🍌 বিয়� থেকে শুরু কর� সন্তান আসার খব� কিংব� বিচ্ছেদে� খব� সব� তারকার� সোশ্যা� মিডিয়ায� অনুরাগীদে� সঙ্গ� ভা� কর� নেন। কখনও কখনও তো আবার তাঁর� বলার আগেই চর্চ�, জল্পনা শুরু হয়ে যায়� আর সবের মাঝে যে কোনও এক পক্ষকে বেছে নিয়� আরেক পক্ষকে রীতিমত আক্রমণ শানানো হয়। কর� হয� চটুল, নোংর� মন্তব্য। চাহা� ধনশ্রী থেকে অনুপ� রায়, পরমব্র� চট্টোপাধ্যায�, পিয়� চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক সহ ভুরি ভুরি উদাহরণ দেওয়া যাবে এই ক্ষেত্রে� কিন্তু এই ক্ষেত্রে সমাজের উপ�, এমনক� সেলেবদের উপরই বা কী প্রভাব পড়ছ�? কী জানালে� দু� বিশিষ্� ব্যক্ত�?
আর� পড়ু�: 🧸গরমে� ছুটিতে কামব্যাক করছে� শতাব্দী! অতিপ্রাকৃত গল্প� জুটি বাঁধছে� কা� সঙ্গ�?
আর� পড়ু�: 🐻গন্ধ শুঁক� চালকুমড়�-লা� চেনা� চেষ্টা! দিদি নম্ব� ওয়ানে স্বৈরীতি� কাণ্ডে হতভম্ব রচনা, বললে�...
কী জানালে� মোহি� রণদী�, পূর্বাশা মুখোপাধ্যায়?
�বিচ্ছে� একটি অত্যন্� ব্যক্তিগ� বিষয�, এই বিষয� নিয়� এত চর্চ� বা সোশ্যা� মিডিয়ার ভাষায় এত ‘খাপপঞ্চায়েত� কে� বস� নেটপাড়া�? মনঃসমাজকর্মী মোহি� রণদী� হিন্দুস্তা� টাইমসক� জানিয়েছে�, 'মানুষে� কথ� বলতে গেলে তো একটা বিষয� লাগে� আর বিষয� নিয়� ভাবত� গেলে নানা রকমে� সচেতনত� লাগে� সচেত� বিষয� নিয়� কথ� বললে তাতে যে রস সবাই পাবে� সেটা� তুলনায় যখ� কোনও কেচ্ছা কাহিনি নিয়� আলোচনা হয� তখ� সে� রস তৃপ্তি� বিষয� হয়ে ওঠে। এট� একটা দিক। আরেকটি দি� হল, আমরা সব� জানত� পারছ� সংবাদমাধ্যমে� থেকে� তারকাদের জীবন সবসময়� আত� কাচে� নিচে থাকে� যা ছোটখাট� ঘটছে সেটাকে আর� বড� কর� দেখানো� একটা প্রবণত� আছ� সংবাদমাধ্যমে�, এব� তারকারাও হয়ত� সেটা চান। তাঁর� খবরে থাকত� চান। আর তৃতীয়� হল তিলক� তা� কর� তো আমাদের সামাজি� ঐতিহ্য�'
� তিনি এদিন আর� জানা�, 'এবার ধরুন পক্ষ নেওয়া� বিষয়টা। মানু� তো তা� জীবন� বিভিন্� অভিজ্ঞতা� মধ্য� দিয়� যায়� এখ� কা� সঙ্গ� কী সম্পর্� তাঁর রয়েছে, বা তাঁর নিজে� জীবনের সঙ্গ� কীভাবে মিলিয়� তিনি দেখছেন বিষয়টাক� এই সমস্� বিষয়ে� উপ� নির্ভর কর� যে তিনি কো� পক্ষ নেবেন। আদ� পক্ষ নেওয়ায় দরকা� আছ� কিনা সে� বো� আমাদের অনেক সময় কা� কর� না�' অন্যদিকে সাইকোলজিক্যা� কাউন্সিল� পূর্বাশা মুখোপাধ্যায়ের কথায�, 'তারকাদের জীবন তো আত� কাচে� তলায� থাকে� সেলে� মানে� অনেকেই ভাবে� তাঁদের জীবন নিয়� যা খুশি