একটানা চুমু খাওয়ার রেকর্ড গড়তে পারবে না আর কেউ। এমনটাই জানিয়েছিল গিনিস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থা? সম্প্রতি জানা গেল সেই তথ্য। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের এক দম্পতি এই চুমু খাওয়ার রেকর্ড গড়েছিল। মোট ৫৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চুমু খেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই রেকর্🉐ড গড়ার পর গিনিসের এই বিভাগটিই তুলে দেয়। দীর্ঘ চুমু খাওয়ার ওই রেকর্ড কেউ গড়তে পারবে না বলে জানানো হয় বিশ্বরেকর্ড সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন: অঙ্কে সেরা ভারত! আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়💞াডে ১১৮টি দেশ হারিয়ে দারুণ জয়
আরও পড়ুন: সিংহের পাশে বসে এ কী করছেন তরুণী! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে চোখ কপালে♏ উঠল নেটিজ🎃েনদের
প্রসঙ্গত, ৫৮ ঘন্টা ধরে ওই ইভেন্টে চুমু খেয়েছিলেন ইক্কাচাই ও লাকসানা তিরানারাত। কিন্তু&ꦍnbsp; তাদের জয়ের পর এই বিভাগটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর কারণ ছিল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা। এই ধরনের রেকর্ড গড়তে হলে স্বাস্থ্য নিয়ে একাধিক ঝুঁকি নিতে হয়। সেই ঝুঁকি এড়াতেই বন্ধ করা হয় এই বিভাগ।
২০১৩ সালের ওই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ৭০ বছরের এক দম্পতিও। তাঁরা দীর্ঘ ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট ধরে পরস্পরকে চুম্বন করেন। বৃদ্ধ ব্যক্তি বেশিক্ষণ দাঁড়াতে সমর্থ নন বলে তাঁদের প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে যেতে ꦦহয়। অন্যদিকে চার দম্পতি টানা ৫০ ঘন্টা ২৫ মিনিট ধরে পরস্পরকে চুমু খান। তবে তাঁদেরকেও হারিয়ে দেন ইক্কাচাই ও লাকসানা। ২০১১ সালে তাঁরাই রেকর্ড গড়েছিলেন এই ব্যাপারে। ২০১৩ সালেও আবার তাঁরাই ৫৮ ঘন্টা ৩৫ মিনিটের রেকর্ড গড়েন। প্রসঙ্গত, ওই রেকর্ড জেতার পর দুটি হিরের আংটি উপহার পান তাঁরা। এমনকী ৩৩০০ ডলার অর্থমূল্যের পুরষ্কারও তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে।
প্রসঙ্গত, এই চুমু খাওয়ার সময় কোনওভাবেইဣ খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। এমনকী প্রস্রাব করা থেকে নানা জৈবিক কাজেও নিষেধাজ্ঞা থাকে। এমনকী গিনিসের নিয়ম অনুযায়ী, ওই দীর্ঘ সময় জেগে থাকতে হবে দুজনকেই। এমন নানা নিয়মের কারণে স্বাস্থ্যের নানা ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছিল বলেই মনে করে গিনিস। তাই সেই বিভাগটিকেই বাদ দেওয়া হল এবার। বরং দীর্ঘ চুম্বনের ম্যারাথন চালু করা হল তাদের তরফে। নয়া এই ব্যবস্থাও আগের মতো নিয়মের কড়াকড়ি থাকবে না। বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছে গিনিস বুক।