মুম্বই, ভারতের যে শহরে মানুষ স্বপ্নের জাল বোনে। যে শহরের বাড়ির মালিক হ༺তে চায়। স্থায়ী বসবাসের স্বপ্ন দেখে। তবে এই শহরের একটি কঠিন সত্য হল এখানে জমির ব্যাপক অভাব রয়েছে। দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এটি। দেশের এমন ব্যায়বহুল শহরের সবচেয়ে বড় জমির মালিক কে হতে পারেন, এমতাবস্থায় সবার মনে এই প্রশ্নই আসে।
আরও পড়ুন: (karwa chauth 2024: করওয়🍬া চৌথে আলিয়ার সিন্দুরি শাড়ি কিন♛বেন, তার আগে জেনে নিন দাম)
মুম্বইয়ের সবচেয়ে বেশি জমির মালিক কে
বস্তি পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষ (স্লাম রিহ্যাবিলিশন অথোরিটি) দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ভারতের আর্থিক রাজধানীতে মোট জমꦺির প্রায় ২০ শতাংশ এখন নয়টি বাড়িওয়ালার মালিকানাধীন। পরিবার এবং ট্রাস্ট সহ ব্যক্তিগত সংস্থা মিলিয়ে এই মালিকরা রয়েছে। মুম্বইয়ের ভিক্রোলি এলাকার ২০ শতাংশ বাসযোগ্য এলাকার প্রায় অর্ধেকই গোদরেজ পরিবারের। বস্তি পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা অনুসারে, মুম্বই শহরটি প্রায় এ𒀰ক লক্ষ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যার মধ্যে বাসযোগ্য এলাকা প্রায় ৩৪,০০০ একর।
১. গোদরেজ প্রপার্টিজ
মুম্বইয়ের ভিক্রোলি এলাকায় এসআরএ সমীক্ষা অনুসারে, শীর্ষস্থানীয় জমির মালিকদের তালিকায় রয়েছে গোদরেজ পরিবারের নাম। পরিবারের কাছে ৩,৪০০ একরের বেশি জমি রয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, এই জমি ভিক্রোলিতে ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়েতে (EEH) অবস্থিত। তবে গোদরেজ পরিবারের মালিকানাধীন প্রায় ৩,৪০০ একর জমি নিয়ে অনেক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই জমিগুলির মূল্য ৫০♔,০০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। তবে নিষেধা꧋জ্ঞার কারণে, বর্তমানে এর মূল্য ২০,০০০ কোটি টাকা কমে প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা।
গোদরেজ গ্রুপ, সাবান থেকে শুরু করে গৃহস্থালির সমস্ত জিনিস তৈরি করে এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করে, ধীরে ধীরে লাভের জন্য নিজেদের জমি ব্যবহার করছে। ২০২৪ সালের জুনে, প্রতিষ্ঠাতা পরিবার কোম্পানিটিকে বিভক্ত করার ꦆসিদ্ধান্ত নেয়। আদি এবং নাদির গোদরেজ গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজকে রাখবেন, এর আবার পাঁচটি পাবলিক কোম্পানি রয়েছে। আর তাঁদের খুড়তুতো ভাই জামশিদ এবং স্মিতা মুম্বইতে জমি সহ গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস এ⛦বং এর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসাগুলি দখল করবেন।
২. এফই দিনশ ট্রাস্ট
এফই দিনশ ট্রাস্ট তালিকার 🌸দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই ট্রাস্টের মুম্বইতে প্রায় ৬৮৩ একর জমি রয়েছে। এফ.ই. দিনশ ছিলেন একজন পার্সি সলিসিটর-অর্থদাতা এবং জমির মালিক, যিনি ১৯৩৬ সালে মারা যান। দিনশই তাঁর পরিবারের জন্য একটি বড় জমি রেখে গিয়েছেন। তবে সময়ে সময়ে সরকার তা অধিগ্রহ♓ণ করে।
৩. প্রতাপসিংহ বল্লভদাস সুরজির পরিবার
মুম্বইয়ের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিকানা প্রতাপ সিং বল্লভদাস সুরজির পরিবারের। মুম্বইয়ের ভান্ডুপ এলাকায় এবং তার আশেপাশে প্রায় ܫ৬৪৭ একর জমি রয়েছে তাঁদের।