বল� দেওয়া যায় সহজেই। আম� কারও পক্ষ নিতে� পারি যে অমুক ব্যক্ত� একজন তারক�, আম� তাঁর ফ্যান। কিন্তু তাঁর কিসে� ফ্যা�? তাঁর অভিনয়, গা�, ইত্যাদির ফ্যান। এট� সে� মানুষটার একটা দিক। তাঁর একটা সত্ত্বা। শিল্পী সত্তাক� প্রশংস� করছি� কিন্তু তিনি তাঁর ব্যক্তিগ� জীবন� কেমন সেটা তো তাঁর অভিনেত� সত্ত্ব� বা গায়� সত্ত্ব� বা শিল্পী সত্ত্বাক� দেখে তো ব্যাখ্যা কর� যাবে না� সে ব্যক্ত� জীবন� কেমন সেটা তাঁর কাছে মানু� দেখত� পারব�, আবার না� দেখত� পারে� কিন্তু আমরা প্রশ্ন একটা�, এই যে পুলিশিগিরি, বা অজান্ত� একটা দাড়িপাল্ল� নিয়� যে যাচা� করতে থাকি সে� দায়িত্ব আমাদের কে দেয়? নিজেরা� তো কোথা� একটা সেটা নিয়েছি।'
🧔 পূর্বাশা এদিন আর� বলেন, 'অনেক সময় তারকারাও তাঁদের ব্যক্তিগ� জীবন নিয়� অনেক কিছু লিখে ফেলে� সোশ্যা� মিডিয়ায়। তারক� মানে� তাঁদের জীবন� কষ্ট হয� না, ভাঙনের ব্যথায� কিছু হয� না এমনট� নয়। তাঁদের জীবনকে দেখা� দৃষ্টিভঙ্গ� আলাদ� হত� পারে, জীবন যাপন আলাদ� হত� পারে� কিন্তু মন� রাখত� হব� তাঁর� সবার আগ� মানুষ। যে যা� কা� করুক, যে ভাষায় কথ� বলুক আমাদের সবার একটা জিনি� কমন। আমাদের অনুভূতিগুল� এক� তাঁদের যখ� বিচ্ছে� হয� তাঁদের� কষ্ট, যন্ত্রণা হয়। দর্শ� বা শ্রোতা হিসেবে বা একজন নেটিজে� হিসেবে আমাদের সত্যিই যদ� এস� বিষয়ক� যাচা� করতে হয� তাহল� নিরপেক্ষ ভাবে সবরক� দৃষ্টিভঙ্গ� দিয়� যে� যাচা� কর� হয়। গঠনমূল� আলোচনা কর� হয়। কারও ব্যক্তিগ� জীবন নিয়� আগ্র� থাকতেই পারে, এট� মানুষে� মনের একটা দিক। কিন্তু এই কটাক্ষ, নেতিবাচক মন্তব্� সেটা কতটা প্রভাব ফেলছ� ভাবা উচিত�'
🔯 পূর্বাশা� সঙ্গ� এক্ষেত্র� প্রায় একমত পোষণ করেন মোহি� রণদীপ। এক� সঙ্গ� তিনি গোটা বিষয়টাক� আর� ব্যাখ্যা কর� বলেন, 'একটা ঘর� চা� দেওয়ালে� মধ্য� যা ঘট� এখ� সেটা সোশ্যা� মিডিয়ায� চল� আসছে� ঘর আর বাইরের যে সীমারেখা, কোথায় থামত� হব� সেটা আমরা বুঝছ� না� যে কথ� খু� নিকট কাউকেই কেবল বল� যায়, সেটা আমরা খু� অবলীলায় সোশ্যা� মিডিয়ায� লিখে দিচ্ছি� এট� ঠি� যে মানুষে� ফিলিংস, কথ� সেগুলোকে সঠিকভাবে এক্সপ্রে� করার জায়গা কমছে� ব্যক্ত� মানুষে� কাছে বলবে সে� জায়গা, সম্পর্কটাই তো তেমন কর� থাকছ� না� তা� ফল� সোশ্যা� মিডিয়াই একমাত্� রাস্তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যেখানে বল� সে তৃপ্তি পাচ্ছে� কী বলছে, সেটা� ফল, পরিণাম কী হব�, তা� উপ� দায়িত্ববো� কতটা থাকছ�, আমার কথ� কা� উপ� কতটা প্রভাব ফেলব� এস� নিয়� তো মানু� ভাবে না� সে� বোধটাই তো কা� কর� না� আমরা এক অদ্ভুত সময়ের মধ্য� দিয়� যাচ্ছি, পারিবারি� বো�, নাগরিক শিক্ষা� মাধ্যম� আমরা যা যা রপ্ত করেছিলাম একটা সময় সেগুলো কোথা� যে� ভুলত� বসেছি।'
