানএই খাবারগুলি হজম হতে সময় লাগে। তাই এইগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো। ঘি, মাখন, পনির, লাল মাংস, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যতটা কম খাবেন ততই মঙ্গল। অতিরিক্ত তেল-মশলা একেবারেই নৈব নৈব চ।রোজ হাঁটুনভোরবেলায় ঘণ্টাখানেক হেঁটে নিতে পারেন। এতে ডায়াবিটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।