৩. জীবীভয় আরদেশীর ট্রাস্ট
আর্থিক রাজধানীতে, জিজিভয় আরদেশীর ট্রাস্টের চত♔ুর্থ বৃহত্তম জমি রয়েছে। এই ট্রাস্টের চেম্বুর, মুম্বইতে ৫০৮ একর জমি রয়েছে।
৫. এএইচ ওয়াদিয়া ট্রাস্ট
এই ট্রাস্টের কুর্লায় ৩৬১ একর জমি রয়েছে। মিড🔯িয়া রিপোর্ট অনুসারে, মুম্বই সমাচারের কামা পরিবার ২০ শতকের শুরুতে এই ট্রাস্ট চালাতেন। চেম্বুরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জমির মালিক ছিলেন তাঁরা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ১৯ শতকের শুরুতে, আরদেশির হরমুসজি ওয়াদিয়া ৩,৫৮৭ টাকা বার্ষিক ভাড়ায় কুর্লার লিজ পেয়েছিলেন। যা এখন বেশিরভাগই দখলের শিকার হয়েছে।
৬. বৈরামজী জীবীভয় গ্রুপ
এসআরএ সমীক্ষা অনুসারে, বৈরামজি জিজিভয় ট্রাস্ট মুম্বইয়ের বিভিন্ন অংশে প্রায় ২৬৯ একর জমির মালিক। স্যার বৈরামজি জীবীভয় ছিলেন একজন পার্সি। ১৮৩০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে মোট ১২,০০০ একর জমি পেয়েছিলেন তিনি। রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে তাজ হোটেল যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে বা♏ন্দ্রা ল্যান্ডস এন্ডেরও মালিকানা ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: (Viral Video: বিজয় দশমীতে ꩵজন্ম কন্যা সন্তানের, মায়ের কাছে আনা হল অম্বে সাজে)
সরকারি কোম্পানির মালিকানাধীন বিশাল জমি
মুম্বইতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার বিপুল পরিমাণ জমির মালিক হওয়ার পাশাপাশি, মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট, ন্যাশনা🍷ল টেক্সটাইল কর্পোরেশন, মহারাষ্ট্র সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয়🔯 রেলওয়ে, পশ্চিম রেলওয়ের মতো সরকারি সংস্থাও শহরের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মালিক।
প্রসঙ্গত, গোদরেজ পরিবার ছাড়াও, স্যার মুহম্মদ ইউসুফ খোট ট্রাস্ট এবং ভিকে লাল পরিবারগুলোও মুম༒্বইয়ের কাঞ্জুরমার্গ এবং কান্দিভালি এলাকায় বিশাল জমির মালিক। বলা বাহুল্য, পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, পার্সি সম্প্রদায়ই দীর্ঘদিন ধরে মুম্বইয়ের বেশিরভাগ জমির মালিক হয়ে বসে।
এদিন সিটি ক্রনিকলার এবং খাকি হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রꦕতিষ্ঠাতা ভারত গোথোসকার বলেছেন, মধ্যযুগ থেকে, ভারতে গ্রামের জমিদার ছিল। শাসকদের হয়ে গ্রামের কৃষি পণ্যের উপর কর আদায় করতেন তাঁরা। জমিদার, দেশমুখ, খোট ইত🌠্যাদি নামে ডাকা হত তাঁদের। এরপর পর্তুগিজরা যখন উত্তর কোঙ্কন দখল করে, তখন এর রাজধানী ছিল বাসেইন বা ভাসাই। এরপর তার দূরবর্তী গ্রামগুলি, বিশেষ করে মুম্বইয়ের বিভিন্ন দ্বীপ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় সম্ভ্রান্ত পর্তুগিজ পরিবারগুলি। তাদের ফোরইরোস বা ভাজাডোর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ব্রিটিশরা মুম্বই শাসন করা শুরু করার পরও, মারাঠি হিন্দু এবং কোঙ্কানি মুসলমান সহ বিভিন্ন ধনী ব্যক্তিদের অনেক গ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শহরের সবচেয়ে ধনী সম্প্রদায়, যারা আফিম এবং🌟 তুলা ব্যবসা করতেন, তাঁরাই ছিলেন পার্সি সম্প্রদায়। সালসেট দ্বীপে জমির একটি সিংহ ভাগ এসেছিল এই পার্সিদেরই দখলে।