ܫ কিন্তু এট� থেকে কীভাবে বেরোনো যেতে পারে? বা কমান� যেতে পারে? কেনই বা চর্চ� হচ্ছ� এম� বিষয� নিয়�? মোহি� রণদী� জানা�, 'এই পারিবারি� কেচ্ছা, বা তারকাদের জীবনের যে কেচ্ছাগুলোকে গুরুত্� দিচ্ছি সেগুলো কি আদ� আলোচ্য বিষয� হত� পারে বা খবরে� পাতাতে� কি জায়গা পেতে পারে? আসার কথ� কি? কোনও শিল্পী�, সিনেমা আর্টিস্টের কা� নিয়� ততটা আলোচনা হচ্ছ� না যতটা তাঁর ব্যক্ত� জীবন নিয়� আলোচনা হচ্ছে। এট� আমাদের সংবাদমাধ্যমে� সমস্যা� তারা সবসময় বুঝছ� না যে কাকে গুরুত্� দে�, কতটা গুরুত্� দেব। কাজে� জায়গাগুলো গুরুত্� হারাচ্ছে� আসলে হয়ত� কাজে� মানে� জায়গাটা� বোধহয় ক্রম� কমছে, সে� জন্য� হয়ত� কা� নিয়� কথ� বলার সুযো� কম� যাচ্ছে� সেটা� হত� পারে� তা� ফল� কেচ্ছা কাহিনি খব� হয়ে উঠছে� আর কেচ্ছা কাহিনি পড়া� অভ্যাস একটা অংশে� মানুষে� বরাব� আছে। এখ� সমস্যা হচ্ছ� সোশ্যা� মিডিয়ায� সেটা নিয়� তাঁর� নিজেদে� মতাম� ব্যক্ত করছেন। সেটা তাঁদের নিজেদে� ভাবন� চিন্তা� সীমাবদ্ধতা থেকে� হচ্ছে।' পূর্বাশা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'বিচ্ছে� বিষয়ট� ভীষণ কষ্টকর� যে শ্রোতা , দর্শ�, নেটিজেনর� সেলেবদের নিয়� এত কাটাছেঁড়া করেন তাঁর� তো বাইরের জায়গা থেকে দেখে বলছেন। খানিকট� আভাস পাওয়া যায় হয়ত� যে এই মানুষটার সঙ্গ� এই মানুষটার একটা সম্পর্� ছি�, তাঁদের দুজনের সমীকরণে� কিছু ছব� হয়ত� দেখত� পা� সোশ্যা� মিডিয়ায়। কিন্তু এই যে মানু� বিচা� করছে, সেটা� দায়িত্ব তো অজান্তেই বহুদিন ধর� তাঁর� নিয়� নিয়েছেন� এখ� সোশ্যা� মিডিয়� আছ� তা� এত কিছু� আগ� বা এখনও পাড়ার অনেক� আছেন যাঁর� সোশ্যা� মিডিয়� ব্যবহা� করেন না কিন্তু আলোচনা করেন� পাড়ার কোনও ছেলে-মেয়� সম্পর্কে থাকল�, তাঁদের বিচ্ছে� হল� চর্চ� তো চলেই� এবার কে কাকে সমর্থন করবে� সেটা তো সে� ব্যক্তির উপ� নির্ভর করে। কিন্তু এই অপছন্দের মাপকাঠ� কে ঠি� কর� দিয়েছ�, বা জা� করার জায়গা যে আম� সারাক্ষণ দাড়িপাল্লায� মাপছ� যে এই মানুষট� খারা�, এই মানুষটার চরিত্র এই রক�, এট� কিসে� ভিত্তিতে?'
আর� পড়ু�: �কুণালক� 'রক্ষাকবচ', প্যারোডি বিতর্ক� গ্রেফতার না করার নির্দে� সহ আর কী বল� বম্ব� হাইকোর্ট?
� এই ভিস্কা� সার্কে� থেকে বেরোনো� পথ হিসেবে পূর্বাশা বলেছেন, 'আমার মন� হয� আমরা যদ� আমাদের দেখা� পরিধ� একটু বড� কর�, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গ� রাখত� পারি ভালো হয়। আমার কাউক� অভিনেত�, গায়�, ইত্যাদ� হিসেবে ভালো লাগতেই পারে কিন্তু সেটা� জন্য তাঁর পার্টনারকে এম� সময় দুষিয়� যা�, খারা� মন্তব্� কর� যা�? এব� পার্টনার হিসেবে সে� তারকার সঙ্গী অযোগ্য আম� কী কর� জানছ�? আবার অনেক সময় উল্টোটাও ঘটেছ�, এম� অনেক অভিনেত� আছেন যাঁর� অভিনেত� হিসেবে দারু� গুণী কিন্তু একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বল�, এক্সপ্লো� করেছেন বল� তাঁক� কটাক্ষ কর� হয়েছে� মানুষে� মনের এট� একটা দি� যে তাঁর� ঠি� কর� নিয়েছেন যে এভাব� বিচা� কর�, মাপব, ইত্যাদি। নিরপেক্ষ দৃষ্টি রাখাটা জরুরি। আমরা যাঁর� পক্ষ নি� না কে� সেটা ভালো লাগা থেকে নিই। তাঁদের জীবন সম্পর্কে কিন্তু বিস্তারি� ভাবে জানি না� ব্যক্ত� জীবন� সে� মানুষট� আলাদ� হতেই পারে� সাধারণ হত� পারে, বদমেজাজি হত� পারে, বা অন্য কিছু� এমনক� তারকাদের সঙ্গীদে� জীবনের বিষয়ে� কিন্তু তেমন ভাবে আমরা কিছু জানি না� ফল� নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গ� রাখত� পারি না� কিন্তু সেটা জরুরি। কৌতূহল এব� অনুসন্ধিৎস� হওয়ার মধ্য� পার্থক্য আছে। বুঝত� হব� কতটা অন্যের ব্যক্তিগ� জীবন নিয়� ভাবব� আম� কাউক� নিয়ে যদ� সোশ্যা� মিডিয়ায� কুৎস� ছড়া� তাতে আমার কি কোনও আত্মতুষ্টি হচ্ছ�, সেটা� ভাবত� হবে। বুঝত� হব� আম� যতটা জানি সেটা আংশি� সত্য� নাকি একমাত্� সত্যি।'